নিজস্ব প্রতিবেদক :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কেন্দ্রিক রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২০ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিসবাহ উর রহমান এ আদেশ দেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক নাজমুস সাকিব ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী এম এম ফারুক রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, এ রিমান্ডের আবেদন ছিল ৪ জুন তারিখের। ১১৬ দিন পর আজ শুনানির জন্য আনা হয়েছে। আমার (আসামির) অপরাধ ছিলো, আমি গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছিলাম। এছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি অসুস্থ। দীর্ঘ দিন জেলহাজতে আছি। চাইলে জেলে থাকা অবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারতো।
পরে আদালতের পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক আতিকুল ইসলাম বলেন, এ আসামির রিমান্ড শুনানির জন্য ৬ বার তারিখ পড়েছে। কিন্তু এ আসামির বিরুদ্ধে পিডব্লিউ ইস্যু করা হলেও তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি। কেন তাকে আনা হয়নি, সেটা তো গাজীপুর কারাগার বলতে পারবে।
রাষ্ট্রপক্ষের শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ভয়ঙ্করভাবে হামলা হয়। এর মধ্যে উত্তরা এলাকা একটি। গাজীপুরের আওয়ামী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এ আসামির নেতৃত্বে সেখানে সাধারণ ছাত্র জনতার ওপর হামলা করেছে। এ হামলায় তার সঙ্গে আর কে কে জড়িত? অস্ত্রগুলো কোথায় আছে? এসব বিষয় জানার জন্য তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। পরে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতবছরের ১৮ নভেম্বর যশোরের শার্শা এলাকা থেকে আসাদুর রহমান কিরণকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যান্যরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উত্তরা পূর্ব থানাধীন চার নং সেক্টরস্থ আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। ইসতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পরে মামলা দায়ের করেন।