নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংঘটিত গুমের ঘটনায় দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের সময় ধার্য করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের এই সময় বাড়িয়েছেন।
রোববার (২৬ অক্টোবর) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল নতুন এই তারিখ নির্ধারণ করে আদেশ দেন। জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে সংঘটিত বিভিন্ন গুমের ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন।
এদিন সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলার আসামি জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনাসহ মোট ১১ জন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ওই বছরের ২৫ অক্টোবর রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
ডিএমপি জানায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানকে নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়।
দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত জিয়াউল আহসান ২০২২ সাল থেকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ওই কোম্পানির পরিচালক ছিলেন।
তিনি ২০০৯ সালের র্যাব-২ এর সহ-অধিনায়ক হন। একই বছর তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পান এবং র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক নিযুক্ত হন। সেই সময় থেকেই তাকে নিয়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





















