Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার মসজিদে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় একটি মসজিদে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ২৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

রোববার (৬ অক্টোবর) ভোরের দিকে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার মিডিয়া অফিস। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল একটি মসজিদ ও একটি স্কুল, যেখানে বাস্তুচ্যুত মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছিলেন।

গাজার দেইর-এল-বালাহ এলাকায় আল-আকসা মার্টিয়ার্স হাসপাতালের পাশে অবস্থিত সাহদা আল-আকসা মসজিদে বাস্তুচ্যুত হওয়া বহু ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন।

কোনো তথ্যপ্রমাণ না দিলেও ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, দেইর-এল-বালাহ এলাকার সাহদা আল-আকসা মসজিদটিকে কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছিল হামাস। তাই সেখানে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, দেইর আল বালাহ এলাকায় একসময়ের ‘শুহাদা আল-আকসা’ মসজিদে সুনির্দিষ্টভাবে হামাস সন্ত্রাসীদের ওপর হামলা করা হয়েছে, যারা সেখানে কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার পরিচালনা করছিল।

এছাড়া শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে ৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এদিকে উত্তর গাজার আল-মাওয়াসি ‘মানবিক অঞ্চল’ থেকে সব ফিলিস্তিনিকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

দখলদার এ বাহিনীর মুখপাত্র আভিচায় আদ্রেই বাসিন্দাদের বলেছেন, আপনাদের অঞ্চলে হামাস সন্ত্রাসী অবকাঠামো গড়ে তুলেছে, জনসাধারণ, আশ্রয়কেন্দ্র এবং স্বাস্থ্য সুবিধাকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে ঝটিকা অভিযান জোরদার করবে এবং চালিয়ে যাবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলিদের শহরতলীতে হামাসের হামলার জবাবে শুরু হওয়া আভিযানে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ হাজার ৮২৫ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৯২০ জন। এর আগে হামাসের প্রতিশোধমূলক হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়। অপহরণ করা হয় আরও ২০০ জনকে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গাজার মসজিদে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২৬

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৪:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় একটি মসজিদে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ২৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

রোববার (৬ অক্টোবর) ভোরের দিকে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার মিডিয়া অফিস। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল একটি মসজিদ ও একটি স্কুল, যেখানে বাস্তুচ্যুত মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছিলেন।

গাজার দেইর-এল-বালাহ এলাকায় আল-আকসা মার্টিয়ার্স হাসপাতালের পাশে অবস্থিত সাহদা আল-আকসা মসজিদে বাস্তুচ্যুত হওয়া বহু ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন।

কোনো তথ্যপ্রমাণ না দিলেও ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, দেইর-এল-বালাহ এলাকার সাহদা আল-আকসা মসজিদটিকে কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছিল হামাস। তাই সেখানে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, দেইর আল বালাহ এলাকায় একসময়ের ‘শুহাদা আল-আকসা’ মসজিদে সুনির্দিষ্টভাবে হামাস সন্ত্রাসীদের ওপর হামলা করা হয়েছে, যারা সেখানে কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার পরিচালনা করছিল।

এছাড়া শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে ৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এদিকে উত্তর গাজার আল-মাওয়াসি ‘মানবিক অঞ্চল’ থেকে সব ফিলিস্তিনিকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

দখলদার এ বাহিনীর মুখপাত্র আভিচায় আদ্রেই বাসিন্দাদের বলেছেন, আপনাদের অঞ্চলে হামাস সন্ত্রাসী অবকাঠামো গড়ে তুলেছে, জনসাধারণ, আশ্রয়কেন্দ্র এবং স্বাস্থ্য সুবিধাকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে ঝটিকা অভিযান জোরদার করবে এবং চালিয়ে যাবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলিদের শহরতলীতে হামাসের হামলার জবাবে শুরু হওয়া আভিযানে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ হাজার ৮২৫ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৯২০ জন। এর আগে হামাসের প্রতিশোধমূলক হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়। অপহরণ করা হয় আরও ২০০ জনকে।