নিজস্ব প্রতিবেদক :
গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে এক হাজার ৬০০’র বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে গুম কমিশনের চেয়ারম্যান হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এই তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, গত সরকারের আমলে গুমের শিকার ১০জন ব্যক্তি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এসকল গুমের ঘটনা ছিলো ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
তিনি বলেন, এই সকল গুমের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কোন দেশের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজিএফআই, র্যাব, পুলিশ, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডির কর্মকর্তাদের গুমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিলো।
রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও সরকারের সমালোচনা করার কারনে অনেকে গুমের শিকার হয়েছেন বলেও এসময় উল্লেখ করেন কমিশনের চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম চৌধুরী।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন করে সরকার। গত ২৭ আগস্ট কমিশন গঠন করা হয়।
পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্টগার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্যের হাতে জোর করে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।