Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরের ভোট সর্বশ্রেষ্ঠ হবে : ইসি আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, উপমহাদেশে যত ভোট হয়, সেসব ভোটের চেয়ে গাজীপুরের ভোট সর্বশ্রেষ্ঠ হবে। গাজীপুরের ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কঠোর অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সোমবার (২২ মে) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ভোটে অনিয়ম হলে গাইবান্ধার চেয়েও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে ইসি মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন চলাকালীন অনিয়ম পেলে ইসি অথবা রিটার্নিং কর্মকর্তা অথবা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দিতে পারেন। আগে আইনে ইসির যে সুযোগ-সুবিধা ছিল, তা এখনও আছে।

নির্বাচনী প্রচারণায় গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে এই কমিশনার বলেন, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সবাই প্রচারণা চালাচ্ছেন। মিডিয়ায় গাড়ি ভাঙচুরের কোনো ভিডিও আসেনি। কোনো পত্রিকাতেও লেখা হয়নি। রোববার আমি নিজে গিয়েছি গাজীপুর। এর আগেও গিয়েছি। সবাই দেখেছি মাইক দিয়ে প্রচার করছেন। আমি তো আর যাওয়ার সময় বলে যাইনি, যে আমার সামনে দেখানোর জন্য একটু আসেন। গাজীপুর শহরের এক জায়গা দিয়ে ঢুকে আরেক জায়গা দিয়ে বের হই। আমার তো পরিচিত লোকজনও আছেন। তাদের কাছ থেকেও খোঁজ নিচ্ছি। তারপরও আমাদের দেশে সংস্কৃতি যেটা দুই পক্ষ মুখোমুখি হয়ে যায়। এও স্লোগান দেয়, সেও স্লোগান দেয় স্বাভাবিকভাবেই। তখন পুলিশ থাকে মাঝে। পুলিশ সদস্যরা সুন্দরভাবে ভূমিকা পালন করছেন।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন পরিস্থিতি কি কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আছে-এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, আপনাদের যদি মনে হয় নিয়ন্ত্রণে নাই, তবে না থাকার প্রমাণ দেন।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রে যেতে যদি বাধা দেওয়া হয়- ৫৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বিজিবির টিম, র‌্যাব ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এরপরও নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার তো কোনো কারণ নেই। ভোটাররা যদি বলেন যে ভয় পাচ্ছি, তো আন্দাজে ভয় পেয়ে তো লাভ নাই। যদি কেউ বাধা দেন তখন বলুক। কঠিন অ্যাকশন নেওয়া হবে।

মো. আলমগীর বলেন, গতকাল মিটিংয়ে বলা হয়েছে, কোনো ভোটার বা এজেন্টকে কোনো রকম বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে, সে যেই হোক।

এজেন্টের স্বাক্ষর ছাড়া আমরা কোনো ফলাফল শিট গ্রহণ করবো না। না হলে সেখানে সার্টিফাই করতে হবে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে, যে এখানে এই পক্ষের কোনো এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন না। এর আগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাবেন যে নাই। তখন আবার প্রার্থীকে জানানো হবে যে নাই কেন, আপনার এজেন্ট নিয়ে আসেন।

সিসি ক্যামেরার প্রসঙ্গে এ নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, সব বুথে সিসি ক্যামেরা থাকবে। ঢাকায় বসে সিইসিসহ অন্য কমিশনার, কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা তা পর্যবেক্ষণ করবেন। আমরা কোনো অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী অ্যাকশনে যাবো। গাইবান্ধায় তো কেবল নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। এখানে তার চাইতেও কঠিন অ্যাকশন হবে। আপনারা দেখেন।

আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

গাজীপুরের ভোট সর্বশ্রেষ্ঠ হবে : ইসি আলমগীর

প্রকাশের সময় : ০৪:২৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, উপমহাদেশে যত ভোট হয়, সেসব ভোটের চেয়ে গাজীপুরের ভোট সর্বশ্রেষ্ঠ হবে। গাজীপুরের ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কঠোর অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সোমবার (২২ মে) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ভোটে অনিয়ম হলে গাইবান্ধার চেয়েও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে ইসি মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন চলাকালীন অনিয়ম পেলে ইসি অথবা রিটার্নিং কর্মকর্তা অথবা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দিতে পারেন। আগে আইনে ইসির যে সুযোগ-সুবিধা ছিল, তা এখনও আছে।

নির্বাচনী প্রচারণায় গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে এই কমিশনার বলেন, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সবাই প্রচারণা চালাচ্ছেন। মিডিয়ায় গাড়ি ভাঙচুরের কোনো ভিডিও আসেনি। কোনো পত্রিকাতেও লেখা হয়নি। রোববার আমি নিজে গিয়েছি গাজীপুর। এর আগেও গিয়েছি। সবাই দেখেছি মাইক দিয়ে প্রচার করছেন। আমি তো আর যাওয়ার সময় বলে যাইনি, যে আমার সামনে দেখানোর জন্য একটু আসেন। গাজীপুর শহরের এক জায়গা দিয়ে ঢুকে আরেক জায়গা দিয়ে বের হই। আমার তো পরিচিত লোকজনও আছেন। তাদের কাছ থেকেও খোঁজ নিচ্ছি। তারপরও আমাদের দেশে সংস্কৃতি যেটা দুই পক্ষ মুখোমুখি হয়ে যায়। এও স্লোগান দেয়, সেও স্লোগান দেয় স্বাভাবিকভাবেই। তখন পুলিশ থাকে মাঝে। পুলিশ সদস্যরা সুন্দরভাবে ভূমিকা পালন করছেন।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন পরিস্থিতি কি কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আছে-এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, আপনাদের যদি মনে হয় নিয়ন্ত্রণে নাই, তবে না থাকার প্রমাণ দেন।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রে যেতে যদি বাধা দেওয়া হয়- ৫৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বিজিবির টিম, র‌্যাব ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এরপরও নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার তো কোনো কারণ নেই। ভোটাররা যদি বলেন যে ভয় পাচ্ছি, তো আন্দাজে ভয় পেয়ে তো লাভ নাই। যদি কেউ বাধা দেন তখন বলুক। কঠিন অ্যাকশন নেওয়া হবে।

মো. আলমগীর বলেন, গতকাল মিটিংয়ে বলা হয়েছে, কোনো ভোটার বা এজেন্টকে কোনো রকম বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে, সে যেই হোক।

এজেন্টের স্বাক্ষর ছাড়া আমরা কোনো ফলাফল শিট গ্রহণ করবো না। না হলে সেখানে সার্টিফাই করতে হবে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে, যে এখানে এই পক্ষের কোনো এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন না। এর আগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাবেন যে নাই। তখন আবার প্রার্থীকে জানানো হবে যে নাই কেন, আপনার এজেন্ট নিয়ে আসেন।

সিসি ক্যামেরার প্রসঙ্গে এ নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, সব বুথে সিসি ক্যামেরা থাকবে। ঢাকায় বসে সিইসিসহ অন্য কমিশনার, কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা তা পর্যবেক্ষণ করবেন। আমরা কোনো অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী অ্যাকশনে যাবো। গাইবান্ধায় তো কেবল নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। এখানে তার চাইতেও কঠিন অ্যাকশন হবে। আপনারা দেখেন।

আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।