আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতের চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে। এর মাধ্যমে ভারত নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করল। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করল ভারতের মহাকাশযান।
বুধবার (২৩ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পরপরই চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চ্যুয়ালি এই অবতরণ পর্যবেক্ষণ করেন।
ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা এক্সে (আগের নাম টুইটার) পোস্ট করে বলেছে, ভারত, আমি গন্তব্যে পৌঁছে গেছি, সঙ্গে তুমিও: চন্দ্রযান-৩।
এদিকে, চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ইসরোর কর্মকর্তারা। চন্দ্রজয়ের সাফল্যে উদ্বেলিত ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ভারত চাঁদে পৌঁছেছে। সফট ল্যান্ডিং করতে পেরেছি আমরা।
চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করেছে। অভিনন্দন ভারত।
চাঁদের এই অঞ্চল সবসময় অন্ধকার এবং ছাঁয়াযুক্ত থাকায় বিজ্ঞানীরা এখানে পানির ঋৎম থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন। এই অংশে মিশন পাঠানোর মূল উদ্দেশ ছিল পানির সন্ধান।
ভারতের বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, চন্দ্রযান-৩ থেকে শিগগির চাঁদের পৃষ্ঠে একটি রোভার নামানো সম্ভব হবে এবং সেটি পৃথিবীতে ছবি ও ভিডিও পাঠাতে পারবে।
সম্প্রতি চন্দ্রাভিযানে গিয়ে রাশিয়ার লুনা-২৫ ভেঙে পড়েছে। কিন্তু ইতিহাস গড়ল ভারতের চন্দ্রযান-৩।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবতরণ দেখার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে লাইভ স্ট্রিমে ইসরোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে ব্রাজিল, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও চীনের নেতাদের সঙ্গে ব্রিকস রাজনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গে রয়েছেন মোদি। চন্দ্র অভিযানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সাফল্যের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে তালিকায় নাম লিখিয়েছে ভারত।
এদিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল শেষ ১৫ মিনিটের যাত্রা। প্রথমে চাঁদের ওপর ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হয় ল্যান্ডার বিক্রমকে। অবতরণ স্থল থেকে তার দূরত্ব ছিল ৭৪৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার। ৩০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে চাঁদের দিকে নেমে আসার প্রক্রিয়ায় ল্যান্ডারের গতিবেগ ছিল প্রতি সেকেন্ডে ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার। পরে ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে সফলভাবে সেটিকে নামিয়ে আনা হয় চাঁদের মাটিতে।