নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, গোটা দেশ থেকে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের এনে ক্ষমতা দখলের জন্য ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তাদের নেতা লন্ডনে বসে উসকানি দিয়ে, আদেশ দিয়ে সারা দেশে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেখা মাত্র গুলির বিষয়ে ভুল বার্তা দেয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীদের উপর গুলিবর্ষণ এর নির্দেশনা কখনো দেয়া হয়নি। সেনাবাহিনী একটা গুলি ছুড়েছে এই বিষয়ে কোন খবর আমাদের জানা নেই। তারপরও তদন্ত চলছে, এর মাধ্যমে সঠিক ঘটনা বেড়িয়ে আসবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন দেখতে গিয়ে শিশু মারা গেছে, গুলি খেয়ে, গুলিটা কোথায়? মাথায়। জানালা দিয়ে তাকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গিয়ে মারা গেছে, গুলিটা কোথায়? মাথায়। এই বিষয়টি আপনাদের দেখতে হবে। তদন্ত চলা অবস্থায় আমরা প্রভাবিত করতে পারি না। তবে এটা উম্মুচিত হওয়া দরকার।
আমাদের কাছে যতটা খবর আছে, ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, খুব কাছ থেকে অনেককে গুলি করে। সেখানে হতাহতের ব্যাপারটা..এটাও আমাদের ভাবতে হবে। আন্দোলনে ডুকে গিয়ে কাছে থেকে গুলি করে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে।
নিরপরাধ কাউকে যেনো হয়রানি না করা হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন দেশের বেশিরভাগ জায়গায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এটা বজায় রাখতে যার যার এলাকায় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণভবন রক্ষার জন্য কারফিউ দিতে হয়েছে এমন কথা আমি বলিনি, বলেছি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য।
এসময় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের উপর হস্তক্ষেপ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহবান জানিয়েছে। এধরণের বক্তব্য বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রদোহীতার মধ্যে পড়ে। তার বিবৃতিতে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথাও বলেছেন, যা অসংবিধানিক। এই অহবান বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ছোট করেছে। তার এমন বক্তব্য শোভা পায় না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যখন মামলা চলমান, তখন তিনি এ ধরনের কার্যক্রম করছেন, যা ষড়যন্ত্র। এ থেকেই বোঝা যায়, চলমান বিচার থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য তিনি এ ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।