নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদা আদায়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুর একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ওই ভিডিওটি বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন জোরপূর্বক অপুকে দিয়ে বানিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন অপুর স্ত্রী আনিসা।
আনিসা দাবি করেন, অপুকে তুলে নিয়ে মারধর ও মানসিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারনের পর অপুকে ডিবি পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএনপি নেতা ইশরাক ও তার লোকজন। এছাড়াও জোর করে অপু থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়ার সময় ইশরাক ও তার লোকজন ছাত্রদের মধ্যে নাহিদ অথবা আসিফ চাঁদাবাজির সাথে জড়িত আছে এমন একজন উপদেষ্টার নাম ভিডিওতে বলার জন্য বলে দেয়।
তিনি দাবি করেন, অপুকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে মারধর করে আহত করেছে। এমন কোনো মেডিকেল সার্টিফিকেট আদালতে জমা দেয়নি পুলিশ। আমরা বারবার আদালতে মাধ্যমে বলার পরও পুলিশ তা দেখাতে পারেনি।
আনিসা সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন ভিডিও ধারনের সময় সামনে থেকে কেউ একজন অপুকে প্রশ্ন করছে। যদি ভিডিওটি অপু তার কোনো বন্ধুকে স্বীকারোক্তি হিসেবে দিয়ে যেতো। তাহলে তাকে কেউ প্রশ্ন করার দরকার ছিল না। কিন্তু এ প্রশ্নগুলো ইশরাক ও তার লোকজন করছিল। এখন সে ভিডিও টি কাটছাট করে নতুন করে এডিট করে একটি মহল তারা এনসিপির বদনাম করার জন্য ফেসবুক, ইউটিউবে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
‘আওয়ামী লীগের এমপি সাম্মী আক্তারকে খোঁজে বের করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া ছিল অপুদের মূল উদ্দেশ্য। সেখানে একটা ফাঁদ পেতে একটি দল টাকা পয়সার বিষয় টেনে এনে তাদেরকে ফাঁসিয়েছে। এর আগে অপুর বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি কিংবা অপরাধের অভিযোগ নেই এবং ঘটনার সময় অপু সেখানে উপস্থিত ছিল না। যে ভিডিওটি দেখিয়ে বলা হয়েছে এটা অপু। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভুল। অপু সেখানেই উপস্থিত ছিল না। যখন সে বুঝতে পারছে এখানে টাকা পয়সার বিষয় আসতে পারে। তখন সে এসব দুর্নামের ভয়ে মিঠামাইন চলে গেছে। এরপরও তাকে সেখান থেকে ধরে নিয়ে এসে ইশরাকের লোকজন ইশরাকের গোপীবাগ বাসায় নিয়ে মারধর ও মানসিক নির্যাতনের পর জোর করে তার থেকে ভিডিও স্বীকারোক্তি আদায় করে। অপু বিপদে পড়ার পর তার দল তাকে বহিষ্কার করেছে। তার আশেপাশে তখন কেউ ছিল না। তার বাবা মারা গেছে। মা আরেক জায়গায় বিয়ে করে চলে গেছে। তার পাশে এখন আর কেউ নেই। সে বিপদে পড়ার পর তাকে আইনি সহায়তা দেওয়ার মতো কেউ ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, আজকে আমার এ সংবাদ সম্মেলনের পর আমার জীবনের নিরাপত্তা কে দেবে। এ সংবাদ সম্মেলনের পর আমার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছি। এমনও হতে পারে, আমার স্বামী অপু কোনোদিন জামিন পাবে না। আবার এমনও হতে পারে, আজকে আমার এ সংবাদ সম্মেলনের পর তার নামে নতুন নতুন মামলা হয়ে যাবে। আবার এমনও হতে পারে, খুব দ্রুত কোনো তদন্ত ছাড়াই মামলার রায় দিয়ে তাকে জেলহাজতে রেখে দেবে কিনা তা আমি নিশ্চিত না। একটি স্বার্থান্বেষী মহল, আমার এবং আমার স্বামীর বিভিন্ন ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।