Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম-১৬ আসনে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম এক প্রেস বিফিংয়ে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এর আগেও নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল নির্বাচন কমিশন। শেষ পর্যন্ত তার প্রার্থিতা বাতিল করেছি আমরা।

প্রার্থিতা বাতিলের কারণ হিসেবে ইসি সচিব বলেন, ওই প্রার্থী আগেও আচরণবিধে লঙ্ঘন করেছিলেন। আজ নির্বাচনের দিনও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হুমকি দিয়েছেন। চট্টগ্রামের এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ভোটে সংসদ সদস্য হন। কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়ে ‘অশালীন’ মন্তব্য, প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মিছিলসহ নানা কারণে তিনি সমালোচিত হয়েছেন।

ভোটের মাত্র ৪৫ মিনিট আগে কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি হুমকি প্রদর্শন করছেন উনি (মোস্তাফিজুর রহমান)।

ইতোমধ্যে মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্গনের মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি হুমকি প্রদর্শন করেছে মোস্তাফিজুর রহমান। চরম আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তার এই প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।

ওই আসনে ভোট চলবে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই আসনে যদি একাধিক প্রার্থী থাকে, তাহলে অবশ্যই সেখানে ভোট চলবে।

এই আসনে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের মুজিবুর রহমান ও ট্রাক প্রতীকের আবদুল্লাহ কবির। এর মধ্যে মুজিবুর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও আবদুল্লাহ কবির দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে আসনটি গঠিত। ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ৭০ হাজার ৭৭৮ জন। আসনটিতে মোট প্রার্থী রয়েছেন ১০ জন। বাকি সাত জন হলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবদুল মালেক (চেয়ার), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) আশীষ কুমার শীল (কুঁড়েঘর), বাংলাদেশ কংগ্রেসের এম জিল্লুল করিম শরীফ (ডাব), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মামুন আবছার চৌধুরী (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহিউল আলম চৌধুরী (মোমবাতি), ইসলামী ঐক্যজোটের শফকত হোসাইন চাটগামী (মিনার) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খালেকুজ্জামান (বেঞ্চ)।

চট্টগ্রামের সব আসনে (১৬টি) এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১২৫ প্রার্থী। জেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন। নারী ভোটার রয়েছেন ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭৪৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৫৪ জন।

চট্টগ্রামের সব আসন মিলিয়ে মোট ভোটকেন্দ্র ২ হাজার ২৩টি এবং ভোটকক্ষ ১৩ হাজার ৭৩২টি। প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৪৩ হাজার ২১৯ জন। ১০ শতাংশ অতিরিক্তসহ ভোটগ্রহণের দায়িত্বে আছেন মোট ৪৭ হাজার ৫৪৪ জন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মব জাস্টিস সরকার কোনোভাবেই বরদাশত করে না : রিজওয়ানা হাসান

চট্টগ্রাম-১৬ আসনে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম এক প্রেস বিফিংয়ে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এর আগেও নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল নির্বাচন কমিশন। শেষ পর্যন্ত তার প্রার্থিতা বাতিল করেছি আমরা।

প্রার্থিতা বাতিলের কারণ হিসেবে ইসি সচিব বলেন, ওই প্রার্থী আগেও আচরণবিধে লঙ্ঘন করেছিলেন। আজ নির্বাচনের দিনও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হুমকি দিয়েছেন। চট্টগ্রামের এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ভোটে সংসদ সদস্য হন। কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়ে ‘অশালীন’ মন্তব্য, প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মিছিলসহ নানা কারণে তিনি সমালোচিত হয়েছেন।

ভোটের মাত্র ৪৫ মিনিট আগে কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি হুমকি প্রদর্শন করছেন উনি (মোস্তাফিজুর রহমান)।

ইতোমধ্যে মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্গনের মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি হুমকি প্রদর্শন করেছে মোস্তাফিজুর রহমান। চরম আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তার এই প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।

ওই আসনে ভোট চলবে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই আসনে যদি একাধিক প্রার্থী থাকে, তাহলে অবশ্যই সেখানে ভোট চলবে।

এই আসনে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের মুজিবুর রহমান ও ট্রাক প্রতীকের আবদুল্লাহ কবির। এর মধ্যে মুজিবুর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও আবদুল্লাহ কবির দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে আসনটি গঠিত। ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ৭০ হাজার ৭৭৮ জন। আসনটিতে মোট প্রার্থী রয়েছেন ১০ জন। বাকি সাত জন হলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবদুল মালেক (চেয়ার), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) আশীষ কুমার শীল (কুঁড়েঘর), বাংলাদেশ কংগ্রেসের এম জিল্লুল করিম শরীফ (ডাব), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মামুন আবছার চৌধুরী (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহিউল আলম চৌধুরী (মোমবাতি), ইসলামী ঐক্যজোটের শফকত হোসাইন চাটগামী (মিনার) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খালেকুজ্জামান (বেঞ্চ)।

চট্টগ্রামের সব আসনে (১৬টি) এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১২৫ প্রার্থী। জেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন। নারী ভোটার রয়েছেন ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭৪৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৫৪ জন।

চট্টগ্রামের সব আসন মিলিয়ে মোট ভোটকেন্দ্র ২ হাজার ২৩টি এবং ভোটকক্ষ ১৩ হাজার ৭৩২টি। প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৪৩ হাজার ২১৯ জন। ১০ শতাংশ অতিরিক্তসহ ভোটগ্রহণের দায়িত্বে আছেন মোট ৪৭ হাজার ৫৪৪ জন।