আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গ্রিসে বৈধভাবে বসবাসে অনুমতি পেলেন ৩ হাজার ৪০৫ জন বাংলাদেশি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া একটি সমঝোতা চুক্তির আওতায় এই অনুমতি দিল গ্রিস।
চুক্তির আওতায় ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে অনিয়মিতভাবে থাকা বাংলাদেশিদের নিয়মিত হতে আবেদন করার সুযোগ দেয় গ্রিস। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তির আওতায় আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ হয়।
ইউরপের দেশটিতে বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করেছিল ১০ হাজার ৩৩৭ জন বাংলাদেশি। জাচাইবাছাইয়ের পর ১ হাজার ৯ জনের আবেদন শেনজেন ভিসা রিপোর্টের ভিত্তিতে বাতিল হয়ে যায়। বাকি ৫ হাজার ৯০০ জনের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রিসের অভিবাসন ও অ্যাসাইলেম মন্ত্রণালয়।
২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রিসে দুই বছর ধরে অবস্থান করা যেকোনো বাংলাদেশি আবেদনকারীর পাসপোর্টে ২ বছরের মেয়াদ থাকলে এই আবেদন করার ক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। তবে এই আবেদন করার আগে অ্যাথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়েছে আবেদনকারীদের। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই রেজিস্ট্রেশন চলেছে।
এই বছরও একই প্রক্রিয়ায় এখন পর্যন্ত ১১৩ বাংলাদেশি গ্রিসে বসবাসের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন।
সাগর পাড়ি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসন নিরুৎসাহিত করতে নানা পরিকল্পনা হাত নিয়েছে ভূমধ্যসাগর তীরের দেশ গ্রিস। দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী সম্পতি বলেছেন, ‘২০২৪ সালে হবে বৈধ অভিবাসনের বছর।’
গ্রিসে বৈধভাবে থাকার পথ আরো সুগম করতে এই সংক্রান্ত আইন সংশোধনেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরইমধ্যে বৈধভাবে বসবাসের অনুমতি বা রেসিডেন্স পারমিট প্রদানে দেশটির বিদ্যমান প্রশাসনিক কাঠামো আধুনিকায়নে একটি আইনের খসড়া তৈরি করছে গ্রিসের অভিবাসন ও আশ্রয় মন্ত্রণালয়।
দেশটির অভিবাসন ও আশ্রয়মন্ত্রী দিমিত্রিস কাইরিদিস সম্প্রতি দেশটির সংসদে দেওয়া বক্তৃতায় বলেন, ‘২০২৪ সালে প্রথম ছয় মাসে দেশে নতুন চারটি বায়োমেট্রিক ডেটা কালেকশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। এর তিনটি হবে রাজধানী এথেন্সে আর একটি হবে থেসেলোনিকিতে।
তিনি বলেন, একজন অভিবাসী নিয়মিত পথে দেশটিতে এসে, বৈধভাবে চাকরি করে, কর প্রদান করেন। কিন্তু নিজেদের থাকার অনুমতিপত্র নবায়নের আবেদন করতে গিয়ে তাদেরকে জটিলতা পোহাতে হয়।
গ্রিসের অভিবাসন ও অ্যাসাইলেম মন্ত্রী দিমিত্রিস কেইরিদিস এই বছরের শুরুতে বলেছিলেন ২০২৪ সাল হবে বৈধ অভিবাসনের বছর। এই লক্ষে অভিবাসন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন শুরু করেছে দেশটি। গ্রিসের লক্ষ্য ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার অভিবাসন আবেদন নিষ্পন্ন করা।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 























