নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, সীমাহীন সময়ের সমর্থন নয়, যতটুকু সময়ের সমর্থন দরকার, তার মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। দেশকে যদি ভালোবাসেন তাহলে আর একদিনও অনির্বাচিত সরকার দেশে রাখার প্রয়োজন নেই। ১৮ কোটি মানুষ আপনার সাথে আছে, ঘোষিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন করুন অন্যথায় হাস্যস্পদ হয়ে যাবেন জাতির কাছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অপরাজেয় বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলো দ্রুত তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতির দাবিতে’ আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, সীমাহীন সময়ের সমর্থন নয় যতটুকু সময়ের সমর্থন দরকার তার মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। দেশকে যদি ভালোবাসেন তাহলে আর একদিনও অনির্বাচিত সরকার দেশে রাখার প্রয়োজন নেই। ঘোষিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন করুন অন্যথায় হাস্যস্পদ হয়ে যাবেন জাতির কাছে। যেসব পাঁয়তারা চলছে নির্বাচন নিয়ে, বিএনপিকে হেয় করে যদি নির্বাচন নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় সেটা প্রতিরোধের ক্ষমতা বিএনপির আছে।
ফারুক বলেন, দেশে যখন নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে সেই ভোট যেন নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আসুন সংসদ নির্বাচন করি, বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করি যতটুকু সম্ভব দ্রুত নির্বাচন দিন।
তিনি বলেন, বিএনপিকে হেয় করে যদি নির্বাচন নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেটি প্রতিরোধের ক্ষমতা বিএনপির আছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে যখন নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, সেই ভোট যেন নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আসুন সংসদ নির্বাচন করি, বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করি, যতটুকু সম্ভব দ্রুত নির্বাচন দিন।
বিএনপির দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম তুলে ধরে ফারুক বলেন, বিএনপি ছোট দল নয়। শহীদ জিয়ার আদর্শের এই দল বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ১৬ বছর হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছে। নেতাকর্মীরা পুলিশের ভয়ে কবরস্থানে ঘুমিয়েছে, রিকশা চালিয়ে জীবন চালিয়েছে। বিএনপিকে অবহেলা করে নির্বাচন নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করলে তা প্রতিহত করার মতো সৎ সাহস ইনশাল্লাহ আমাদের আছে।
সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, আমাদের বন্ধু যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়েছেন, তাদের বলব— দেশ যখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন এমন কোনও সংশয় সৃষ্টি করা যাবে না যাতে নির্বাচন বানচালের দায় আপনাদের ওপর পড়ে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য উদ্ধৃত করে ফারুক বলেন, আমরা এমন কোনও কাজ করতে চাই না, যার ফলে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের রক্ত বৃথা যায় বা হিন্দুস্থান (ভারত) যেন আবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ না পায়।
ফারুক অভিযোগ করে বলেন, যারা ১৬ বছর ‘আয়না ঘর’ বানিয়েছিল, গুম-খুন করেছে—চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে—তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। এই সরকার গত এক বছর চার মাসে তাদের কয়জনকে আইনের আওতায় আনতে পেরেছে? তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “আর দেরি নয়, দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে নতুন সরকার গঠন করে আমরা গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের এবং বিচার বিভাগ ধ্বংসকারীদের বিচার করব।
নাগরিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি বাদল সরকার। আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ, দলটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজী।