Dhaka বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গিলের সেঞ্চুরিতে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২০২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আগের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি যেখানে শেষ করেছিল বাংলাদেশ, এবারের শুরুটাও হলো সেখান থেকেই। গত আসরের সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিলেন বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শুরুটা হলো সেই ভারতের কাছে হেরে। বাংলাদেশের দেয়া ২২৯ রানের লক্ষ্য ভারত টপকে গেছে শুবমান গিলের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে। ব্যাটারদের জন্য কঠিন উইকেট হলেও সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটের জয়ে আসর শুরু করল ভারত।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। লড়াকু এক শতরান করেন তাওহীদ হৃদয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রোহিত শর্মার দল। হৃদয়ের জবাবে সেঞ্চুরি করলেন শুবমান গিল।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে দেখে শুনে খেললেও ৫ ওভার পর থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন রোহিত শর্মা রান এবং শুভমান গিল। দুজনের ব্যাটে ভর করে অষ্টম ওভারেই দলীয় ফিফটি তুলে নেয় ভারত। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি রোহিত। ৩৬ বলে ৪১ রান করে তাকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন।

আর পাওয়ার প্লেতে তাদের রান সংখ্যায় দাঁড়ায় ৬৯। এরপর গিলকে সঙ্গ দেন বিরাট কোহলি। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি এই কিংবদন্তি ব্যাটার। ৩৮ বলে ২২ রান করে ২৩তম ওভারে ক্যাচ আউট হন তিনি। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৬৯ বলে ফিফটি তুলে নেন শুভমান গিল। ১৭ বলে ১৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শ্রেয়াস আইয়ার।

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছাড়তে পারেননি অক্ষর প্যাটেলও (৮)। তবে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ে পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে গিল। ৯ রানে রাহুলকে জীবন উপহার দেন জাকের আলী। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রান তুলতে থাকেন রাহুল।

অপর প্রান্ত থেকে ব্যাট চালিয়ে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় গিল। ১২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত রাহুলের ৪৭ বলে ৪১ রান এবং শুভমান গিলের ১২৯ বলের অপরাজিত ১০১ রানে ভর করে ২১ বল এবং ৬ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় ভারত।

বাংলাদেশের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন রিশাদ হোসেন। এ ছাড়াও তাসকিন ও মোস্তাফিজ একটি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের ষষ্ঠ বলেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। ২ বলে শূন্য রান করে তাকে সঙ্গ দেন শান্ত। এতে ২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

তিনে ব্যাট করতে নেমে দলের হাল ধরতে পারেনি মেহেদী হাসান মিরাজও। ১০ বলে ৫ রান করে ফেরেন তিনি। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করার চেষ্টা করেন ওপেনার তানজিদ তামিম। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি।

নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে কট আউট হন তামিম। পরের বলে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে ডাক আউট করে নিজের জোড়া উইকেট তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। এতে দলীয় ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর জাকেরকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী। নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে ৮৭ বলে ফিফটি তুলে নেন জাকের। অপর প্রান্ত থেকে ৮৫ বলে ফিফটি তুলে নেন হৃদয়ও। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১৫০ রানের কোটা পার করে টাইগাররা।

তবে ৪৩তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন জাকের আলী। ১১৪ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। এরপর পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন রিশাদ হোসেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১২ বলে ১৮ রান করেন এই তরুণ লেগ স্পিনার।

কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান হৃদয়। এদিন পায়ে আঘাত পান হৃদয়। তাই দৌড়ে রান নিতে পারছিলেন না তিনি। তবে ১১৩ বলে ফিফটি তুলে নেন এই তরুণ ব্যাটার।

অপর প্রান্ত থেকে ৬ বলে ৩ রান করে আউট হন তাসিকন। ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে হৃদয় ক্যাচ আউট হলে ২২৮ রানে অলআউট হন বাংলাদেশ।

ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ শামি। এ ছাড়াও হার্সিত রানা তিনটি এবং অক্ষর প্যাটেল দুই উইকেট শিকার করেন।

এ হারে এবারের আসর পরাজয় দিয়ে শুরু করলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে সে ম্যাচ জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে দারুণ শুরু পেয়েছে কিউইরা।

বাংলাদেশকে হারানোর পর ভারতের পরবর্তী প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। ২৩ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি হবে এ দুই দল। সে ম্যাচ হারলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গিলের সেঞ্চুরিতে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার

প্রকাশের সময় : ১২:৩৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আগের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি যেখানে শেষ করেছিল বাংলাদেশ, এবারের শুরুটাও হলো সেখান থেকেই। গত আসরের সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিলেন বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শুরুটা হলো সেই ভারতের কাছে হেরে। বাংলাদেশের দেয়া ২২৯ রানের লক্ষ্য ভারত টপকে গেছে শুবমান গিলের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে। ব্যাটারদের জন্য কঠিন উইকেট হলেও সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটের জয়ে আসর শুরু করল ভারত।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। লড়াকু এক শতরান করেন তাওহীদ হৃদয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রোহিত শর্মার দল। হৃদয়ের জবাবে সেঞ্চুরি করলেন শুবমান গিল।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে দেখে শুনে খেললেও ৫ ওভার পর থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন রোহিত শর্মা রান এবং শুভমান গিল। দুজনের ব্যাটে ভর করে অষ্টম ওভারেই দলীয় ফিফটি তুলে নেয় ভারত। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি রোহিত। ৩৬ বলে ৪১ রান করে তাকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন।

আর পাওয়ার প্লেতে তাদের রান সংখ্যায় দাঁড়ায় ৬৯। এরপর গিলকে সঙ্গ দেন বিরাট কোহলি। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি এই কিংবদন্তি ব্যাটার। ৩৮ বলে ২২ রান করে ২৩তম ওভারে ক্যাচ আউট হন তিনি। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৬৯ বলে ফিফটি তুলে নেন শুভমান গিল। ১৭ বলে ১৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শ্রেয়াস আইয়ার।

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছাড়তে পারেননি অক্ষর প্যাটেলও (৮)। তবে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ে পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে গিল। ৯ রানে রাহুলকে জীবন উপহার দেন জাকের আলী। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রান তুলতে থাকেন রাহুল।

অপর প্রান্ত থেকে ব্যাট চালিয়ে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় গিল। ১২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত রাহুলের ৪৭ বলে ৪১ রান এবং শুভমান গিলের ১২৯ বলের অপরাজিত ১০১ রানে ভর করে ২১ বল এবং ৬ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় ভারত।

বাংলাদেশের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন রিশাদ হোসেন। এ ছাড়াও তাসকিন ও মোস্তাফিজ একটি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের ষষ্ঠ বলেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। ২ বলে শূন্য রান করে তাকে সঙ্গ দেন শান্ত। এতে ২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

তিনে ব্যাট করতে নেমে দলের হাল ধরতে পারেনি মেহেদী হাসান মিরাজও। ১০ বলে ৫ রান করে ফেরেন তিনি। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করার চেষ্টা করেন ওপেনার তানজিদ তামিম। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি।

নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে কট আউট হন তামিম। পরের বলে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে ডাক আউট করে নিজের জোড়া উইকেট তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। এতে দলীয় ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর জাকেরকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী। নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে ৮৭ বলে ফিফটি তুলে নেন জাকের। অপর প্রান্ত থেকে ৮৫ বলে ফিফটি তুলে নেন হৃদয়ও। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১৫০ রানের কোটা পার করে টাইগাররা।

তবে ৪৩তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন জাকের আলী। ১১৪ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। এরপর পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন রিশাদ হোসেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১২ বলে ১৮ রান করেন এই তরুণ লেগ স্পিনার।

কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান হৃদয়। এদিন পায়ে আঘাত পান হৃদয়। তাই দৌড়ে রান নিতে পারছিলেন না তিনি। তবে ১১৩ বলে ফিফটি তুলে নেন এই তরুণ ব্যাটার।

অপর প্রান্ত থেকে ৬ বলে ৩ রান করে আউট হন তাসিকন। ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে হৃদয় ক্যাচ আউট হলে ২২৮ রানে অলআউট হন বাংলাদেশ।

ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ শামি। এ ছাড়াও হার্সিত রানা তিনটি এবং অক্ষর প্যাটেল দুই উইকেট শিকার করেন।

এ হারে এবারের আসর পরাজয় দিয়ে শুরু করলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে সে ম্যাচ জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে দারুণ শুরু পেয়েছে কিউইরা।

বাংলাদেশকে হারানোর পর ভারতের পরবর্তী প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। ২৩ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি হবে এ দুই দল। সে ম্যাচ হারলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল।