নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চায়ের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে নির্বাচন কমিশনে বিএনপির আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে গেলে ইসি সচিব বিএনপি নেতাকে চায়ের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। দলটির ঢাকা জেলার সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে দুপুরে রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে আমরা দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে গিয়েছিলাম। ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে হিসাব তুলে দেওয়ার পর তিনি রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে চায়ের জন্য আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তা প্রত্যাখ্যান করে ইসি থেকে বেরিয়ে আসেন। আমরা এই ইসিকে বৈধ মনে করি না। তারা আওয়ামী লীগের একটি অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানের মতো কাজ করছেন।
এ সময় রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভুইয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন অসীম, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী।
এদিকে নির্বাচন কমিশন থেকে বেরিয়ে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। সরকার নিজেরা জ্বালাও-পোড়াও করেছে। এখন বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে।
বাসে আগুন দেওয়া প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা নয়, বরং বাইরে থেকে মোটরসাইকেলে এসে আগুন দিয়েছে। এ ধরনের অপকর্ম করে দায় চাপানো সরকারের পুরনো অভ্যাস। গাড়ির ড্রাইভার সাংবদিকদের বলেছেন, পুলিশের উপস্থিতিতে মোটরসাইকেলে এসে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে। বরাবরই নিজেরা এ সমস্ত কাজ করে দায়টা যে অন্যের ওপর চাপায়, সেই পুরনো পদ্ধতি পুরনো রীতি আবারও দেখা গেলো।
রিজভী বলেন, মানুষের প্রতি ভয়ঙ্কর অমনুষ্যত্বের কাজ যেমন- গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো, এসব করে আওয়ামী লীগের যে পাল্টা অভিযোগ করা, দায় চাপানোর যে সংস্কৃতি, সেই সংস্কৃতিরই পুনরাবৃত্তি করেছেন প্রধানমন্ত্রী গতকাল দেওয়া তার বক্তব্যে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের মানুষ এখন বাংলাদেশের অবস্থা জানে। এজন্যই মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন চেয়েছেন।