Dhaka মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজী টায়ার্সের বিপক্ষে ৩৮ বলে জয় মোহামেডানের

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪
  • ২১৩ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ইনিংসের দৈর্ঘ্য তখন মোটে ১২ ওভার। স্কোরবোর্ডে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির রান স্রেফ ৪০! খেলার এ সময় গাজীর শেষ উইকেটটা তুলে নেন পেসার আবু হায়দার রনি। এ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে নিজের নামের পাশে ৭ উইকেট যোগ করেন বাঁহাতি এ পেসার। ৫০ ওভারের ম্যাচটা পরে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব জিতেছে কেবল ৩৮ বল খেলে। উইকেট হারিয়েছে একটি।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নবম রাউন্ডে শনিবার (৬ এপ্রিল) গাজী টায়ার্সকে গুঁড়িয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছেন আবু হায়দার। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শনিবার মোহামেডানেরর অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার ২০ রানে নিয়েছেন ৭ উইকেট। দলটির দুই বোলার আবু হায়দার ও নাসুম আহমেদ ছাড়া আর কাউকে বোলিং করতে হয়নি। আবু হায়দারের সমান ৬ ওভারে সমান রান খরচায় ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম।

সব মিলিয়ে এদিন ১০০ ওভারের ম্যাচ শেষ হয় ১৮.২ ওভারেই। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার আবু হায়দার। ২০১৭-১৮ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ৪০ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন গাজী গ্রুপের পেসার ইয়াসিন আরাফাত। এ ছাড়া ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১৭ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। ২০১৬ সালে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫৮ রানে ৭ উইকেট পেয়েছিলেন আবাহনীর বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজিব।

দেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে গাজী টায়ার্সের চেয়ে কম রানের গুটিয়ে যাওয়ার নজির আছে দুটি। ২০০২ সালের জাতীয় ক্রিকেট লিগের ওয়ানডে সংস্করণে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ৩০ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম বিভাগ। ২০১৩ সালে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ক্রিকেট কোচিং স্কুলকে ৩৫ রানে অলআউট করে আবাহনী।

একটি জায়গায় অবশ্য আজ রেকর্ড গড়ে ফেলেছে গাজী টায়ার্স। এই সংস্করণে বাংলাদেশের কোনো দলের সংক্ষিপ্ততম ইনিংস তাদের।

শুরুতে ব্যাট করতে নামা গাজী টায়ার্সের বিপক্ষে দুজন বোলারের বেশি বল করতে হয়নি মোহামেডানের। নাসুম আহমেদ ও আবু হায়দার রনি বিকেএসপির দুই প্রান্ত থেকে বোলিং শুরু করেন। একজনের স্পিন আক্রমণ, আরেকজনের পেস। দুজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এলোমেলো গাজী টায়ার্স। দলের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। তিনজন পারেননি রানের খাতা খুলতে। ঢাকা লিগ লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর সর্বনিম্ন ৩৫ রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড আছে ক্রিকেট কোচিং স্কুলের। আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে তারা এই রান করেছিলেন।

শনিবার গাজী গুটিয়ে গেল ৪০ রানে। তাদের হয়ে ইফতেখার সাজ্জাদ ১৬ রান না করলে আরো অল্প রানে গুটিয়ে যেত। রনি নিজের প্রথম ওভারে দুই উইকেট নেন। এরপর তৃতীয় ওভারে ফিরে আরো দুই উইকেট জমা করেন। পরের তিন উইকেট নিতে বেশি সময় নেননি। সব মিলিয়ে তার বোলিং ফিগারটা ছিল এরকম, ৬-১-২০-৭। নাসুমও ৬ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। ১ মেডেনসহ ২০ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইমরুল কায়েস ও রনি তালুদকার ৩৫ রানের জুটি গড়েন। সবকটি উইকেট হাতে রেখে জয়ের সুযোগ ছিল তাদের। কিন্তু রনি ১টি করে চার ও ছক্কায় ১২ রান করার পর আকাশের বলে আউট হন। ইমরুল ১৯ ও অঙ্কন ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬.২ ওভারেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের।

২৬২ বল হাতে রেখে জয় পায় মোহামেডান। যা ঢাকা লিগে ইতিহাসে বলের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ মোহামেডানকে ৮০ রানে অলআউট করে ২৫০ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতেছিল। বিধ্বংসী বোলিংয়ে পেসার রনির হাতে উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গাজী টায়ার্সের বিপক্ষে ৩৮ বলে জয় মোহামেডানের

