Dhaka মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলতি সংসদের শেষ অধিবেশন ২২ অক্টোবর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৪:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
  • ২১৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ২২ অক্টোবর। এটি হবে চলতি সংসদের শেষ অধিবেশন। ওই দিন বিকাল ৪টায় সংসদের বৈঠক বসবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

এটি হবে চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম এবং চলতি বছরে পঞ্চম অধিবেশন। এ অধিবেশনই হবে চলতি একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশন। রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

চলতি একাদশ সংসদ ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল। সংবিধানের বিধান মতে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়া সাপেক্ষে মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে সংসদ অধিবেশনের ক্ষেত্রে সংবিধানের বিধান হচ্ছে একটি অধিবেশন থেকে পরবর্তী অধিবেশনের মধ্যবর্তী বিরতি ৬০ দিনের বেশি হবে না। তবে তবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের শেষ নব্বই দিনের মধ্যে সংসদের বৈঠক বসার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। অর্থাৎ নির্বাচনকালের ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ অধিবেশনে প্রয়োজন পড়বে না। আগামী দুই নভেম্বর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কাউন্ট ডাউন শুরু হবে। ফলে আসন্ন অধিবেশনটি হচ্ছে সংসদের শেষ অধিবেশন। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত অধিবেশনে জানিয়ে দিয়েছেন, পরের অধিবেশনটি হবে শেষ অধিবেশন।

এ অধিবেশন স্বল্পকালীন হবে এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ হবে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয় একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশন। সংসদে সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশন ঘোষণা সম্পর্কিত রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠের মধ্য দিয়ে অধিবেশন সমাপ্তি টানেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ৯ কার্যদিবসের এই অধিবেশনে ১৮টি বিল পাস হয়। সংসদে বিল তোলা হয় ৩৫টি।

বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া অধিবেশনে তিনটি কমিটি পুনর্গঠন হয়েছে। স্থায়ী কমিটি ১৭টি রিপোর্ট উপস্থাপন করেছে। এছাড়া স্থায়ী কমিটির কার্যক্রম রিপোর্ট উত্থাপন হয়েছে ৩০টি।

প্রধানমন্ত্রীর জবাবদানের জন্য ২৫টি প্রশ্ন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ১১টির জবাব দিয়েছেন। অন্যান্য মন্ত্রীদের জন্য ৭৩৯টি প্রশ্ন পড়েছিল এর মধ্যে জবাব এসেছে ৫২৬টির।

উল্লেখ্য, অক্টোবরে শুরু হওয়া অধিবেশনটি হতে চলেছে একাদশ জাতীয় সংসদের সর্বশেষ অধিবেশন। এরপরে আগামী নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে একাধিকবার জানিয়েছে এ সাংবিধানিক সংস্থাটি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়কের বেহাল দশা, চলাচলে চরম ভোগান্তি

চলতি সংসদের শেষ অধিবেশন ২২ অক্টোবর

প্রকাশের সময় : ১০:১৪:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ২২ অক্টোবর। এটি হবে চলতি সংসদের শেষ অধিবেশন। ওই দিন বিকাল ৪টায় সংসদের বৈঠক বসবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

এটি হবে চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম এবং চলতি বছরে পঞ্চম অধিবেশন। এ অধিবেশনই হবে চলতি একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশন। রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

চলতি একাদশ সংসদ ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল। সংবিধানের বিধান মতে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়া সাপেক্ষে মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে সংসদ অধিবেশনের ক্ষেত্রে সংবিধানের বিধান হচ্ছে একটি অধিবেশন থেকে পরবর্তী অধিবেশনের মধ্যবর্তী বিরতি ৬০ দিনের বেশি হবে না। তবে তবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের শেষ নব্বই দিনের মধ্যে সংসদের বৈঠক বসার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। অর্থাৎ নির্বাচনকালের ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ অধিবেশনে প্রয়োজন পড়বে না। আগামী দুই নভেম্বর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কাউন্ট ডাউন শুরু হবে। ফলে আসন্ন অধিবেশনটি হচ্ছে সংসদের শেষ অধিবেশন। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত অধিবেশনে জানিয়ে দিয়েছেন, পরের অধিবেশনটি হবে শেষ অধিবেশন।

এ অধিবেশন স্বল্পকালীন হবে এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ হবে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয় একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশন। সংসদে সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশন ঘোষণা সম্পর্কিত রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠের মধ্য দিয়ে অধিবেশন সমাপ্তি টানেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ৯ কার্যদিবসের এই অধিবেশনে ১৮টি বিল পাস হয়। সংসদে বিল তোলা হয় ৩৫টি।

বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া অধিবেশনে তিনটি কমিটি পুনর্গঠন হয়েছে। স্থায়ী কমিটি ১৭টি রিপোর্ট উপস্থাপন করেছে। এছাড়া স্থায়ী কমিটির কার্যক্রম রিপোর্ট উত্থাপন হয়েছে ৩০টি।

প্রধানমন্ত্রীর জবাবদানের জন্য ২৫টি প্রশ্ন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ১১টির জবাব দিয়েছেন। অন্যান্য মন্ত্রীদের জন্য ৭৩৯টি প্রশ্ন পড়েছিল এর মধ্যে জবাব এসেছে ৫২৬টির।

উল্লেখ্য, অক্টোবরে শুরু হওয়া অধিবেশনটি হতে চলেছে একাদশ জাতীয় সংসদের সর্বশেষ অধিবেশন। এরপরে আগামী নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে একাধিকবার জানিয়েছে এ সাংবিধানিক সংস্থাটি।