Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে এনসিপির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ : ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গোপালগঞ্জে এনসিপির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ। বাংলাদেশকে আবারও রসাতলে নেয়ার, আবারও গণতন্ত্রকে ভুলণ্ঠিত করার ষড়যন্ত্র চলছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাসাসের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদী গণসংগীত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবিতে অবমাননা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য-কটূক্তির প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গতকাল গোপালগঞ্জে কারা এনসিপির নেতাদের ওপর হামলা করল? আওয়ামী লীগের আমলে এক লাখ পুলিশ নিয়োগ হয়েছে। এখনো তারা বহাল আছে। আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো কেন সচিবালয়, বিভিন্ন থানায়, বিভিন্ন জেলায় আছে? ১১ মাস চলে গেল একটা নির্বাচন দিতে পারেননি। যখনি নির্বাচনের দিন তারিখের কথা বলেছেন। তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হলো। এখন সবারই একটা ধারণা, গোপালগঞ্জের এই হামলা নির্বাচন পেছানোর নতুন ষড়যন্ত্র কি না। কারণ দেশে অনির্বাচিত সরকার থাকলে দেশের পরিস্থিতি ভালো থাকে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, যখনই নির্বাচনের দিন-তারিখের কথা বলেছন, তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হলো। এখন সবারই একটাই প্রশ্ন, গোপালগঞ্জের এই হামলা নির্বাচন পেছানোর নতুন ষড়যন্ত্র কি না। কারণ দেশে অনির্বাচিত সরকার থাকলে দেশের পরিস্থিতি ভালো থাকে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গোপালগঞ্জে যে আক্রমণ এবং হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সে আক্রমণে তারা কী বোঝাতে চেয়েছে, আমরা জানি না। এটি কীসের আলামত? যখনই লন্ডনে আমার নেতা তারেক রহমানের সাথে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তখনই একটি পক্ষ দেশের মধ্যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা কিন্তু ভেসে আসি নাই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন জিয়াউর রহমান। শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা করে বসে থাকেননি, সেক্টর কমান্ডার হিসেবে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন।

জামায়াতের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা বুঝে-শুনে কথা বলেন। অতীতে আপনারা বুঝে-শুনে কথা বলেন নাই। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যখন বাঙালির ওপর হামলা করে, তখন কারা আনন্দ মিছিল করেছিল, কারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, তা সবাই জানে। আপনাদের ইতিহাস জাতি জানে, আপনাদের ইতিহাস জাতির কাছে প্রকাশ করতে চাই না। আপনারা জাতির কাছে ক্ষমা চান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে আর আয়নাঘর তৈরি হবে না, থানায় নিয়ে নির্যাতন করবে না, সাংবাদিকেরা স্বাধীন মত তাদের মতো প্রকাশ করতে পারবেন, এই বাংলাদেশ নির্মাণ করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। বিএনপির বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা বন্ধ না হলে আমরা জনগণকে নিয়ে রুখে দাঁড়াব। এই সরকারকে বলব আপনারা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দিন যাতে জনগণ তাদের ভোটার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।

জাসাস আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাসাস সদস্য সচিব জাকির হোসেন, সংগীতশিল্পী ন্যান্সি, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসানুল্লাহ জনি প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

গোপালগঞ্জে এনসিপির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ : ফারুক

প্রকাশের সময় : ০৩:২৬:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গোপালগঞ্জে এনসিপির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ। বাংলাদেশকে আবারও রসাতলে নেয়ার, আবারও গণতন্ত্রকে ভুলণ্ঠিত করার ষড়যন্ত্র চলছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাসাসের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদী গণসংগীত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবিতে অবমাননা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য-কটূক্তির প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গতকাল গোপালগঞ্জে কারা এনসিপির নেতাদের ওপর হামলা করল? আওয়ামী লীগের আমলে এক লাখ পুলিশ নিয়োগ হয়েছে। এখনো তারা বহাল আছে। আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো কেন সচিবালয়, বিভিন্ন থানায়, বিভিন্ন জেলায় আছে? ১১ মাস চলে গেল একটা নির্বাচন দিতে পারেননি। যখনি নির্বাচনের দিন তারিখের কথা বলেছেন। তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হলো। এখন সবারই একটা ধারণা, গোপালগঞ্জের এই হামলা নির্বাচন পেছানোর নতুন ষড়যন্ত্র কি না। কারণ দেশে অনির্বাচিত সরকার থাকলে দেশের পরিস্থিতি ভালো থাকে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, যখনই নির্বাচনের দিন-তারিখের কথা বলেছন, তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হলো। এখন সবারই একটাই প্রশ্ন, গোপালগঞ্জের এই হামলা নির্বাচন পেছানোর নতুন ষড়যন্ত্র কি না। কারণ দেশে অনির্বাচিত সরকার থাকলে দেশের পরিস্থিতি ভালো থাকে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গোপালগঞ্জে যে আক্রমণ এবং হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সে আক্রমণে তারা কী বোঝাতে চেয়েছে, আমরা জানি না। এটি কীসের আলামত? যখনই লন্ডনে আমার নেতা তারেক রহমানের সাথে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তখনই একটি পক্ষ দেশের মধ্যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা কিন্তু ভেসে আসি নাই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন জিয়াউর রহমান। শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা করে বসে থাকেননি, সেক্টর কমান্ডার হিসেবে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন।

জামায়াতের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা বুঝে-শুনে কথা বলেন। অতীতে আপনারা বুঝে-শুনে কথা বলেন নাই। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যখন বাঙালির ওপর হামলা করে, তখন কারা আনন্দ মিছিল করেছিল, কারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, তা সবাই জানে। আপনাদের ইতিহাস জাতি জানে, আপনাদের ইতিহাস জাতির কাছে প্রকাশ করতে চাই না। আপনারা জাতির কাছে ক্ষমা চান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে আর আয়নাঘর তৈরি হবে না, থানায় নিয়ে নির্যাতন করবে না, সাংবাদিকেরা স্বাধীন মত তাদের মতো প্রকাশ করতে পারবেন, এই বাংলাদেশ নির্মাণ করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। বিএনপির বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা বন্ধ না হলে আমরা জনগণকে নিয়ে রুখে দাঁড়াব। এই সরকারকে বলব আপনারা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দিন যাতে জনগণ তাদের ভোটার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।

জাসাস আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাসাস সদস্য সচিব জাকির হোসেন, সংগীতশিল্পী ন্যান্সি, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসানুল্লাহ জনি প্রমুখ।