Dhaka বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরের আগুনে নিহত বেড়ে ১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের কোনাবাড়ী এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে কমলা খাতুন (৬৫) নামে দগ্ধ আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।

বুধবার (২০ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪ জনে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা তরিকুল ইসলাম।

মো. তরিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নের আইসিইউর ৪ নম্বর বেডে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, এ বিস্ফোরণের ঘটনায় এর আগে সোলাইমান মোল্লা, মনসুর আলী, শিশু তায়েবা, আরিফুল ইসলাম, মহিদুল, নার্গিস খাতুন, জহিরুল ইসলাম, মোতালেব, সোলায়মান, রাব্বি, তাওহীদ, ইয়াসিন আরাফাত ও মশিউর রহমান মারা যান।

উল্লেখ্য, কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচলা এলাকায় শফিকুল ইসলামের ঘরে বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ঘরের সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে যায়। পাশের একটি দোকান থেকে নিজেই একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে এনে ঘরের ভেতর চুলার সঙ্গে সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় সিলিন্ডারের চাবি ভেঙে যায়। এতে গ্যাস ঘরের ভেতর ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তখন তিনি সিলিন্ডারটি বাইরে ফেলে দেন। তখনো গ্যাস ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এ সময় পাশের অন্য একটি ঘরের লাকড়ির চুলার আগুন গ্যাসের সংস্পর্শে এলে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। আশপাশের ঘরে ও বাইরে থাকা লোকজনের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে নারী, পুরুষ ও শিশু মিলিয়ে ৩৬ জন দগ্ধ হন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গাজীপুরের আগুনে নিহত বেড়ে ১৪

প্রকাশের সময় : ১০:১৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের কোনাবাড়ী এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে কমলা খাতুন (৬৫) নামে দগ্ধ আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।

বুধবার (২০ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪ জনে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা তরিকুল ইসলাম।

মো. তরিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নের আইসিইউর ৪ নম্বর বেডে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, এ বিস্ফোরণের ঘটনায় এর আগে সোলাইমান মোল্লা, মনসুর আলী, শিশু তায়েবা, আরিফুল ইসলাম, মহিদুল, নার্গিস খাতুন, জহিরুল ইসলাম, মোতালেব, সোলায়মান, রাব্বি, তাওহীদ, ইয়াসিন আরাফাত ও মশিউর রহমান মারা যান।

উল্লেখ্য, কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচলা এলাকায় শফিকুল ইসলামের ঘরে বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ঘরের সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে যায়। পাশের একটি দোকান থেকে নিজেই একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে এনে ঘরের ভেতর চুলার সঙ্গে সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় সিলিন্ডারের চাবি ভেঙে যায়। এতে গ্যাস ঘরের ভেতর ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তখন তিনি সিলিন্ডারটি বাইরে ফেলে দেন। তখনো গ্যাস ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এ সময় পাশের অন্য একটি ঘরের লাকড়ির চুলার আগুন গ্যাসের সংস্পর্শে এলে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। আশপাশের ঘরে ও বাইরে থাকা লোকজনের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে নারী, পুরুষ ও শিশু মিলিয়ে ৩৬ জন দগ্ধ হন।