Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে মেঘনায় যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন

চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

চাঁদপুরের র মেঘনা নদীতে হাইমচর উপজেলার মাঝিরচরে ভোলা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টায় চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের কাছাকাছি মাঝেরচর নামক স্থানে ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুরের উপ-পরিচালক বশির আলী খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে স্পার্ক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এরপর মাঝিরচরে লঞ্চটি ভিড়িয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কর্ণফুলী-৩ এর যাত্রীদের কর্ণফুলী-৪ লঞ্চের মাধ্যমে ফেরত আনা হচ্ছে এবং বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের সহকারী মাস্টার মো. রইচ উদ্দিন সুমন জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কয়েক শ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে লঞ্চটির ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে লঞ্চটি আবাল বিল চরে নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

সহকারী মাস্টার আরও জানান, আগুন লাগার পরই তা পুরো ইঞ্জিনরুমে ছড়িয়ে পড়ে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সহায়তা চাওয়া হয়। চরে নামিয়ে দেওয়া যাত্রীদের কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ ঢাকায় নিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে লঞ্চটিতে থাকা মনিরুল ইসলাম রুবেল নামে এক যাত্রী জানান, আগুন লাগার খবরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ প্রাণ বাঁচাতে নদীতে লাফ দেন। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগুন লাগার পরই ইঞ্জিন রুমসহ লঞ্চের নিচতলা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।

এ বিষয়ে হাইমচর নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার পরে লঞ্চটি পাড়ে ভিড়িয়ে দেয়। লঞ্চে চার শতাধিক যাত্রী ছিল। নৌ-পুলিশ ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কর্ণফুলী লঞ্চ কোম্পানির আরেকটি লঞ্চে ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধেক যাত্রী উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো হবে।’

এদিকে ঘটনা জানতে পেরে নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

চাঁদপুরে মেঘনায় যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন

প্রকাশের সময় : ০৩:০৩:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

চাঁদপুরের র মেঘনা নদীতে হাইমচর উপজেলার মাঝিরচরে ভোলা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টায় চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের কাছাকাছি মাঝেরচর নামক স্থানে ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুরের উপ-পরিচালক বশির আলী খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে স্পার্ক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এরপর মাঝিরচরে লঞ্চটি ভিড়িয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কর্ণফুলী-৩ এর যাত্রীদের কর্ণফুলী-৪ লঞ্চের মাধ্যমে ফেরত আনা হচ্ছে এবং বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের সহকারী মাস্টার মো. রইচ উদ্দিন সুমন জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কয়েক শ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে লঞ্চটির ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে লঞ্চটি আবাল বিল চরে নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

সহকারী মাস্টার আরও জানান, আগুন লাগার পরই তা পুরো ইঞ্জিনরুমে ছড়িয়ে পড়ে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সহায়তা চাওয়া হয়। চরে নামিয়ে দেওয়া যাত্রীদের কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ ঢাকায় নিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে লঞ্চটিতে থাকা মনিরুল ইসলাম রুবেল নামে এক যাত্রী জানান, আগুন লাগার খবরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ প্রাণ বাঁচাতে নদীতে লাফ দেন। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগুন লাগার পরই ইঞ্জিন রুমসহ লঞ্চের নিচতলা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।

এ বিষয়ে হাইমচর নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার পরে লঞ্চটি পাড়ে ভিড়িয়ে দেয়। লঞ্চে চার শতাধিক যাত্রী ছিল। নৌ-পুলিশ ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কর্ণফুলী লঞ্চ কোম্পানির আরেকটি লঞ্চে ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধেক যাত্রী উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো হবে।’

এদিকে ঘটনা জানতে পেরে নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন।