Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭০০ মিটার সড়কে বেহাল দশা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হাউজ মোড় থেকে ফায়ার সার্ভিস মোড় পর্যন্ত। এই সড়কটির দৈর্ঘ্য ৬০০-৭০০ মিটার। জনবহুল ব্যবহৃত এই সড়কটি বছরের পর বছর মেরামত না হওয়ার খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। সেখানে পানি জমে থাকার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এই সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সড়কের একপ্রান্তে আছে জেলা পরিষদ কার্যালয়, নেসকোর বিতরণ বিভাগ-১ ও ২ অফিস এবং আরেক প্রান্তে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস উপ-সহকারী পরিচালকের কার্যালয়সহ ৫৩ বিজিবির কার্যালয়। এসব সরকারি অফিসের লোকজনসহ জেলার গোমস্তাপুর, রহনপুর, নাচোল, আমনুরা এলাকার লাখ লাখ মানুষ এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করেন।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১১ বছর আগে রাস্তাটি সংস্করণ করা হয়েছিল। তবে গত ৪ বছর ধরে এমনই রয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি।

এই সড়কের পাশের দোকানদার মাহবুবুল আলম জানান, পাওয়ার হাউজ মোড়ে ২০০১ সালে একটি দোকান দেন। সেখানে টিন ও গ্যাসের ব্যবসা করেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটিতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল যাতায়াত বেশি করছে। চলছে বাস-ট্রাক। সড়কটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় অটোরিকশার যাত্রীরা দুর্ঘটনার শঙ্কা প্রকাশ করেন।

সেরাজুল ইসলাম নামের এক দোকানদার জানান, দোকানিরা দোকানে নতুন মালামাল তুললেও কিছুক্ষণ পরই সেগুলোতে ধুলা লেগে যায়। অতিরিক্ত ধুলার কারণে নিঃশ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে।

রাশিদুল ইসলাম নামে এক পিকআপ চালক বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মধ্যে ঢোকার জন্য এই সড়কটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তাটিতে যাতায়াতের জন্য অনেক বেগ পেতে হয়। এছাড়া, ধুলাও উড়ে খুব। যার কারণে প্রচণ্ড এই গরমেও এই সড়ক দিয়ে যাতয়াতের সময় মুখে মাস্ক পরে থাকতে হয়।

রফিকুল ইসলাম নামের এক দোকানী ওই সড়কের একটি কালর্ভাট দেখিয়ে বলেন, ওখানে একটা গর্ত আছে। একটি লোড ট্রাক কালভার্টটির ওপর দিয়ে যাতায়াতের সময় ভেঙে যায়। কেউ কালভার্টটি মেরামত করেনি, আমরা কয়েকজন দোকনি মিলে গর্তটি পূরণ করেছিলাম। একদিনতো ওই গর্তে একজন নারী পড়ে গিয়েছিলেন। সেদিন যদিও তার তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আফাজ উদ্দিন বলেন, এই সড়কটি আমাদেরই, এ সড়কটি সংস্কার করতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সে পরিমাণ বাজেট নেই। যার কারণে এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে ন্যস্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী সানজিদা আফরিন ঝিনুক বলেন, শহরের পাওয়া হাউজ মোড় থেকে ফায়ার সার্ভিসের রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি আমাদেরকে ন্যস্ত করার জন্য আবেদন করেছে জেলা পরিষদ। পরে আমাদের অফিসের পক্ষ থেকে রাস্তাটির মালিককানা পরির্বতনের জন্য মিনিষ্ট্রিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমাদের নামে এই রাস্তাটি গেজেট হয়ে অনুমোদন আসলে, সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭০০ মিটার সড়কে বেহাল দশা

প্রকাশের সময় : ০২:৪৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হাউজ মোড় থেকে ফায়ার সার্ভিস মোড় পর্যন্ত। এই সড়কটির দৈর্ঘ্য ৬০০-৭০০ মিটার। জনবহুল ব্যবহৃত এই সড়কটি বছরের পর বছর মেরামত না হওয়ার খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। সেখানে পানি জমে থাকার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এই সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সড়কের একপ্রান্তে আছে জেলা পরিষদ কার্যালয়, নেসকোর বিতরণ বিভাগ-১ ও ২ অফিস এবং আরেক প্রান্তে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস উপ-সহকারী পরিচালকের কার্যালয়সহ ৫৩ বিজিবির কার্যালয়। এসব সরকারি অফিসের লোকজনসহ জেলার গোমস্তাপুর, রহনপুর, নাচোল, আমনুরা এলাকার লাখ লাখ মানুষ এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করেন।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১১ বছর আগে রাস্তাটি সংস্করণ করা হয়েছিল। তবে গত ৪ বছর ধরে এমনই রয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি।

এই সড়কের পাশের দোকানদার মাহবুবুল আলম জানান, পাওয়ার হাউজ মোড়ে ২০০১ সালে একটি দোকান দেন। সেখানে টিন ও গ্যাসের ব্যবসা করেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটিতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল যাতায়াত বেশি করছে। চলছে বাস-ট্রাক। সড়কটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় অটোরিকশার যাত্রীরা দুর্ঘটনার শঙ্কা প্রকাশ করেন।

সেরাজুল ইসলাম নামের এক দোকানদার জানান, দোকানিরা দোকানে নতুন মালামাল তুললেও কিছুক্ষণ পরই সেগুলোতে ধুলা লেগে যায়। অতিরিক্ত ধুলার কারণে নিঃশ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে।

রাশিদুল ইসলাম নামে এক পিকআপ চালক বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মধ্যে ঢোকার জন্য এই সড়কটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তাটিতে যাতায়াতের জন্য অনেক বেগ পেতে হয়। এছাড়া, ধুলাও উড়ে খুব। যার কারণে প্রচণ্ড এই গরমেও এই সড়ক দিয়ে যাতয়াতের সময় মুখে মাস্ক পরে থাকতে হয়।

রফিকুল ইসলাম নামের এক দোকানী ওই সড়কের একটি কালর্ভাট দেখিয়ে বলেন, ওখানে একটা গর্ত আছে। একটি লোড ট্রাক কালভার্টটির ওপর দিয়ে যাতায়াতের সময় ভেঙে যায়। কেউ কালভার্টটি মেরামত করেনি, আমরা কয়েকজন দোকনি মিলে গর্তটি পূরণ করেছিলাম। একদিনতো ওই গর্তে একজন নারী পড়ে গিয়েছিলেন। সেদিন যদিও তার তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আফাজ উদ্দিন বলেন, এই সড়কটি আমাদেরই, এ সড়কটি সংস্কার করতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সে পরিমাণ বাজেট নেই। যার কারণে এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে ন্যস্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী সানজিদা আফরিন ঝিনুক বলেন, শহরের পাওয়া হাউজ মোড় থেকে ফায়ার সার্ভিসের রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি আমাদেরকে ন্যস্ত করার জন্য আবেদন করেছে জেলা পরিষদ। পরে আমাদের অফিসের পক্ষ থেকে রাস্তাটির মালিককানা পরির্বতনের জন্য মিনিষ্ট্রিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমাদের নামে এই রাস্তাটি গেজেট হয়ে অনুমোদন আসলে, সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।