গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :
গাজীপুরের কাশেমপুরে সাইনপুকুর সিরামিকস ফ্যাক্টরিতে শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকায় এনে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে এলপিজি গ্যাস লাইন মেরামত করার সময় বিস্ফোরণ ঘটেছে।
দগ্ধরা হলেন- মো. রাহাত (৩২), আবু রায়হান (৩২), রেজাউল (৫৫), রুপম (২৫), তানভীর (৩৭) ও মো. ফারুক (৫৫)। তারা সবাই গ্যাস সিলিন্ডার মেরামত করার কাজ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে দগ্ধরা গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় শাইনপুকুর সিরামিক কোম্পানিতে এলপিজি গ্যাস লাইন মেরামতের কাজ করছিলেন। মেরামত কাজ করার সময় একটি গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মেরামত করার কাজে যুক্ত সকলেই অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ফ্যাক্টরির লোকজন ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, দগ্ধরা কেউ শাইনপুকুর সিরামিকের কর্মচারী নন। তারা মজুরির ভিত্তিতে গ্যাস সিলিন্ডার মেরামত করতে সেখানে গিয়েছিল।
দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা সাইনপুকুর পুকুর সিরামিক কোম্পানির প্রতিনিধি মো. আল মামুন জানান, আহতরা সবাই গ্যাস সিলিন্ডার রিপেয়ারিং কর্মচারী। তারা কেউ আমাদের কোম্পানির কর্মচারী নন। তারা মজুরিতে গ্যাস সিলিন্ডার রিপেয়ারিং-এর কাজ করে। গতরাত ৯টার দিকে আমাদের কোম্পানির ভিতর গ্যাস সিলিন্ডার রিপেয়ারিংয়ের কাজ করার সময় বৈদ্যুতিক লাইন দিতে গেলে তা থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে দগ্ধ হন তারা। পরে আমরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি। বর্তমানে ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, দগ্ধদের মধ্যে রুপমের ৬ শতাংশ, রেজাউল ২ শতাংশ, তানভীর ১৬ শতাংশ, ফারুক ২১ শতাংশ, আবু রায়হান ৪৪ শতাংশ ও রাহাত ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সকলেরই ফ্লেম বার্ন ইনজুরি রয়েছে। তারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রয়েছে।