চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :
কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেন, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় চট্টগ্রাম বন্দর শুধু অর্থনৈতিকভাবেই নয়, একইসঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক এবং সামরিকভাবেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এসব বিবেচনায় নিয়ে একটি সমন্বিত বন্দরনীতি প্রণয়ন করতে হবে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ‘চট্টগ্রাম বন্দর: বাস্তবতা ও সংস্কার’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
ইংরেজি দৈনিক দ্য পিপলস ভিউ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা কানেক্টিভিটির বিপক্ষে নয়, কিন্তু ভারত কানেক্টিভিটির নামে করিডোর চায়। এটা একটি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। পতিত স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য কানেক্টিভিটির নামে ভারতকে করিডোর দেওয়ার অপচেষ্টা করেছিল। দেশের ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের রুখে দিয়েছে।’ বর্তমান সরকারকেও পতিত সরকারের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রামের বন্দর ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের উদ্যোগ নিতে হবে যারা বন্দর সম্পর্কে ভালো জানেন, একত্রিত হোন। দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে এমন একটি নীতির বাস্তবতা আছে, চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করেই বন্দরনীতি হওয়া প্রয়োজন।’
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘দেশে এতদিন ব্যবসার নামে লুটপাট চলেছে। দেশে এখন আর কোন ব্যবসায়ীর প্রয়োজন নেই, আমাদের প্রয়োজন বিনিয়োগকারী। চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবসাবান্ধব নয়, বিনিয়োগবান্ধব করতে হবে।’
দ্য পিপলস ভিউ’র নির্বাহী সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক সদস্য (অ্যাডমিন) জাফর আলম, চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার তারেক হাসান, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল আলম সুজন, বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সিনিয়র সাংবাদিক মিয়া মোহাম্মদ আরিফ ও শামসুদ্দিন ইলিয়াস।