Dhaka সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চরভদ্রাসনে দুই কিলোমিটার সড়কে চলাচলের অযোগ্য, ভোগান্তিতে স্থানীয় বাসিন্দারা

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর সুলতানপুর থেকে গাজিরটেক সড়কের ধোপাডাঙ্গী মৃধাবড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ইটের সলিং উঠে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি পানি জমে ডুবে যায়, চরম ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এলাকাবাসীরা জানান, চর সুলতানপুর থেকে গাজিরটেক সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে। সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে পানি জমে যায়। এতে প্রায়ই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয় বৃদ্ধ রফি মৃধা আক্ষেপ করে বলেন, প্রতিবার জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাসই দেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। বর্ষাকালে রাস্তাটি পানিতে এমনভাবে ডুবে যায় যে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এমনকি নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়াও সম্ভব হয় না।

আলিয়া বেগম নামের এক নারী বলেন বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় ভ্যানগাড়িও চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার ওপর সারাবছরই পানি জমে থাকে। স্কুল, মসজিদ বা মাদ্রাসায় যেতে হলে অন্যের আঙিনা দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। কেউ অসুস্থ হলে গ্রামে অ্যাম্বুলেন্সও ঢুকতে পারে না।

গাজিরটেক ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। আমরা বিষয়টি নিয়ে উপজেলা এলজিইডি ও জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, খুব শিগগিরই রাস্তাটি পাকা করার কাজ শুরু হবে।

চরভদ্রাসন উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল সাত্তার বলেন, যেসব রাস্তায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো অনেক আগে উন্নয়ন করা হয়েছিল। রাস্তাগুলো পুনরায় টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলেই আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করব।

চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, নতুন অর্থবছরে আমরা বেশ কয়েকটি সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। সেই সঙ্গে এই সড়কটিকে সংস্কার করে সুন্দরভাবে চলাচল উপযোগী করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চরভদ্রাসনে দুই কিলোমিটার সড়কে চলাচলের অযোগ্য, ভোগান্তিতে স্থানীয় বাসিন্দারা

প্রকাশের সময় : ০৩:৩২:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর সুলতানপুর থেকে গাজিরটেক সড়কের ধোপাডাঙ্গী মৃধাবড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ইটের সলিং উঠে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি পানি জমে ডুবে যায়, চরম ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এলাকাবাসীরা জানান, চর সুলতানপুর থেকে গাজিরটেক সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে। সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে পানি জমে যায়। এতে প্রায়ই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয় বৃদ্ধ রফি মৃধা আক্ষেপ করে বলেন, প্রতিবার জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাসই দেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। বর্ষাকালে রাস্তাটি পানিতে এমনভাবে ডুবে যায় যে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এমনকি নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়াও সম্ভব হয় না।

আলিয়া বেগম নামের এক নারী বলেন বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় ভ্যানগাড়িও চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার ওপর সারাবছরই পানি জমে থাকে। স্কুল, মসজিদ বা মাদ্রাসায় যেতে হলে অন্যের আঙিনা দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। কেউ অসুস্থ হলে গ্রামে অ্যাম্বুলেন্সও ঢুকতে পারে না।

গাজিরটেক ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। আমরা বিষয়টি নিয়ে উপজেলা এলজিইডি ও জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, খুব শিগগিরই রাস্তাটি পাকা করার কাজ শুরু হবে।

চরভদ্রাসন উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল সাত্তার বলেন, যেসব রাস্তায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো অনেক আগে উন্নয়ন করা হয়েছিল। রাস্তাগুলো পুনরায় টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলেই আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করব।

চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, নতুন অর্থবছরে আমরা বেশ কয়েকটি সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। সেই সঙ্গে এই সড়কটিকে সংস্কার করে সুন্দরভাবে চলাচল উপযোগী করা হবে।