Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুমের চেয়ে ঘৃণিত ও জঘন্যতম অপরাধ এই পৃথিবীতে আর কিছু নেই : মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, মানুষকে খুন করলেও তার লাশ দেখে অনন্ত কিছুটা স্বস্তি পান স্বজনরা, কেঁদে মন হালকা করতে পারে। কিন্তু গুম এমন একটি জিনিস তার লাশটাও পাওয়া যায় না। এটা যে কী নিদারুণ কষ্ট তা ভুক্তভোগীর পরিবার ছাড়া কেউ উপলব্ধি করতে পারে না। এর চেয়ে ঘৃণিত ও জঘন্যতম অপরাধ এই পৃথিবীতে আর কিছু নেই।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর সূত্রাপুর ও বংশাল এলাকায় গুম হয়ে যাওয়া বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, আজকে আমরা গুম হওয়া পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কিছু অনুদান পৌঁছে দিয়েছি।

বর্তমান সরকারের আমলেই মানুষ গুম শব্দটি শুনেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের মতো জনপ্রিয় নেতাদের গুম করার মাধ্যমে এ দেশে গুমের রাজনীতি শুরু করে সরকার। এ থেকে গণতন্ত্রকামী জনগণকে রক্ষা করতে হলে অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন আন্দোলন। আজ সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এ স্বৈরাচারকে বিদায় করতে। এদের বিতাড়িত করে জনগণকে গুম-খুনের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, আজ গুম হওয়া পরিবারের কান্না দেখলে মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। কিন্তু সরকারের কিছুই আসে যায়। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই খুন ও গুম করতে এদের বুক কাপে না।

ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এ সরকারের রোষানলে পড়ে যারাই খুন হয়েছেন, গুম হয়েছেন তারা গণতন্ত্রের সৈনিক। তাদের অপরাধ একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে রাজপথে নেমেছে। গুম-খুন করে সাময়িকভাবে জোর-জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকা যায়, কিন্তু ইতিহাস বলে তাদের বিদায় শুভকর হয় না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, স্বেচ্ছাসেবক দল দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, শ্রমিক দল দক্ষিণের আহ্বায়ক সুমন ভূইয়া, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনূস মৃধা, মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তারসহ বিএনপি ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

গুমের চেয়ে ঘৃণিত ও জঘন্যতম অপরাধ এই পৃথিবীতে আর কিছু নেই : মঈন খান

প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, মানুষকে খুন করলেও তার লাশ দেখে অনন্ত কিছুটা স্বস্তি পান স্বজনরা, কেঁদে মন হালকা করতে পারে। কিন্তু গুম এমন একটি জিনিস তার লাশটাও পাওয়া যায় না। এটা যে কী নিদারুণ কষ্ট তা ভুক্তভোগীর পরিবার ছাড়া কেউ উপলব্ধি করতে পারে না। এর চেয়ে ঘৃণিত ও জঘন্যতম অপরাধ এই পৃথিবীতে আর কিছু নেই।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর সূত্রাপুর ও বংশাল এলাকায় গুম হয়ে যাওয়া বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, আজকে আমরা গুম হওয়া পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কিছু অনুদান পৌঁছে দিয়েছি।

বর্তমান সরকারের আমলেই মানুষ গুম শব্দটি শুনেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের মতো জনপ্রিয় নেতাদের গুম করার মাধ্যমে এ দেশে গুমের রাজনীতি শুরু করে সরকার। এ থেকে গণতন্ত্রকামী জনগণকে রক্ষা করতে হলে অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন আন্দোলন। আজ সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এ স্বৈরাচারকে বিদায় করতে। এদের বিতাড়িত করে জনগণকে গুম-খুনের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, আজ গুম হওয়া পরিবারের কান্না দেখলে মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। কিন্তু সরকারের কিছুই আসে যায়। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই খুন ও গুম করতে এদের বুক কাপে না।

ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এ সরকারের রোষানলে পড়ে যারাই খুন হয়েছেন, গুম হয়েছেন তারা গণতন্ত্রের সৈনিক। তাদের অপরাধ একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে রাজপথে নেমেছে। গুম-খুন করে সাময়িকভাবে জোর-জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকা যায়, কিন্তু ইতিহাস বলে তাদের বিদায় শুভকর হয় না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, স্বেচ্ছাসেবক দল দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, শ্রমিক দল দক্ষিণের আহ্বায়ক সুমন ভূইয়া, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনূস মৃধা, মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তারসহ বিএনপি ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।