Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ৩ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় ধসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন মাটির নিচে চাপা পড়েছেন বলে জানা গেছে। আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৬ টার দিকে থানার বেলতলীঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় ধসে এ পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। এখনও কয়েকজন মাটির নিচে আটকে আছেন বলে স্বজনরা দাবি করছেন। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বেলতল এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ এবং স্থানীয় লোকজন উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। ওই এলাকায় একটি সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে পাহাড় কেটেছেন শ্রমিকরা। এ কারণে এ পাহাড় ধসে পড়েছে। মাঠির নিচে আর কেউ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এর আগে বেশ কয়েকবার পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম মহানগরে ৬৫ পাহাড়ের মধ্যে ৩৪ পাহাড়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি। এরমধ্যে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যক্তিমালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৫৩১টি। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন সাতটি পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩০৪টি।

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রামের কোথাও না কোথাও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে পাহাড় ধসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় ২০০৭ সালে। ওই বছরের ১১ জুন টানা বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে মারা যান ৩০ জন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় ধসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন মাটির নিচে চাপা পড়েছেন বলে জানা গেছে। আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৬ টার দিকে থানার বেলতলীঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় ধসে এ পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। এখনও কয়েকজন মাটির নিচে আটকে আছেন বলে স্বজনরা দাবি করছেন। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বেলতল এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ এবং স্থানীয় লোকজন উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। ওই এলাকায় একটি সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে পাহাড় কেটেছেন শ্রমিকরা। এ কারণে এ পাহাড় ধসে পড়েছে। মাঠির নিচে আর কেউ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এর আগে বেশ কয়েকবার পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম মহানগরে ৬৫ পাহাড়ের মধ্যে ৩৪ পাহাড়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি। এরমধ্যে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যক্তিমালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৫৩১টি। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন সাতটি পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩০৪টি।

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রামের কোথাও না কোথাও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে পাহাড় ধসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় ২০০৭ সালে। ওই বছরের ১১ জুন টানা বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে মারা যান ৩০ জন।