Dhaka মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুজরাটের বিপক্ষে দিল্লির নাটকীয় জয়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৯৩ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ম্যাচটা জমে উঠেছিল বেশ। শেষ ওভারে ৬ বলে ১৯ রান। প্রথম দুই বলে দুই চারের ফলে ৮ রান নিয়ে ফেলেন রশিদ খান। মাঝে দুই বল ডট দেওয়ায় সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ১১। পঞ্চম বলে দারুণ এক ছক্কা মেরে ম্যাচটা আরও জমিয়ে তোলেন রশিদ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ বল থেকে কোনো রান নিতে পারেনি গুজরাট। তাতে ৪ রানের নাটকীয় জয় তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে পন্তের ঝড়ো ফিফটিতে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় দিল্লি। জবাব দিতে নেমে দারুণ লড়াই করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান পর্যন্ত পৌছাতে পারে গুজরাট।

লক্ষ্যে নেমে ১৩ রানে গুজরাট অধিনায়ক শুবমান গিল (৬) বিদায় নেন। তারপর ঋদ্ধিমান সাহা ও সাই সুদর্শন হাল ধরেন। ৮২ রানের জুটি গড়ে দিয়ে ৩৯ রানে কুলদীপ যাদবের শিকার হন ঋদ্ধিমান।

এরপর রাশিখ সালামের বোলিংয়ে ধাক্কা খায় গুজরাট। দিল্লির বোলার সাইকে ৬৫ রানে ফেরানোর পরের ওভারে শাহরুখ খানকে বিদায় করেন। কুলদীপের আরেক আঘাতে ১৬ ওভার শেষে ৬ উইকেটে দিল্লির সংগ্রহ ১৫২ রান। ডেভিড মিলার ঝড় তুলে ম্যাচে লড়াই ফেরান।

২৩ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫৫ রান করেন মিলার। ১৮তম ওভারে দলীয় ১৮১ রানে থামেন তিনি। এরপর সাই কিশোর ও রশিদের শেষ লড়াই।

কিশোর ৬ বলে ২ ছয়ে ১৩ রান করে এক ওভার বাকি থাকতে রাশিখের তৃতীয় শিকার হন। রশিদ শেষ ৬ বলে ১৯ রান করার দায়িত্ব পেয়ে হাল ছাড়েননি। যদিও নায়ক হওয়ার সুযোগ হারান। ৮ উইকেটে ২২০ রান করে গুজরাট।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দিল্লির। পাওয়ার প্লের ভেতরই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। তিনটিই শিকার করেন সন্দীপ ওয়ারিয়ের। এরপর স্বাগতিকদের হাল ধরেন অক্ষর প্যাটেল ও রিশাভ পান্ট। ১১৩ রানের এই জুটি ভাঙে অক্ষর আউট হলে। ৪৩ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৬ রান করেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। ইনিংস শেষ হতে তখনো ৩ ওভার বাকি। দিল্লির ২০০ রান করাও কঠিন মনে হচ্ছিল। কিন্তু তাণ্ডবের মাত্রাটা বাড়িয়ে পান্ট দিল্লির সংগ্রহ নিয়ে গিয়েছেন ২০০ ছাড়িয়ে। ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে শেষ ৩ ওভারে ৬৭ রানের জুটি গড়েন এই বাঁহাতি। শেষ ওভার করতে আসা মোহিত শর্মার কাছ থেকে একাই ৩০ রান আদায় করেন তিনি।

টর্নেডো ইনিংসে ৪৩ বলে ৫ চার ও ৮ ছক্কায় ৮৮ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন দিল্লি অধিনায়ক। ৭ বলে ২৬ রানের ক্যামিও খেলে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন স্টাবস। পান্টের কাছে মার খেয়ে অবশ্য লজ্জার কীর্তিতে বসতে হয়েছে মোহিতকে। আইপিএলে এক ইনিংসে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের মালিক এখন তিনি। দিল্লির বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন ডানহাতি এই পেসার। এর আগে রেকর্ডটি ছিল বাসিল থাম্পি। ২০১৮ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭০ রান খরচ করেছিলেন এই পেসার।

