Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘরে বসেই হজের কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঘরে বসেই হজের কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির কারণে হজের কাজ সম্পন্ন করতে এখন কোনো হয়রানির শিকার হতে হয় না। এরপর থেকে আর কোনো ক্যাম্পে না থেকে মডেল মসজিদেই হজের ট্রেনিং নেয়া যাবে।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে ২০২৪ সালের জন্য হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ এর নির্বাচনের ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আজকে তা বাস্তবায়ন হয়েছে। ঘরে বসেই আজ সব কাজ করতে পারেন। কোনোরকম হয়রানির শিকার হতে হয় না। হজের রেজিস্ট্রেশন সরাসরি অনলাইনে করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি, সেখানেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের জন্য এই সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়তে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ উৎক্ষেপন করা ব্রডব্যান্ড সংযোগ সমস্ত জায়গাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এসব কাজ করার কারণে কিন্তু সহজ পদ্ধিতে হজের কাজগুলো আপনারা করতে পারছেন। কোনো রকম হয়রানির হতে হয় না এখন। অনলাইনে হজের রেজিস্ট্রেশন করা যায়, তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকাতে ডিজিটাল সেন্টার করা হয়েছে, সেখানে গিয়েও রেজিস্ট্রেশন করা যায়। আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের সেই সুযোগটা সৃষ্টি করে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী অবলেন, হজ ব্যবস্থাপনা উন্নত করা হয়েছে বলেই ভালো সেবা পাচ্ছেন হজযাত্রীরা। একটি আন্ডারপাস করে দেয়া হয়েছে। এরফলে হজক্যাম্প থেকে বিমানবন্দরে আন্ডারপাস দিয়ে যোগাযোগ করা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে সম্মান জানিয়ে সবাই যাতে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে, সেসব ব্যবস্থা করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন।

হাজিদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা মুসলিম বিশ্বের জন্য দোয়া করবেন। ফিলিস্তিনে মুসলিমদের অধিকার রয়েছে। এই অধিকার তাদের দিতে হবে। এটা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। মুসলিম বিশ্ব এক হলে, ফিলিস্তিনিসহ বিশ্ব মুসলিমদের দাবি আদায় সহজ হত। আমি সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে যাবো।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। নারী, পুরুষ ও শিশুদের কাউকেই রেহাই দেয়া হচ্ছে না। সবখানেই আমার কণ্ঠ সোচ্চার। সব জায়গাতেই আমি এর প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। আরব ভূখণ্ডে ফিলিস্তিন তাদের জায়গা তারা পাবে। এটা তাদের অধিকার। মুসলিম বিশ্ব এক হলে ফিলিস্তিনির অধিকার আদায়ে আরও এগিয়ে যেতে পারতাম। ওআইসি ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আমি একমাত্র বোন। একমাত্র বোন হিসেবে আমি সব মুসলিম দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছি আপনারা এক হন।

তিনি আরও বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। যেখানে সব ধর্মের মানুষের অধিকারের কথা বলা আছে। অথচ ধর্মের নামে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি বাদশার অতিথি হয়ে ওমরাহ করতে গিয়ে হজ ক্যাম্প ঘুরে দেখেছি। হাজিদের কষ্ট দেখেছি ধীরে ধীরে হজ ব্যবস্থাপনা সুন্দর হচ্ছে।

তিনি বলেন, কারবালার ময়দানের যে ঘটনা ঘটেছে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল ১৫ আগস্ট। কারবালা ময়দানে নারী শিশুদের হত্যা করা হয়নি। বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট নারী শিশু কেউ রেহাই পায়নি। আমার ছোট বোন, আমি বিদেশে ছিলাম। মাত্র ১৫ দিন আগে দেশ ছেড়ে যাই। আমার স্বামীর কর্মস্থল জার্মানিতে গিয়েছিলাম। সঙ্গে ছোট বোনকে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা বেঁচে যাই, কিন্তু এই বেঁচে যাওয়াটাও বড় কষ্টের। ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি। আমার বাবা এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন, এ কাজটাই আমাকে করতে হবে। আমি অন্তত এটুকু বলতে পারি আমি এই কাজটা করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। পাশাপাশি হজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন তিনি তৈরি করে দিয়ে গেছেন। এদেশে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানিয়ে সকলে যেন সহজভাবে ধর্ম পালন করতে সে ব্যবস্থাটাও তিনি করে দিয়ে গেছেন। বিশ্ব ইজতেমা কোন দেশে হবে সেটা নিয়ে কিন্তু একটা ভোটাভুটি ছিল। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে সেখানে বাংলাদেশ জয়ী হয়েছিল। তিনি জায়গা দিয়ে যান।

