Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম আদালত থেকে গায়েব হওয়া ৯ বস্তা নথি মিললো ভাঙারির দোকানে

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

চট্টগ্রাম আদালতের সরকারি কৌঁসুলি কক্ষের সামনের বারান্দা থেকে গায়েব হওয়া মামলার নথির বস্তা ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক চা বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে এসব নথি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, চুরি যাওয়া নথিগুলো পাথরঘাটা এলাকার একটি ভাঙারির দোকানে ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। গত দুই দিনের আদালতের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ সন্দেহভাজন এক জনকে শনাক্ত করে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ৯ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, আটক ব্যক্তি আদালত চত্বরে চা বিক্রি করতেন। তবে তার নাম জানানো হয়নি।

জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ের বাইরে রাখা ৩০টি আদালতের ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি (কেস ডকেট বা সিডি) চুরি হয়। মহানগর পিপি অফিসে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অফিসটির বাইরে এসব সিডি রাখা হয়েছিল। আদালতের অবকাশকালীন সময়ের মধ্যে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলার এসব নথি উধাও হয়। এ ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া জিডিটি করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, মহানগর দায়রা জজের অধীন ৩০টি মহানগর দায়রা জজ আদালতের ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি গায়েব হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে মহানগর পিপি কার্যালয়ের সামনে রাখা ছিল এসব নথি। নথিগুলো পলিথিনে মোড়ানো ছিল। মূলত পিপি অফিসে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে নথিগুলো আদালতের বারান্দায় রাখা হয়। হত্যা, ডাকাতি, মাদক থেকে শুরু বিস্ফোরক মামলা, চোরাচালান মামলার সিডি ছিল।

এর আগে চট্টগ্রাম আদালতের ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া। এ ঘটনায় রোববার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মহানগর পিপি অফিসে প্রায় ২৮-৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি অফিসের জায়গা স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল পিপি অফিসের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১ কেস ডকেট (সিডি) পলিথিনে মোড়ানো স্তূপ আকারে রক্ষিত ছিল। ১২ ডিসেম্বর মহানগর কোর্টের সর্বশেষ ভেকেশন কোর্ট ছিল। তারপর থেকে মহানগর আদালত ও পিপি অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে জিডি করা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশের বিচার ও আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন : শিল্প উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম আদালত থেকে গায়েব হওয়া ৯ বস্তা নথি মিললো ভাঙারির দোকানে

প্রকাশের সময় : ০১:১০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

চট্টগ্রাম আদালতের সরকারি কৌঁসুলি কক্ষের সামনের বারান্দা থেকে গায়েব হওয়া মামলার নথির বস্তা ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক চা বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে এসব নথি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, চুরি যাওয়া নথিগুলো পাথরঘাটা এলাকার একটি ভাঙারির দোকানে ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। গত দুই দিনের আদালতের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ সন্দেহভাজন এক জনকে শনাক্ত করে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ৯ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, আটক ব্যক্তি আদালত চত্বরে চা বিক্রি করতেন। তবে তার নাম জানানো হয়নি।

জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ের বাইরে রাখা ৩০টি আদালতের ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি (কেস ডকেট বা সিডি) চুরি হয়। মহানগর পিপি অফিসে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অফিসটির বাইরে এসব সিডি রাখা হয়েছিল। আদালতের অবকাশকালীন সময়ের মধ্যে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলার এসব নথি উধাও হয়। এ ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া জিডিটি করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, মহানগর দায়রা জজের অধীন ৩০টি মহানগর দায়রা জজ আদালতের ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি গায়েব হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে মহানগর পিপি কার্যালয়ের সামনে রাখা ছিল এসব নথি। নথিগুলো পলিথিনে মোড়ানো ছিল। মূলত পিপি অফিসে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে নথিগুলো আদালতের বারান্দায় রাখা হয়। হত্যা, ডাকাতি, মাদক থেকে শুরু বিস্ফোরক মামলা, চোরাচালান মামলার সিডি ছিল।

এর আগে চট্টগ্রাম আদালতের ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া। এ ঘটনায় রোববার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মহানগর পিপি অফিসে প্রায় ২৮-৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি অফিসের জায়গা স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল পিপি অফিসের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১ কেস ডকেট (সিডি) পলিথিনে মোড়ানো স্তূপ আকারে রক্ষিত ছিল। ১২ ডিসেম্বর মহানগর কোর্টের সর্বশেষ ভেকেশন কোর্ট ছিল। তারপর থেকে মহানগর আদালত ও পিপি অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে জিডি করা হয়েছে।