Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাটখিল-সোনাইমুড়ী মহাসড়ক নয় যেন ময়লার ভাগাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মডেল মসজিদ ও চাটখিল-সোনাইমুড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কৌশল্যারবাগ-কালুয়াই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এতে পথচারী, মুসল্লি ও যানবাহনের যাত্রীদের উৎকট দুর্গন্ধ সহ্য করে ওই এলাকা পার হতে হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কের পাশে দিনের পর দিন বর্জ্য ফেলা হলেও সংশ্লিষ্টরা তা সরাতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সোনাইমুড়ী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নদোনা ইউনিয়নের কালুয়াই এলাকায় চাটখিল-সোনাইমুড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেঁষে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে বিশাল ময়লার ভাগাড়। সোনাইমুড়ী পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লার ভ্যানে করে ময়লা এনে রাখছে এই ভাগাড়ে। ছড়িয়ে পড়া দুর্গন্ধে নাক চেপে চলাচল করছে পথচারীরা। স্বাস্থ্যঝুঁকিতে এলাকার মানুষ। ময়লার ভাগাড়ে অতিষ্ঠ মডেল মসজিদের মুসল্লি ও স্থানীয়রা।

আমিনুল ইসলাম নামের এক মুসল্লি মসজিদের কাছে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ডে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, এ মসজিদে প্রতিদিন অসংখ্য মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষজনও নামাজ আদায় করেন। অথচ এই মসজিদের সামনেই ময়লার ভাগাড়। অপরিকল্পিত এত বড় ময়লার ভাগাড়ের কারণে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সময়েও পোহাতে হয় দুর্গন্ধের ভোগান্তি।

ইমতিয়াজ হোসেন নামের আরেক মুসল্লি বলেন, কয়েকদিন পর পর ময়লা মহাসড়কের উপরে চলে আসে ফলে চলাচল করা যায় না। মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে অসুবিধা হয়। কীভাবে এখানে ময়লা ফেলে আমাদের বোধগম্য হয় না। যদি অন্যস্থানে ময়লাগুলো ফেলা হয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়।

আজাদ হোসেন নামের আরেক মুসল্লি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে একটা মডেল মসজিদ তৈরি করে দিয়েছেন কিন্তু ময়লার গন্ধে মসজিদে যাতায়াত ও নামাজ আদায়ে অসুবিধা হয়। প্রশাসনকে কয়েকবার বলেছে কিন্তু কোনো উদ্যোগ দেখিনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন যেভাবেই হোক এই ভোগান্তি থেকে আমাদের মুক্তি দিন।

নিলিমা ইয়াসমিন নামের এক মাদরাসা শিক্ষার্থী বলেন, মাদরাসায় আসতে যেতে আমাদের খুব অসুবিধা হয়। দুর্গন্ধে আমরা থাকতে পারি না। আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি তাই মাদরাসায় যেতে পারি না।

সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়র নুরুল হক চৌধুরী বলেন, পৌরসভার সৃষ্টি থেকেই ময়লা ফেলার কোনো নির্ধারিত স্থান নেই। ময়লার স্থান পরিবর্তন করা আমার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল। আর মহাসড়ক ও মসজিদের সামনে ময়লা ফেলা হবে না। ফলে তখন মানুষের ভোগান্তি থাকবে না। ইতোমধ্যে বগাদিয়া এলাকায় প্রায় দেড় একর জায়গার উপর সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। খুব দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। আধুনিক এই প্রকল্পের মাধ্যমে বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদন করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

চাটখিল-সোনাইমুড়ী মহাসড়ক নয় যেন ময়লার ভাগাড়

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মডেল মসজিদ ও চাটখিল-সোনাইমুড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কৌশল্যারবাগ-কালুয়াই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এতে পথচারী, মুসল্লি ও যানবাহনের যাত্রীদের উৎকট দুর্গন্ধ সহ্য করে ওই এলাকা পার হতে হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কের পাশে দিনের পর দিন বর্জ্য ফেলা হলেও সংশ্লিষ্টরা তা সরাতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সোনাইমুড়ী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নদোনা ইউনিয়নের কালুয়াই এলাকায় চাটখিল-সোনাইমুড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেঁষে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে বিশাল ময়লার ভাগাড়। সোনাইমুড়ী পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লার ভ্যানে করে ময়লা এনে রাখছে এই ভাগাড়ে। ছড়িয়ে পড়া দুর্গন্ধে নাক চেপে চলাচল করছে পথচারীরা। স্বাস্থ্যঝুঁকিতে এলাকার মানুষ। ময়লার ভাগাড়ে অতিষ্ঠ মডেল মসজিদের মুসল্লি ও স্থানীয়রা।

আমিনুল ইসলাম নামের এক মুসল্লি মসজিদের কাছে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ডে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, এ মসজিদে প্রতিদিন অসংখ্য মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষজনও নামাজ আদায় করেন। অথচ এই মসজিদের সামনেই ময়লার ভাগাড়। অপরিকল্পিত এত বড় ময়লার ভাগাড়ের কারণে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সময়েও পোহাতে হয় দুর্গন্ধের ভোগান্তি।

ইমতিয়াজ হোসেন নামের আরেক মুসল্লি বলেন, কয়েকদিন পর পর ময়লা মহাসড়কের উপরে চলে আসে ফলে চলাচল করা যায় না। মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে অসুবিধা হয়। কীভাবে এখানে ময়লা ফেলে আমাদের বোধগম্য হয় না। যদি অন্যস্থানে ময়লাগুলো ফেলা হয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়।

আজাদ হোসেন নামের আরেক মুসল্লি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে একটা মডেল মসজিদ তৈরি করে দিয়েছেন কিন্তু ময়লার গন্ধে মসজিদে যাতায়াত ও নামাজ আদায়ে অসুবিধা হয়। প্রশাসনকে কয়েকবার বলেছে কিন্তু কোনো উদ্যোগ দেখিনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন যেভাবেই হোক এই ভোগান্তি থেকে আমাদের মুক্তি দিন।

নিলিমা ইয়াসমিন নামের এক মাদরাসা শিক্ষার্থী বলেন, মাদরাসায় আসতে যেতে আমাদের খুব অসুবিধা হয়। দুর্গন্ধে আমরা থাকতে পারি না। আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি তাই মাদরাসায় যেতে পারি না।

সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়র নুরুল হক চৌধুরী বলেন, পৌরসভার সৃষ্টি থেকেই ময়লা ফেলার কোনো নির্ধারিত স্থান নেই। ময়লার স্থান পরিবর্তন করা আমার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল। আর মহাসড়ক ও মসজিদের সামনে ময়লা ফেলা হবে না। ফলে তখন মানুষের ভোগান্তি থাকবে না। ইতোমধ্যে বগাদিয়া এলাকায় প্রায় দেড় একর জায়গার উপর সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। খুব দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। আধুনিক এই প্রকল্পের মাধ্যমে বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদন করা হবে।