চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :
বৃষ্টির পানি এবং পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ। একারণে সড়কটির বিভিন্ন অংশে যান চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান ও কক্সবাজারের যোগাযোগ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ভোর থেকে এ সড়কের কসাইপাড়া পাঠানিপুল এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়ক বন্ধ থাকায় দুই পাশে কমপক্ষে দুই কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। কিছু কিছু যানবাহন বিকল্প সড়ক বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম শহরে আসা যাওয়া করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বান্দরবান থেকে নেমে আসা সাংগু ও ডলু নদীর ঢল এবং কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক ডুবে গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। ডুবে গেছে একতলা বাড়িও। এছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা এবং নেটওয়ার্ক সমস্যা তৈরি হওয়ায় ওই এলাকার লোকজন মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
দোহাজারি হাইওয়ে পুলিশের ওসি খান মোহাম্মদ এরফান বলেন, টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানি সরাসরি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সড়কের ওপর এখন কোমর সমান পানি। যে কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সমস্যাটি সোমবার রাত ৯টা থেকে শুরু হয়। তখন বড় গাড়িগুলো ধীরে আসা-যাওয়া করতে পারলেও ভোর থেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তা বন্ধ হয়ে যায়।
চন্দনাইশ উপজেলার বাসিন্দা আবিদুর রহমান বাবুল জানান, টানা বৃষ্টিতে চন্দনাইশ উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দিয়েছে। বহু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের কসাইপাড়া পাঠানিপুল এলাকায় সড়কের ওপর কোমর সমান পানি জমেছে। এ কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্তত এক কিলোমিটার এলাকায় পানি রয়েছে। সড়কের দুই পাশে কক্সবাজারগামী এবং চট্টগ্রামগামী অন্তত এক কিলোমিটার করে দুই কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। গাড়িগুলো পানি কমার অপেক্ষায় রয়েছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের কসাইপাড়া, সাতকানিয়ায় কেরানিহাট ও আশেপাশের এলাকা এবং লোহাগাড়া উপজেলার কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। একারণে এই মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলতে পারছে না। বিচ্ছিন্নভাবে দু’একটি ট্রাক হয়তো চলাচল করছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ বলেন, বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া শহরে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিরাপদে স্থানান্তর এবং তাদের খাবার দেওয়া হচ্ছে।