Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গায়ক উদিত নারায়ণের অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ড

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২২৩ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী উদিত নারায়ণ। একসময়ে তার সুরেলা কণ্ঠের জাদু ছড়িয়ে পড়েছিল বলিউডে। হিন্দি ছাড়াও তামিল, মালয়ালম, কন্নড়, বাংলা, ভোজপুরির মতো অনেক ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। এদিকে সংগীতশিল্পীর মুম্বইয়ের আবাসনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৯টায় মুম্বাইয়ের পশ্চিম আন্ধেরির শাস্ত্রী নগরে অবস্থিত বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, সোমবার রাতে মুম্বাইয়ের আন্দেরি পশ্চিমের শাস্ত্রী নগরের স্কাইপ্যান অ্যাপার্টমেন্টে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ভবনটির নবম তলায় থাকেন উদিত নারায়ণ।

রাত ৯টা ১৫ মিনিটে ভবনের ১১ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় রাহুল মিশ্রা নামে ৭৫ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়, যিনি উদিত নারায়ণের প্রতিবেশী ছিলেন।

মুম্বাই ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে রাহুল মিশ্রার মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় তার সঙ্গে ফ্ল্যাটে ছিলেন তার আত্মীয় রৌণক মিশ্রা। তিনি কিছুটা আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মিশ্রার ফ্ল্যাটে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংগীতশিল্পীর স্কাইপ্যান অ্যাপার্টমেন্টে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিল্ডিংয়ের দিকে যাওয়ার পুরো রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয় । পাশাপাশি আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

উদিত নারায়ণ ১৯৫৫ সালের ১ ডিসেম্বর মৈথিলী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম উদিত নারায়ণ ঝা। উদিত তার মায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখান থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। এরপর তিনি নেপাল থেকে ইন্টার্ন করেন। উদিত ১৯৭০ সালে ১৫ বছর বয়সে রেডিও নেপালে মৈথিলি এবং নেপালি গান উপস্থাপন করা শুরু করেন।

১৯৮০ সালে ‘উনিশ-বিশ’ ছবিতে মো. রাফির সঙ্গে বলিউডে গান শুরু করেন। এরপর কিশোর কুমারের সঙ্গে গান করারও সুযোগ পান তিনি। ১৯৮৮ সালে, আমির খান এবং জুহি চাওলার ছবি ‘কেয়ামত সে কেয়ামত’ দিয়ে তিনি তার চিহ্ন তৈরি করেছিলেন।

এই ছবির ‘পাপা কেহতে হ্যায়’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পায় এবং এই গানটির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পান। উদিত চারবার জাতীয় পুরস্কার এবং পাঁচবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০

গায়ক উদিত নারায়ণের অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ড

প্রকাশের সময় : ১১:৩৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক : 

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী উদিত নারায়ণ। একসময়ে তার সুরেলা কণ্ঠের জাদু ছড়িয়ে পড়েছিল বলিউডে। হিন্দি ছাড়াও তামিল, মালয়ালম, কন্নড়, বাংলা, ভোজপুরির মতো অনেক ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। এদিকে সংগীতশিল্পীর মুম্বইয়ের আবাসনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৯টায় মুম্বাইয়ের পশ্চিম আন্ধেরির শাস্ত্রী নগরে অবস্থিত বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, সোমবার রাতে মুম্বাইয়ের আন্দেরি পশ্চিমের শাস্ত্রী নগরের স্কাইপ্যান অ্যাপার্টমেন্টে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ভবনটির নবম তলায় থাকেন উদিত নারায়ণ।

রাত ৯টা ১৫ মিনিটে ভবনের ১১ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় রাহুল মিশ্রা নামে ৭৫ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়, যিনি উদিত নারায়ণের প্রতিবেশী ছিলেন।

মুম্বাই ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে রাহুল মিশ্রার মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় তার সঙ্গে ফ্ল্যাটে ছিলেন তার আত্মীয় রৌণক মিশ্রা। তিনি কিছুটা আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মিশ্রার ফ্ল্যাটে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংগীতশিল্পীর স্কাইপ্যান অ্যাপার্টমেন্টে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিল্ডিংয়ের দিকে যাওয়ার পুরো রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয় । পাশাপাশি আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

উদিত নারায়ণ ১৯৫৫ সালের ১ ডিসেম্বর মৈথিলী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম উদিত নারায়ণ ঝা। উদিত তার মায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখান থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। এরপর তিনি নেপাল থেকে ইন্টার্ন করেন। উদিত ১৯৭০ সালে ১৫ বছর বয়সে রেডিও নেপালে মৈথিলি এবং নেপালি গান উপস্থাপন করা শুরু করেন।

১৯৮০ সালে ‘উনিশ-বিশ’ ছবিতে মো. রাফির সঙ্গে বলিউডে গান শুরু করেন। এরপর কিশোর কুমারের সঙ্গে গান করারও সুযোগ পান তিনি। ১৯৮৮ সালে, আমির খান এবং জুহি চাওলার ছবি ‘কেয়ামত সে কেয়ামত’ দিয়ে তিনি তার চিহ্ন তৈরি করেছিলেন।

এই ছবির ‘পাপা কেহতে হ্যায়’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পায় এবং এই গানটির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পান। উদিত চারবার জাতীয় পুরস্কার এবং পাঁচবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন।