Dhaka শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘাটে বাড়তি টাকা নিলেই ইজারা বাতিল : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

ভোলা জেলা প্রতিনিধি : 

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঘাটে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে ইজারা বাতিল করা হবে।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে ভোলা সদর উপজেলাধীন ইলিশা লঞ্চঘাটে একটি আধুনিক লঞ্চঘাট নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের পণ্য পরিবহনে অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ। তাই নদীকে সচল রাখতে নিয়মিত ড্রেজিং করা হবে। এছাড়া যাত্রী হয়রানি ও ঘাটে নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নিলে ইজারা বাতিল করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা একসময় নৌ পরিবহনের ওপর নির্ভর ছিলাম। যতই সেতু তৈরি হোক না কেন নৌ পরিবহনের গুরুত্ব অনেক বেশি। যাত্রীদের যাতে হয়রানি না করা হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, নৌ পরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। এমন কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ের কনসেপ্ট হলো দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করি। বড় প্রজেক্ট নয় ছোট ছোট প্রজেক্টের মাধ্যমে এসব প্রান্তিক অঞ্চলের চেহারা চেঞ্জ হতে পারে। যেমন এখানে যদি একটি আধুনিক ঘাট হয়, তাহলে এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের চেহারা চেঞ্জ হয়ে যাবে।

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি ভোলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি লঞ্চঘাট তৈরির ব্যবস্থা করে দিয়েছি, যাতে ওইখানকার মানুষের উন্নতি হয়। ভালো একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলে তখন সে জায়গা অনেক উন্নত হয়। আমাদের কোনো মেগা প্রজেক্ট নেই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আরও বলেন, নদীতে প্রতিবছর পলি জমছে। সব নদীতে ড্রেজিং করতে হচ্ছে, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নদী আছে এবং নৌযান যাতায়াত করে এমন নদীতে ড্রেজিং হচ্ছে। প্রয়োজনে ভোলাতেও নদী ড্রেজিং করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মেইন পরিবহন পথ হলো নদী। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটির কাজ হচ্ছে নদীগুলো সচল রাখা। ভোলা নদী ভাঙন প্রবল এলাকা,সরকার নদী ভাঙন রোধে চেষ্টা করছে। আমরা যতই রেল করি, সেতু বানাই, কিন্তু আবহমান কাল থেকে নৌপথের গুরুত্ব রয়েছে। এসব নৌপথগুলো ভালোভাবে ব্যবহারের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, নৌপরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও ঘাটে টিকেটের দাম বেশিসহ যাত্রী হয়রানি অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান উপদেষ্টা।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ভোলায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৫টি আধুনিক মানের লঞ্চঘাট ও ল্যান্ডিং স্টেশন করা হবে। যাত্রীরা এসব ঘাটে সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

ঘাটে বাড়তি টাকা নিলেই ইজারা বাতিল : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০২:৩২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

ভোলা জেলা প্রতিনিধি : 

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঘাটে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে ইজারা বাতিল করা হবে।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে ভোলা সদর উপজেলাধীন ইলিশা লঞ্চঘাটে একটি আধুনিক লঞ্চঘাট নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের পণ্য পরিবহনে অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ। তাই নদীকে সচল রাখতে নিয়মিত ড্রেজিং করা হবে। এছাড়া যাত্রী হয়রানি ও ঘাটে নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নিলে ইজারা বাতিল করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা একসময় নৌ পরিবহনের ওপর নির্ভর ছিলাম। যতই সেতু তৈরি হোক না কেন নৌ পরিবহনের গুরুত্ব অনেক বেশি। যাত্রীদের যাতে হয়রানি না করা হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, নৌ পরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। এমন কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ের কনসেপ্ট হলো দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করি। বড় প্রজেক্ট নয় ছোট ছোট প্রজেক্টের মাধ্যমে এসব প্রান্তিক অঞ্চলের চেহারা চেঞ্জ হতে পারে। যেমন এখানে যদি একটি আধুনিক ঘাট হয়, তাহলে এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের চেহারা চেঞ্জ হয়ে যাবে।

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি ভোলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি লঞ্চঘাট তৈরির ব্যবস্থা করে দিয়েছি, যাতে ওইখানকার মানুষের উন্নতি হয়। ভালো একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলে তখন সে জায়গা অনেক উন্নত হয়। আমাদের কোনো মেগা প্রজেক্ট নেই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আরও বলেন, নদীতে প্রতিবছর পলি জমছে। সব নদীতে ড্রেজিং করতে হচ্ছে, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নদী আছে এবং নৌযান যাতায়াত করে এমন নদীতে ড্রেজিং হচ্ছে। প্রয়োজনে ভোলাতেও নদী ড্রেজিং করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মেইন পরিবহন পথ হলো নদী। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটির কাজ হচ্ছে নদীগুলো সচল রাখা। ভোলা নদী ভাঙন প্রবল এলাকা,সরকার নদী ভাঙন রোধে চেষ্টা করছে। আমরা যতই রেল করি, সেতু বানাই, কিন্তু আবহমান কাল থেকে নৌপথের গুরুত্ব রয়েছে। এসব নৌপথগুলো ভালোভাবে ব্যবহারের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, নৌপরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও ঘাটে টিকেটের দাম বেশিসহ যাত্রী হয়রানি অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান উপদেষ্টা।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ভোলায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৫টি আধুনিক মানের লঞ্চঘাট ও ল্যান্ডিং স্টেশন করা হবে। যাত্রীরা এসব ঘাটে সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান প্রমুখ।