Dhaka বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুজরাট আদালতে রাহুল গান্ধীর আবেদন খারিজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

লোকসভার পদ ফিরে পাচ্ছেন না ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মানহানি মামলার সাজার রায় স্থগিত রাখার যে আবেদন রাহুল করেছিলেন, তা খারিজ করে দিয়েছে গুজরাটের সুরাট আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

দেশটির গণমাধ্যম জানা যায়, আদালতের আবেদন খারিজ করায় রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার পথ আপাতত বন্ধ হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাহুলের আরজি খারিজ করেন সুরাট জেলা আদালত। এতে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

‘মোদি’ পদবি নিয়ে কটাক্ষ করায় ২০১৯ সালের একটি মানহানি মামলায় গত ২৩ মার্চ রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এর এক দিন পর ২৪ মার্চ রাহুল গান্ধীকে দেশটির লোকসভা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

লোকসভা সচিবালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় সংবিধানের ১০২ (১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হলো। মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দিন, অর্থাৎ ২৩ মার্চ ২০২৩ থেকে তিনি আর এমপি নন।

আদালত রাহুলকে ৩০ দিনের জামিন এবং আপিল করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ এপ্রিল সুরাটের ওই আদালতেই আবেদন জানান রাহুল গান্ধী। বিচারক আরপি মোগেরা তা গ্রহণ করে জামিন বহাল রাখার নির্দেশ দেন। গত ৩ এপ্রিল তাঁর জামিনের পাশাপাশি আদালত দুই বছরের সাজাও স্থগিত করেন। আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাজার রায় স্থগিত ছিল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে : তারেক রহমান

গুজরাট আদালতে রাহুল গান্ধীর আবেদন খারিজ

প্রকাশের সময় : ০৩:২২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

লোকসভার পদ ফিরে পাচ্ছেন না ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মানহানি মামলার সাজার রায় স্থগিত রাখার যে আবেদন রাহুল করেছিলেন, তা খারিজ করে দিয়েছে গুজরাটের সুরাট আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

দেশটির গণমাধ্যম জানা যায়, আদালতের আবেদন খারিজ করায় রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার পথ আপাতত বন্ধ হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাহুলের আরজি খারিজ করেন সুরাট জেলা আদালত। এতে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

‘মোদি’ পদবি নিয়ে কটাক্ষ করায় ২০১৯ সালের একটি মানহানি মামলায় গত ২৩ মার্চ রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এর এক দিন পর ২৪ মার্চ রাহুল গান্ধীকে দেশটির লোকসভা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

লোকসভা সচিবালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় সংবিধানের ১০২ (১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হলো। মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দিন, অর্থাৎ ২৩ মার্চ ২০২৩ থেকে তিনি আর এমপি নন।

আদালত রাহুলকে ৩০ দিনের জামিন এবং আপিল করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ এপ্রিল সুরাটের ওই আদালতেই আবেদন জানান রাহুল গান্ধী। বিচারক আরপি মোগেরা তা গ্রহণ করে জামিন বহাল রাখার নির্দেশ দেন। গত ৩ এপ্রিল তাঁর জামিনের পাশাপাশি আদালত দুই বছরের সাজাও স্থগিত করেন। আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাজার রায় স্থগিত ছিল।