Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড ষড়যন্ত্রের আভাস : শেখ পরশ

নিজস্ব প্রতিবেদক  : 

রাজধানীতে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, এসব অগ্নিকাণ্ডের পিছনে ষড়যন্ত্রের হাত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ, এত ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কোনো দুর্ঘটনা হতে পারে না। বিএনপি-জামায়াত অগ্নিকাণ্ডে পারদর্শী, তাদের এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা আছে। আজকেও ঢাকা সুপার নিউ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে হবে।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধোলাইপাড় উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, সংখ্যালঘুদের ওপর পাকিস্তানি কায়দায় হত্যা-নির্যাতন চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, সাংবাদিক ভাইদেরকে হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করেছে। ২০১৩-২০১৪ সালে ওরা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। হাজার হাজার যানবাহন পুড়িয়েছে, শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। আমি মনে করি এতো ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্রের হাত আছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি। কারণ এত ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কোনো দুর্ঘটনা হতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হলে মেহনতি মানুষ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একই সাথে সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।

শেখ পরশ বলেন, আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তারা যাতে ৪র্থ বিপ্লব মোকাবিলায় পারদর্শী হতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। আজকে শেখ হাসিনা আমাদের আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন কিছু খাদ্য উপহার দিয়ে। এই উপহারগুলো আপনাদের অধিকার। এগুলোকে অনুদান মনে করবেন না। সরকার সর্বদা সচেষ্ট আছে আপনাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার জন্য। আজকে বিশ্বমন্দা ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দামের ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় আপনাদের যে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে সেটা আমরা অনুভব করতে পারি। কিন্তু আপনারা দুশ্চিন্তা করবেন না।

আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ জনগণের পাশে আছে এবং চিরদিন থাকবে উল্লেখ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক। কারণ এদেশের মানুষ চরম বিপদের সময় আমাদের পাশে ছিল এবং সবসময় থাকে। জনগণ থাকে সেই সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যারা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখায়। আমাদের নেত্রী এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে, তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে এই দেশের মানুষের রক্তের সম্পর্ক। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা রাখেন। এই যোগ্যতা শুধু বঙ্গবন্ধুকন্যারই আছে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, মাত্র ৯ মাস পরে আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে আমার বিশ্বাস আপনারা নিশ্চয়ই তাদেরকেই ভোট দেবেন, যারা আপনাদের জীবনমান উন্নয়ন এবং আশা-আকাঙক্ষার বাস্তবায়ন করেছে। আপনারা নিশ্চয়ই তাদেরকেই ভোট দেবেন, যাদের দ্বারা গঠনতন্ত্র, অর্থাৎ আপনাদের অধিকার নিশ্চিত হবে, শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা হবে এবং সকলের জন্য সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। এই অঙ্গীকারসমূহ পূরণ হলেই আমরা গড়ে তুলতে পারব একটা সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ। আপনারা শেখ হাসিনার নৌকাকে ভোট দিলে আপনাদের জীবন মানের ধারাবাহিক উন্নতি অব্যাহত থাকবে। একটু যদি পেছনের দিকে তাকান দেখতে পাবেন বিএনপির সময় কী অবস্থা ছিল। আপনাদের আয় কত ছিল? রাস্তাঘাটের অবস্থা কী ছিল? শিক্ষার সুযোগ কী ছিল? চিকিৎসা ব্যবস্থা কী ছিল? আপনাদের বাসস্থানের চিন্তা কে করে যাচ্ছেন? জননেত্রী শেখ হাসিনা; তাঁর যুগান্তকারী আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায়।

শেখ পরশ আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার এদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল ৫ বার, আর আমাদের সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন করেছে, শক্তিশালী করেছে। আজকে একটা মেসেজ ক্লিয়ার দুর্নীতিবাজ যেই হোক, কারোই রক্ষা নাই। আজকে দলীয় নেতাকর্মী বলেন আর প্রশাসনিক আমলা বলেন দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতেই হবে। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করে দিয়েছে, তাই এমপি-মন্ত্রী বলেন আর প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না, সাজা হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত সরকার এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল, আর শেখ হাসিনা সরকার জঙ্গিবাদ এদেশ থেকে প্রায় নির্মূল করে দিয়েছে। ধারাবাহিকভাবে ২০০৮ সালের পর থেকে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে বলেই একটা স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে। কিছু প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা থাক সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ।

ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা। এসময় আরও বক্তব্য দেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক হারিছ মিয়া শেখ সাগর, উপদপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা।

 