আবহাওয়া

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই

গুজরাটের বিপক্ষে দিল্লির নাটকীয় জয়

প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ম্যাচটা জমে উঠেছিল বেশ। শেষ ওভারে ৬ বলে ১৯ রান। প্রথম দুই বলে দুই চারের ফলে ৮ রান নিয়ে ফেলেন রশিদ খান। মাঝে দুই বল ডট দেওয়ায় সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ১১। পঞ্চম বলে দারুণ এক ছক্কা মেরে ম্যাচটা আরও জমিয়ে তোলেন রশিদ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ বল থেকে কোনো রান নিতে পারেনি গুজরাট। তাতে ৪ রানের নাটকীয় জয় তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে পন্তের ঝড়ো ফিফটিতে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় দিল্লি। জবাব দিতে নেমে দারুণ লড়াই করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান পর্যন্ত পৌছাতে পারে গুজরাট।

লক্ষ্যে নেমে ১৩ রানে গুজরাট অধিনায়ক শুবমান গিল (৬) বিদায় নেন। তারপর ঋদ্ধিমান সাহা ও সাই সুদর্শন হাল ধরেন। ৮২ রানের জুটি গড়ে দিয়ে ৩৯ রানে কুলদীপ যাদবের শিকার হন ঋদ্ধিমান।

এরপর রাশিখ সালামের বোলিংয়ে ধাক্কা খায় গুজরাট। দিল্লির বোলার সাইকে ৬৫ রানে ফেরানোর পরের ওভারে শাহরুখ খানকে বিদায় করেন। কুলদীপের আরেক আঘাতে ১৬ ওভার শেষে ৬ উইকেটে দিল্লির সংগ্রহ ১৫২ রান। ডেভিড মিলার ঝড় তুলে ম্যাচে লড়াই ফেরান।

২৩ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫৫ রান করেন মিলার। ১৮তম ওভারে দলীয় ১৮১ রানে থামেন তিনি। এরপর সাই কিশোর ও রশিদের শেষ লড়াই।

কিশোর ৬ বলে ২ ছয়ে ১৩ রান করে এক ওভার বাকি থাকতে রাশিখের তৃতীয় শিকার হন। রশিদ শেষ ৬ বলে ১৯ রান করার দায়িত্ব পেয়ে হাল ছাড়েননি। যদিও নায়ক হওয়ার সুযোগ হারান। ৮ উইকেটে ২২০ রান করে গুজরাট।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দিল্লির। পাওয়ার প্লের ভেতরই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। তিনটিই শিকার করেন সন্দীপ ওয়ারিয়ের। এরপর স্বাগতিকদের হাল ধরেন অক্ষর প্যাটেল ও রিশাভ পান্ট। ১১৩ রানের এই জুটি ভাঙে অক্ষর আউট হলে। ৪৩ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৬ রান করেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। ইনিংস শেষ হতে তখনো ৩ ওভার বাকি। দিল্লির ২০০ রান করাও কঠিন মনে হচ্ছিল। কিন্তু তাণ্ডবের মাত্রাটা বাড়িয়ে পান্ট দিল্লির সংগ্রহ নিয়ে গিয়েছেন ২০০ ছাড়িয়ে। ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে শেষ ৩ ওভারে ৬৭ রানের জুটি গড়েন এই বাঁহাতি। শেষ ওভার করতে আসা মোহিত শর্মার কাছ থেকে একাই ৩০ রান আদায় করেন তিনি।

টর্নেডো ইনিংসে ৪৩ বলে ৫ চার ও ৮ ছক্কায় ৮৮ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন দিল্লি অধিনায়ক। ৭ বলে ২৬ রানের ক্যামিও খেলে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন স্টাবস। পান্টের কাছে মার খেয়ে অবশ্য লজ্জার কীর্তিতে বসতে হয়েছে মোহিতকে। আইপিএলে এক ইনিংসে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের মালিক এখন তিনি। দিল্লির বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন ডানহাতি এই পেসার। এর আগে রেকর্ডটি ছিল বাসিল থাম্পি। ২০১৮ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭০ রান খরচ করেছিলেন এই পেসার।