প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ইনিংসের দৈর্ঘ্য তখন মোটে ১২ ওভার। স্কোরবোর্ডে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির রান স্রেফ ৪০! খেলার এ সময় গাজীর শেষ উইকেটটা তুলে নেন পেসার আবু হায়দার রনি। এ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে নিজের নামের পাশে ৭ উইকেট যোগ করেন বাঁহাতি এ পেসার। ৫০ ওভারের ম্যাচটা পরে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব জিতেছে কেবল ৩৮ বল খেলে। উইকেট হারিয়েছে একটি।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নবম রাউন্ডে শনিবার (৬ এপ্রিল) গাজী টায়ার্সকে গুঁড়িয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছেন আবু হায়দার। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শনিবার মোহামেডানেরর অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার ২০ রানে নিয়েছেন ৭ উইকেট। দলটির দুই বোলার আবু হায়দার ও নাসুম আহমেদ ছাড়া আর কাউকে বোলিং করতে হয়নি। আবু হায়দারের সমান ৬ ওভারে সমান রান খরচায় ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম।

সব মিলিয়ে এদিন ১০০ ওভারের ম্যাচ শেষ হয় ১৮.২ ওভারেই। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার আবু হায়দার। ২০১৭-১৮ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ৪০ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন গাজী গ্রুপের পেসার ইয়াসিন আরাফাত। এ ছাড়া ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১৭ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। ২০১৬ সালে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫৮ রানে ৭ উইকেট পেয়েছিলেন আবাহনীর বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজিব।

দেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে গাজী টায়ার্সের চেয়ে কম রানের গুটিয়ে যাওয়ার নজির আছে দুটি। ২০০২ সালের জাতীয় ক্রিকেট লিগের ওয়ানডে সংস্করণে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ৩০ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম বিভাগ। ২০১৩ সালে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ক্রিকেট কোচিং স্কুলকে ৩৫ রানে অলআউট করে আবাহনী।

একটি জায়গায় অবশ্য আজ রেকর্ড গড়ে ফেলেছে গাজী টায়ার্স। এই সংস্করণে বাংলাদেশের কোনো দলের সংক্ষিপ্ততম ইনিংস তাদের।

শুরুতে ব্যাট করতে নামা গাজী টায়ার্সের বিপক্ষে দুজন বোলারের বেশি বল করতে হয়নি মোহামেডানের। নাসুম আহমেদ ও আবু হায়দার রনি বিকেএসপির দুই প্রান্ত থেকে বোলিং শুরু করেন। একজনের স্পিন আক্রমণ, আরেকজনের পেস। দুজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এলোমেলো গাজী টায়ার্স। দলের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। তিনজন পারেননি রানের খাতা খুলতে। ঢাকা লিগ লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর সর্বনিম্ন ৩৫ রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড আছে ক্রিকেট কোচিং স্কুলের। আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে তারা এই রান করেছিলেন।

শনিবার গাজী গুটিয়ে গেল ৪০ রানে। তাদের হয়ে ইফতেখার সাজ্জাদ ১৬ রান না করলে আরো অল্প রানে গুটিয়ে যেত। রনি নিজের প্রথম ওভারে দুই উইকেট নেন। এরপর তৃতীয় ওভারে ফিরে আরো দুই উইকেট জমা করেন। পরের তিন উইকেট নিতে বেশি সময় নেননি। সব মিলিয়ে তার বোলিং ফিগারটা ছিল এরকম, ৬-১-২০-৭। নাসুমও ৬ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। ১ মেডেনসহ ২০ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইমরুল কায়েস ও রনি তালুদকার ৩৫ রানের জুটি গড়েন। সবকটি উইকেট হাতে রেখে জয়ের সুযোগ ছিল তাদের। কিন্তু রনি ১টি করে চার ও ছক্কায় ১২ রান করার পর আকাশের বলে আউট হন। ইমরুল ১৯ ও অঙ্কন ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬.২ ওভারেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের।

২৬২ বল হাতে রেখে জয় পায় মোহামেডান। যা ঢাকা লিগে ইতিহাসে বলের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ মোহামেডানকে ৮০ রানে অলআউট করে ২৫০ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতেছিল। বিধ্বংসী বোলিংয়ে পেসার রনির হাতে উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।