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড ষড়যন্ত্রের আভাস : শেখ পরশ

প্রকাশের সময় : ০৬:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক  : 

রাজধানীতে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, এসব অগ্নিকাণ্ডের পিছনে ষড়যন্ত্রের হাত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ, এত ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কোনো দুর্ঘটনা হতে পারে না। বিএনপি-জামায়াত অগ্নিকাণ্ডে পারদর্শী, তাদের এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা আছে। আজকেও ঢাকা সুপার নিউ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে হবে।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধোলাইপাড় উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, সংখ্যালঘুদের ওপর পাকিস্তানি কায়দায় হত্যা-নির্যাতন চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, সাংবাদিক ভাইদেরকে হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করেছে। ২০১৩-২০১৪ সালে ওরা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। হাজার হাজার যানবাহন পুড়িয়েছে, শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। আমি মনে করি এতো ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্রের হাত আছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি। কারণ এত ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কোনো দুর্ঘটনা হতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হলে মেহনতি মানুষ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একই সাথে সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।

শেখ পরশ বলেন, আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তারা যাতে ৪র্থ বিপ্লব মোকাবিলায় পারদর্শী হতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। আজকে শেখ হাসিনা আমাদের আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন কিছু খাদ্য উপহার দিয়ে। এই উপহারগুলো আপনাদের অধিকার। এগুলোকে অনুদান মনে করবেন না। সরকার সর্বদা সচেষ্ট আছে আপনাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার জন্য। আজকে বিশ্বমন্দা ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দামের ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় আপনাদের যে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে সেটা আমরা অনুভব করতে পারি। কিন্তু আপনারা দুশ্চিন্তা করবেন না।

আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ জনগণের পাশে আছে এবং চিরদিন থাকবে উল্লেখ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক। কারণ এদেশের মানুষ চরম বিপদের সময় আমাদের পাশে ছিল এবং সবসময় থাকে। জনগণ থাকে সেই সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যারা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখায়। আমাদের নেত্রী এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে, তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে এই দেশের মানুষের রক্তের সম্পর্ক। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা রাখেন। এই যোগ্যতা শুধু বঙ্গবন্ধুকন্যারই আছে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, মাত্র ৯ মাস পরে আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে আমার বিশ্বাস আপনারা নিশ্চয়ই তাদেরকেই ভোট দেবেন, যারা আপনাদের জীবনমান উন্নয়ন এবং আশা-আকাঙক্ষার বাস্তবায়ন করেছে। আপনারা নিশ্চয়ই তাদেরকেই ভোট দেবেন, যাদের দ্বারা গঠনতন্ত্র, অর্থাৎ আপনাদের অধিকার নিশ্চিত হবে, শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা হবে এবং সকলের জন্য সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। এই অঙ্গীকারসমূহ পূরণ হলেই আমরা গড়ে তুলতে পারব একটা সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ। আপনারা শেখ হাসিনার নৌকাকে ভোট দিলে আপনাদের জীবন মানের ধারাবাহিক উন্নতি অব্যাহত থাকবে। একটু যদি পেছনের দিকে তাকান দেখতে পাবেন বিএনপির সময় কী অবস্থা ছিল। আপনাদের আয় কত ছিল? রাস্তাঘাটের অবস্থা কী ছিল? শিক্ষার সুযোগ কী ছিল? চিকিৎসা ব্যবস্থা কী ছিল? আপনাদের বাসস্থানের চিন্তা কে করে যাচ্ছেন? জননেত্রী শেখ হাসিনা; তাঁর যুগান্তকারী আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায়।

শেখ পরশ আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার এদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল ৫ বার, আর আমাদের সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন করেছে, শক্তিশালী করেছে। আজকে একটা মেসেজ ক্লিয়ার দুর্নীতিবাজ যেই হোক, কারোই রক্ষা নাই। আজকে দলীয় নেতাকর্মী বলেন আর প্রশাসনিক আমলা বলেন দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতেই হবে। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করে দিয়েছে, তাই এমপি-মন্ত্রী বলেন আর প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না, সাজা হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত সরকার এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল, আর শেখ হাসিনা সরকার জঙ্গিবাদ এদেশ থেকে প্রায় নির্মূল করে দিয়েছে। ধারাবাহিকভাবে ২০০৮ সালের পর থেকে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে বলেই একটা স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে। কিছু প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা থাক সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ।

ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা। এসময় আরও বক্তব্য দেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক হারিছ মিয়া শেখ সাগর, উপদপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা।