নিজস্ব প্রতিবেদক :
গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন ন্যূনতম ২৩ হাজার টাকা ঘোষণা এবং প্রতিটি কারখানায় রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
শুক্রবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনগুলো আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশ এবং লাল পতাকা মিছিল কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানান নেতারা।
সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি শ্রমিকনেতা ইদ্রিস আলী জানান, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির ফলে বর্তমানে পাওয়া মজুরিতে কোনোভাবেই শ্রমিকেরা সংসার চালাতে পারছেন না। উৎপাদন ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা শ্রমিকদের অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, মালিকেরা কখনোই শ্রমিকদের দুঃখ কষ্টকে বিবেচনায় নেয়নি, এখনও নিচ্ছে না। তাই মজুরি বাড়ানোর জন্য বিশেষ কোনো উদ্যোগ সরকার বা মালিক কারও দিক থেকেই নেই। শ্রমিকদের আন্দোলনের চাপে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠন করা হলেও শ্রমিকদের মজুরি বাড়ার বিষয়টি অনিশ্চিত।
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম খান জানান, জীবনধারণ উপযোগী ন্যূনতম মজুরি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন, জাতিসংঘের পুষ্টিমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের হিসাব এবং এশিয়া ফ্লোর ওয়েজ এ্যালাইন্সসহ বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করছে না মালিকপক্ষ।
তিনি বলেন, মজুরি পুনঃনির্ধারণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই মজুরি বোর্ডের প্রতিনিধি নিয়োগে শ্রমিকদের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে। মজুরি নির্ধারণে শ্রমিকদের আশার প্রতিফলন না হওয়ার আশঙ্কা এবং আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। শ্রমিকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কারখানায় রেশনিং ব্যবস্থা চালু খুবই জরুরি। কিন্তু তাও করা হচ্ছে না।
বক্তারা বলেন, উত্তরার ইন্ট্রাকো ডিজাইন লিমিটেড ও ইন্টারকো ফ্যাশন লিমিটেড ও নারায়ণগঞ্জ এর মুন লাক্স এর শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হচ্ছেনা। মালিক বারবার চুক্তি অমান্য করার পরেও মালিকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অতিসত্তর মজুরি বৃদ্ধি ও রেশনিং ব্যবস্থা চালুতে কোনো গাফিলতি দেখলে জাতীয়ভিত্তিক গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন করে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে।
সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি শ্রমিকনেতা ইদ্রিস আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রে’র সাধারণ সম্পাদক প্রখ্যাত শ্রমিকনেতা ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুব মজনু সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু, উত্তরা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।