Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলতি সপ্তাহে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় ঐকমত্য কমিশন : আলী রীয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেন, চলতি সপ্তাহে তিন দিন আলোচনা হবে। বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় কমিশন।

রোববার (১৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১২তম দিনের আলোচনার সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সংলাপের আলোচ্য সূচিতে রয়েছে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এরই মধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, দ্রুততার সঙ্গে অগ্রসর হয়ে জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারলে আপনাদের দিক হতে, আপনাদের দিক হতে সর্বোপরি নাগরিকদের থেকে সকলেই প্রত্যাশায় আছেন, দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে প্রত্যাশা করছেন আমরা খুব দ্রুততার সঙ্গে যেতে পারব।

আলী রীয়াজ বলেন, কিছু মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য পৌঁছানোর মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে হবে। সেটার লক্ষ্য ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে যেকোন প্রক্রিয়ায়। বড়জোর ৩১ জুলাইয়ে যেতে পারি। আমরা চেষ্টা করছি জুলাই মাসের মধ্যে যেভাবে হোক একটি যৌক্তিক জায়গায় আসা। তা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনের পদক্ষেপ।

সংলাপে অংশ নেওয়ায় দলগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা নিয়মিত আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। এতে বার বার প্রমাণ হচ্ছে আপনারা আন্তরিকভাবে সংস্কার প্রক্রিয়া এবং তার এজেন্ডা তৈরি করার ব্যাপারে, বাংলাদেশের ভবিষ্যত পথরেখা তৈরি করার ব্যাপারে আন্তরিক অংশগ্রহণ।

আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে যেকোন ভাবেই হোক চলতি মাসের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করতে চাই। কারণ প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা, অন্যান্য সাংগঠনিক কাজ, নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে আপনাদের অংশগ্রহণ বিলম্বিত হচ্ছে, তা আমরা চাই না। সেদিক থেকে বিবেচনা করে আমরা যে মৌলিক বিষয়গুলোর ব্যাপারে আলোচনা করছি। সেগুলো নিয়ে দ্রুত ঐকমত্যের জায়গায় আসতে পারলে আমাদের পক্ষে এ পর্বের যৌক্তিক সমাপ্তি এবং জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, মৌলিক কিছু বিষয়ে আমরা একমত হতে পেরেছি, কিছু বিষয়ে কাছাকাছি অবস্থানে আছি। আজকের দুটো বিষয়ে গত কয়েকদিনের আলোচনায় আমরা খুব কাছাকাছি আছি। সেদিক আমরা বিবেচনা করছি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণার সমাপ্তি টানতি পারি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিএনপি মব ভায়োলেন্সে বিশ্বাস করে না : এ জেড এম জাহিদ হোসেন

চলতি সপ্তাহে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় ঐকমত্য কমিশন : আলী রীয়াজ

প্রকাশের সময় : ১২:৩৯:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেন, চলতি সপ্তাহে তিন দিন আলোচনা হবে। বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় কমিশন।

রোববার (১৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১২তম দিনের আলোচনার সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সংলাপের আলোচ্য সূচিতে রয়েছে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এরই মধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, দ্রুততার সঙ্গে অগ্রসর হয়ে জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারলে আপনাদের দিক হতে, আপনাদের দিক হতে সর্বোপরি নাগরিকদের থেকে সকলেই প্রত্যাশায় আছেন, দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে প্রত্যাশা করছেন আমরা খুব দ্রুততার সঙ্গে যেতে পারব।

আলী রীয়াজ বলেন, কিছু মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য পৌঁছানোর মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে হবে। সেটার লক্ষ্য ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে যেকোন প্রক্রিয়ায়। বড়জোর ৩১ জুলাইয়ে যেতে পারি। আমরা চেষ্টা করছি জুলাই মাসের মধ্যে যেভাবে হোক একটি যৌক্তিক জায়গায় আসা। তা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনের পদক্ষেপ।

সংলাপে অংশ নেওয়ায় দলগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা নিয়মিত আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। এতে বার বার প্রমাণ হচ্ছে আপনারা আন্তরিকভাবে সংস্কার প্রক্রিয়া এবং তার এজেন্ডা তৈরি করার ব্যাপারে, বাংলাদেশের ভবিষ্যত পথরেখা তৈরি করার ব্যাপারে আন্তরিক অংশগ্রহণ।

আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে যেকোন ভাবেই হোক চলতি মাসের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করতে চাই। কারণ প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা, অন্যান্য সাংগঠনিক কাজ, নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে আপনাদের অংশগ্রহণ বিলম্বিত হচ্ছে, তা আমরা চাই না। সেদিক থেকে বিবেচনা করে আমরা যে মৌলিক বিষয়গুলোর ব্যাপারে আলোচনা করছি। সেগুলো নিয়ে দ্রুত ঐকমত্যের জায়গায় আসতে পারলে আমাদের পক্ষে এ পর্বের যৌক্তিক সমাপ্তি এবং জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, মৌলিক কিছু বিষয়ে আমরা একমত হতে পেরেছি, কিছু বিষয়ে কাছাকাছি অবস্থানে আছি। আজকের দুটো বিষয়ে গত কয়েকদিনের আলোচনায় আমরা খুব কাছাকাছি আছি। সেদিক আমরা বিবেচনা করছি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণার সমাপ্তি টানতি পারি।