আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে তীব্র লড়াইয়ের পর্যায় শেষ হচ্ছে। কিন্তু যতক্ষণ না হামাস ফিলিস্তিনি ছিটমহল নিয়ন্ত্রণ করবে ততক্ষণ যুদ্ধ শেষ হবে না।
রোববার (২৩ জুন) ইসরায়েলের চ্যানেল ১৪ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
নেতানিয়াহু বলেন, গাজায় তীব্র লড়াই শেষ হয়ে গেলে ইসরায়েল লেবাননের উত্তর সীমান্তে আরও বাহিনী মোতায়েন করতে সক্ষম হবে। সেখানে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর সাথে লড়াইয়ের তীব্রতা বেড়েছে।
তিনি বলেন, তীব্র পর্যায় শেষ হওয়ার পর, আমাদের বাহিনীর কিছু অংশ উত্তর দিকে সরানোর সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এটি করব প্রথমত এবং সর্বাগ্রে প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যে এবং দ্বিতীয়ত, আমাদের (সরিয়ে আনা) বাসিন্দাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য।
হামাসের বিরুদ্ধে তীব্র লড়াইয়ের পর্যায় কবে শেষ হবে জানতে চাইলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘খুব শিগগিরই।’ তবে গাজায় সামরিক অভিযান চলবে।
তিনি বলেন, আমি যুদ্ধ শেষ করতে এবং হামাসকে যেমন আছে তেমন ছেড়ে দিতে রাজি নই।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে অপহৃতদের ফিরিয়ে আনা এবং গাজায় হামাস সরকারকে উৎখাত করা। হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তীব্র পর্যায় শেষ হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে, যুদ্ধ শেষ হতে চলেছে, তবে রাফাতে যুদ্ধের ‘তীব্র পর্যায়’ শেষ হতে চলেছে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যে’ শিগগিরই লেবাননের উত্তর সীমান্তে সেনা মোতায়েন করা হবে। এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য প্রতিরক্ষামূলক এবং দ্বিতীয়ত, বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া আমাদের বাসিন্দাদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। ’
এর আগে গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ঘোষণা করেন। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছিলেন, প্রস্তাবটি ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এসেছে, তবে নেতানিয়াহুসহ বিভিন্ন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হামাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যা প্রস্তাবটিকে অস্বীকার করার শামিল।
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপর বছরের পর বছর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো নিপীড়ন আরও জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেদিনের পর থেকে চালানো সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৮৫ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।