Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুজরাটকে হারিয়ে ফাইনালে চেন্নাই

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
  • ২১১ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

গ্রুপ পর্বে যে গতিতে একের পর এক ম্যাচ জয় করে শীর্ষে থেকেই প্লে-অফে উঠে এসেছিলো গুজরাট টাইটান্স। গত মৌসুমে পয়েন্ট তালিকায় নয় নম্বরে ছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এবার তারা ফাইনালে। এক-দুবার নয়, এ নিয়ে দশমবার তারা নামবে শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে। অনেককিছু বদলে গেলেও এতদিনে একটা ব্যাপার আছে একই- মাহেন্দ্র সিং ধোনি।

মঙ্গলবার (২৩ মে) চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাট লায়ন্সকে ১৫ রানে হারিয়েছে চেন্নাই। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রানের সংগ্রহ পায় ধোনির দল। জবাব দিতে নেমে সব ওভার খেললেও ১৫৭ রানে অলআউট হয় গুজরাট।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় চেন্নাই সুপার কিংস। চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কওয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৮৭ রান। ১০.৩ ওভারে মোহিত শর্মার বলে মিলারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ঋতুরাজ। ৪৪ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ রান করেন তিনি। ওয়ান ডাউনে নেমে ১ রান করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে শিবম দুবেকে। তাকে সরাসরি বোল্ড করেছেন নূর আহমেদ।

দলীয় ৯০ রানে ২ উইকেট হারানোর পরে ২০ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে ও অজিঙ্কা রাহানে। ১০ বলে ১৭ রান করে বিদায় নেন অজিঙ্কা। স্কোরবোর্ডে ৪ রান যুক্ত হতেই সাজঘরে ফেরেন কনওয়ে। তাতে রানের গতি কমে আসে। এরপরে ১৬ বলে ২২ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং ৪ বলে ৯ রান করেন মঈন আলী। গুজরাটের পক্ষে দুই উইকেট করে নেন মোহিত শর্মা ও মোহাম্মদ শামি।

জয়ের জন্য ১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে মোটামুটি ভালোই সূচনা করেছিলো গুজরাট। ঋদ্ধিমান সাহা এবং শুভমান গিল মিলে ৩ ওভারে ২২ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন। ঋদ্দিমান ১২ রান করে আউট হন। ৪২ রান করেন শুভমান গিল।

তবে শুভমানছাড়া গুজরাটের টপ অর্ডার এবং মিডল অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। হার্দিক পান্ডিয়া ৭ বলে করেন ৮ রান। লঙ্কান দাসুন সানাকা আউট হন ১৬ বলে ১৭ রান করে। ডেভিড মিলার আউট হয়ে যান ৪ রান করে। বিজয় শঙ্কর করেন ১৪ রানে। রাহুল তেওয়াতিয়া মাত্র ৩ রান করে বিদায় নেন।

শেষ দিকে আফগান রশিদ খান মাঠে নেমে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৬ বলে তার করা ৩০ রান কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। আরেক আফগান নুর আহমদ ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। মোহাম্মদ শামি ৫ রান করে আউট হন একেবারে শেষ বলে এসে। চেন্নাইয়ের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন দিপক চাহার, মহেশ থিকসানা, রবিন্দ্র জাদেজা এবং মাথিসা পাথিরানা। ১ উইকেট নেন তুষার দেশপান্ডে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার করতে করতে এখন কুসংস্কারের পথে এগোচ্ছে : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

গুজরাটকে হারিয়ে ফাইনালে চেন্নাই

প্রকাশের সময় : ১১:৩৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

গ্রুপ পর্বে যে গতিতে একের পর এক ম্যাচ জয় করে শীর্ষে থেকেই প্লে-অফে উঠে এসেছিলো গুজরাট টাইটান্স। গত মৌসুমে পয়েন্ট তালিকায় নয় নম্বরে ছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এবার তারা ফাইনালে। এক-দুবার নয়, এ নিয়ে দশমবার তারা নামবে শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে। অনেককিছু বদলে গেলেও এতদিনে একটা ব্যাপার আছে একই- মাহেন্দ্র সিং ধোনি।

মঙ্গলবার (২৩ মে) চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাট লায়ন্সকে ১৫ রানে হারিয়েছে চেন্নাই। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রানের সংগ্রহ পায় ধোনির দল। জবাব দিতে নেমে সব ওভার খেললেও ১৫৭ রানে অলআউট হয় গুজরাট।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় চেন্নাই সুপার কিংস। চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কওয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৮৭ রান। ১০.৩ ওভারে মোহিত শর্মার বলে মিলারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ঋতুরাজ। ৪৪ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ রান করেন তিনি। ওয়ান ডাউনে নেমে ১ রান করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে শিবম দুবেকে। তাকে সরাসরি বোল্ড করেছেন নূর আহমেদ।

দলীয় ৯০ রানে ২ উইকেট হারানোর পরে ২০ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে ও অজিঙ্কা রাহানে। ১০ বলে ১৭ রান করে বিদায় নেন অজিঙ্কা। স্কোরবোর্ডে ৪ রান যুক্ত হতেই সাজঘরে ফেরেন কনওয়ে। তাতে রানের গতি কমে আসে। এরপরে ১৬ বলে ২২ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং ৪ বলে ৯ রান করেন মঈন আলী। গুজরাটের পক্ষে দুই উইকেট করে নেন মোহিত শর্মা ও মোহাম্মদ শামি।

জয়ের জন্য ১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে মোটামুটি ভালোই সূচনা করেছিলো গুজরাট। ঋদ্ধিমান সাহা এবং শুভমান গিল মিলে ৩ ওভারে ২২ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন। ঋদ্দিমান ১২ রান করে আউট হন। ৪২ রান করেন শুভমান গিল।

তবে শুভমানছাড়া গুজরাটের টপ অর্ডার এবং মিডল অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। হার্দিক পান্ডিয়া ৭ বলে করেন ৮ রান। লঙ্কান দাসুন সানাকা আউট হন ১৬ বলে ১৭ রান করে। ডেভিড মিলার আউট হয়ে যান ৪ রান করে। বিজয় শঙ্কর করেন ১৪ রানে। রাহুল তেওয়াতিয়া মাত্র ৩ রান করে বিদায় নেন।

শেষ দিকে আফগান রশিদ খান মাঠে নেমে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৬ বলে তার করা ৩০ রান কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। আরেক আফগান নুর আহমদ ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। মোহাম্মদ শামি ৫ রান করে আউট হন একেবারে শেষ বলে এসে। চেন্নাইয়ের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন দিপক চাহার, মহেশ থিকসানা, রবিন্দ্র জাদেজা এবং মাথিসা পাথিরানা। ১ উইকেট নেন তুষার দেশপান্ডে।