Dhaka রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ প্রভাব বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এর প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে দেশব্যাপী চলছে বৃষ্টি। সবজির বাজারে পড়েছে এর প্রভাব। বাজারে তুলনামূলক সবজি কম থাকায় দামে অনেকটাই ‘বেপরোয়া’ আচরণ দেখা গেছে বিক্রেতাদের। এই অবস্থায় ‘বাধ্য হয়ে’ প্রয়োজনীয় বাজার করে ঘরে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানী বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি কম, তাই বেশি দামেই আমাদের কিনে আনতে হয়েছে।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা এবং গাজর ৭০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, ধুন্দুল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শশা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, নতুন আলু ৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে, কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ৮ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আজকের বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় শাকের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে, ফলেও দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি। এক আঁটি লালশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে, যা অন্যান্য সময়ে ১০-১৫ টাকা করেই পাওয়া যায়। এছাড়া লাউশাক ৫০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা আঁটি করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মাহমুদুল হাসান বলেন, শুক্রবার এলেই শাক-সবজির দাম বেড়ে যায়। বাজারে সবজির দাম শুনলেই মাথা গরম হয়ে যায়। এখন প্রায় প্রতিটি শীতের সবজিই বাজারে চলে এসেছে, তারপরও দাম কমছে না। যা দাম চাচ্ছে তাই দিতে হবে, নাহয় সামনে দাঁড়ানোরও সুযোগ নেই। কী আর করা, বাধ্য হয়েই আমাদেরকে কিনতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাজারগুলোতে কোনো মনিটরিং কোনোদিন দেখিনি। বাজার কমিটিও থাকে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার ধান্দায়। সরকারও যেন সিন্ডিকেটের কাছে অনেকটা অসহায়। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে?

কিছুটা কমার পরে আবারও বেড়েছে নিত্যপণ্য আলু ও পেঁয়াজের দাম। আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। আর পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। বৃষ্টির অজুহাতে বেড়েছে সবজির দামও। দেশি জাতের পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও ২০-৩০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। নতুন আলু ৭০-৮০ টাকা।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা। শুধু তাই নয় সোনালি মুরগির দামও বেড়ে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়।

গরুর মাংসের দাম কিছুটা কম থাকায় মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ৯০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১০০০ টাকা, বাইম মাছ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭৬০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০টাকা, আড়ই মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ প্রভাব বাজারে

প্রকাশের সময় : ১২:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এর প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে দেশব্যাপী চলছে বৃষ্টি। সবজির বাজারে পড়েছে এর প্রভাব। বাজারে তুলনামূলক সবজি কম থাকায় দামে অনেকটাই ‘বেপরোয়া’ আচরণ দেখা গেছে বিক্রেতাদের। এই অবস্থায় ‘বাধ্য হয়ে’ প্রয়োজনীয় বাজার করে ঘরে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানী বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি কম, তাই বেশি দামেই আমাদের কিনে আনতে হয়েছে।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা এবং গাজর ৭০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, ধুন্দুল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শশা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, নতুন আলু ৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে, কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ৮ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আজকের বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় শাকের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে, ফলেও দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি। এক আঁটি লালশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে, যা অন্যান্য সময়ে ১০-১৫ টাকা করেই পাওয়া যায়। এছাড়া লাউশাক ৫০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা আঁটি করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মাহমুদুল হাসান বলেন, শুক্রবার এলেই শাক-সবজির দাম বেড়ে যায়। বাজারে সবজির দাম শুনলেই মাথা গরম হয়ে যায়। এখন প্রায় প্রতিটি শীতের সবজিই বাজারে চলে এসেছে, তারপরও দাম কমছে না। যা দাম চাচ্ছে তাই দিতে হবে, নাহয় সামনে দাঁড়ানোরও সুযোগ নেই। কী আর করা, বাধ্য হয়েই আমাদেরকে কিনতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাজারগুলোতে কোনো মনিটরিং কোনোদিন দেখিনি। বাজার কমিটিও থাকে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার ধান্দায়। সরকারও যেন সিন্ডিকেটের কাছে অনেকটা অসহায়। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে?

কিছুটা কমার পরে আবারও বেড়েছে নিত্যপণ্য আলু ও পেঁয়াজের দাম। আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। আর পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। বৃষ্টির অজুহাতে বেড়েছে সবজির দামও। দেশি জাতের পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও ২০-৩০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। নতুন আলু ৭০-৮০ টাকা।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা। শুধু তাই নয় সোনালি মুরগির দামও বেড়ে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়।

গরুর মাংসের দাম কিছুটা কম থাকায় মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ৯০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১০০০ টাকা, বাইম মাছ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭৬০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০টাকা, আড়ই মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।