প্রযুক্তির কারণে হজের কাজ সম্পন্ন করতে হয়রানির শিকার হতে হয় না
শেখ হাসিনা বলেন, আজ যদি সকল মুসলিম দেশ এক হয়ে একযোগে কাজ করতে পারতো, তাহলে আমরা এ ব্যাপারে আরো অগ্রগামী হতে পারতাম। ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আমি একাই একমাত্র বোন। আমি সেখানে বলছি সকলে এক হোন। এ ধরনের অন্যায় অবিচার জন্য আমাদের উপর যেন না হয় সেজন্য সকলে সোচ্চার থাকবেন। আপনারা তাদের জন্য দোয়া করবেন।

তিনি বলেন, ইসলামের নামে কিছু লোক জঙ্গিবাদী কার্যক্রম করে মুসলমানদের বদনাম দিয়ে যায়, এটি দুঃখজনক। সবসময় এর বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে বলেন, হজযাত্রীদের সুবিধার জন্য আশকোনা হজ ক্যাম্প এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে একটি আন্ডারপাস করে দেওয়া হবে। এতে হজযাত্রীদের সুবিধা আরও বাড়বে।

বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সৌদি আরবের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ১৯৮৪ সালে তিনি প্রথম ওমরাহ করেন এবং ১৯৮৫ সালে প্রথম হজ করেন। প্রতিবারই গিয়ে যে যে সমস্যা দেখেছেন সেটা সৌদি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন এবং তারা এসব বিষয়ে তাকে গুরুত্ব দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে শুরু হচ্ছে এবারের হজ ফ্লাইট। প্রথম হজ ফ্লাইটটি ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে বুধবার দিনগত রাত তিনটায় সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা করবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজারের বেশি হাজী হজ পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজব্রত পালিত হতে পারে।

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্মবিষয়ক সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ঘরে বসেই হজের কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:৩৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঘরে বসেই হজের কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির কারণে হজের কাজ সম্পন্ন করতে এখন কোনো হয়রানির শিকার হতে হয় না। এরপর থেকে আর কোনো ক্যাম্পে না থেকে মডেল মসজিদেই হজের ট্রেনিং নেয়া যাবে।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে ২০২৪ সালের জন্য হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ এর নির্বাচনের ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আজকে তা বাস্তবায়ন হয়েছে। ঘরে বসেই আজ সব কাজ করতে পারেন। কোনোরকম হয়রানির শিকার হতে হয় না। হজের রেজিস্ট্রেশন সরাসরি অনলাইনে করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি, সেখানেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের জন্য এই সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়তে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ উৎক্ষেপন করা ব্রডব্যান্ড সংযোগ সমস্ত জায়গাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এসব কাজ করার কারণে কিন্তু সহজ পদ্ধিতে হজের কাজগুলো আপনারা করতে পারছেন। কোনো রকম হয়রানির হতে হয় না এখন। অনলাইনে হজের রেজিস্ট্রেশন করা যায়, তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকাতে ডিজিটাল সেন্টার করা হয়েছে, সেখানে গিয়েও রেজিস্ট্রেশন করা যায়। আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের সেই সুযোগটা সৃষ্টি করে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী অবলেন, হজ ব্যবস্থাপনা উন্নত করা হয়েছে বলেই ভালো সেবা পাচ্ছেন হজযাত্রীরা। একটি আন্ডারপাস করে দেয়া হয়েছে। এরফলে হজক্যাম্প থেকে বিমানবন্দরে আন্ডারপাস দিয়ে যোগাযোগ করা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে সম্মান জানিয়ে সবাই যাতে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে, সেসব ব্যবস্থা করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন।

হাজিদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা মুসলিম বিশ্বের জন্য দোয়া করবেন। ফিলিস্তিনে মুসলিমদের অধিকার রয়েছে। এই অধিকার তাদের দিতে হবে। এটা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। মুসলিম বিশ্ব এক হলে, ফিলিস্তিনিসহ বিশ্ব মুসলিমদের দাবি আদায় সহজ হত। আমি সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে যাবো।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। নারী, পুরুষ ও শিশুদের কাউকেই রেহাই দেয়া হচ্ছে না। সবখানেই আমার কণ্ঠ সোচ্চার। সব জায়গাতেই আমি এর প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। আরব ভূখণ্ডে ফিলিস্তিন তাদের জায়গা তারা পাবে। এটা তাদের অধিকার। মুসলিম বিশ্ব এক হলে ফিলিস্তিনির অধিকার আদায়ে আরও এগিয়ে যেতে পারতাম। ওআইসি ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আমি একমাত্র বোন। একমাত্র বোন হিসেবে আমি সব মুসলিম দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছি আপনারা এক হন।

তিনি আরও বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। যেখানে সব ধর্মের মানুষের অধিকারের কথা বলা আছে। অথচ ধর্মের নামে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি বাদশার অতিথি হয়ে ওমরাহ করতে গিয়ে হজ ক্যাম্প ঘুরে দেখেছি। হাজিদের কষ্ট দেখেছি ধীরে ধীরে হজ ব্যবস্থাপনা সুন্দর হচ্ছে।

তিনি বলেন, কারবালার ময়দানের যে ঘটনা ঘটেছে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল ১৫ আগস্ট। কারবালা ময়দানে নারী শিশুদের হত্যা করা হয়নি। বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট নারী শিশু কেউ রেহাই পায়নি। আমার ছোট বোন, আমি বিদেশে ছিলাম। মাত্র ১৫ দিন আগে দেশ ছেড়ে যাই। আমার স্বামীর কর্মস্থল জার্মানিতে গিয়েছিলাম। সঙ্গে ছোট বোনকে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা বেঁচে যাই, কিন্তু এই বেঁচে যাওয়াটাও বড় কষ্টের। ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি। আমার বাবা এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন, এ কাজটাই আমাকে করতে হবে। আমি অন্তত এটুকু বলতে পারি আমি এই কাজটা করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। পাশাপাশি হজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন তিনি তৈরি করে দিয়ে গেছেন। এদেশে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানিয়ে সকলে যেন সহজভাবে ধর্ম পালন করতে সে ব্যবস্থাটাও তিনি করে দিয়ে গেছেন। বিশ্ব ইজতেমা কোন দেশে হবে সেটা নিয়ে কিন্তু একটা ভোটাভুটি ছিল। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে সেখানে বাংলাদেশ জয়ী হয়েছিল। তিনি জায়গা দিয়ে যান।

প্রযুক্তির কারণে হজের কাজ সম্পন্ন করতে হয়রানির শিকার হতে হয় না
শেখ হাসিনা বলেন, আজ যদি সকল মুসলিম দেশ এক হয়ে একযোগে কাজ করতে পারতো, তাহলে আমরা এ ব্যাপারে আরো অগ্রগামী হতে পারতাম। ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আমি একাই একমাত্র বোন। আমি সেখানে বলছি সকলে এক হোন। এ ধরনের অন্যায় অবিচার জন্য আমাদের উপর যেন না হয় সেজন্য সকলে সোচ্চার থাকবেন। আপনারা তাদের জন্য দোয়া করবেন।

তিনি বলেন, ইসলামের নামে কিছু লোক জঙ্গিবাদী কার্যক্রম করে মুসলমানদের বদনাম দিয়ে যায়, এটি দুঃখজনক। সবসময় এর বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে বলেন, হজযাত্রীদের সুবিধার জন্য আশকোনা হজ ক্যাম্প এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে একটি আন্ডারপাস করে দেওয়া হবে। এতে হজযাত্রীদের সুবিধা আরও বাড়বে।

বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সৌদি আরবের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ১৯৮৪ সালে তিনি প্রথম ওমরাহ করেন এবং ১৯৮৫ সালে প্রথম হজ করেন। প্রতিবারই গিয়ে যে যে সমস্যা দেখেছেন সেটা সৌদি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন এবং তারা এসব বিষয়ে তাকে গুরুত্ব দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে শুরু হচ্ছে এবারের হজ ফ্লাইট। প্রথম হজ ফ্লাইটটি ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে বুধবার দিনগত রাত তিনটায় সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা করবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজারের বেশি হাজী হজ পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজব্রত পালিত হতে পারে।

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্মবিষয়ক সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।