Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় হত্যা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া দুঃখজনক : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে বিশ্ব, কিন্তু এই ধরনের মৃত্যু বন্ধে কেউ কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

রোববার (২৪ মার্চ) ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের (শাসক দল) মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের জন্য মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং এটি করা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং গাজায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যার পাশাপাশি ইসরায়েলি বাহিনীর হাসপাতালে হামলার নিন্দা করেন।

তিনি গাজায় মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে সেখানে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এরইমধ্যে মিশরের মাধ্যমে দুই দফা ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। আমি যেখানেই সুযোগ পেয়েছি ফিলিস্তিনিদের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় আমার আওয়াজ তুলেছি।

প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ শাসনামলে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে ইয়াসির আরাফাতের সফরের কথাও স্মরণ করেন।

সেক্রেটারি জেনারেল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনিদের জন্য দৃঢ় সমর্থন এবং আওয়াজ তোলার জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

জেবরিল আলরজউব বলেন, যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই উদ্দেশ্যে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।

গাজায় তীব্র খাদ্য সংকট বিরাজ করছে এবং মানুষ অনাহারে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।

জেবরিল আলরজুব বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।

আরব দেশগুলোতে ৪০০ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করলেও তারা ঐক্যবদ্ধ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ঐক্যবদ্ধ হলে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন সহজেই বন্ধ হয়ে যাবে। আরব বিশ্বের শক্তি ও সম্পদ আছে, শুধু ঐক্যই ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ না হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক শান্তি কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দৃঢ় ভূমিকার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একটি চিঠিও হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

গাজায় হত্যা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া দুঃখজনক : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:৫১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে বিশ্ব, কিন্তু এই ধরনের মৃত্যু বন্ধে কেউ কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

রোববার (২৪ মার্চ) ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের (শাসক দল) মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের জন্য মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং এটি করা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং গাজায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যার পাশাপাশি ইসরায়েলি বাহিনীর হাসপাতালে হামলার নিন্দা করেন।

তিনি গাজায় মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে সেখানে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এরইমধ্যে মিশরের মাধ্যমে দুই দফা ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। আমি যেখানেই সুযোগ পেয়েছি ফিলিস্তিনিদের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় আমার আওয়াজ তুলেছি।

প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ শাসনামলে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে ইয়াসির আরাফাতের সফরের কথাও স্মরণ করেন।

সেক্রেটারি জেনারেল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনিদের জন্য দৃঢ় সমর্থন এবং আওয়াজ তোলার জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

জেবরিল আলরজউব বলেন, যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই উদ্দেশ্যে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।

গাজায় তীব্র খাদ্য সংকট বিরাজ করছে এবং মানুষ অনাহারে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।

জেবরিল আলরজুব বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।

আরব দেশগুলোতে ৪০০ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করলেও তারা ঐক্যবদ্ধ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ঐক্যবদ্ধ হলে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন সহজেই বন্ধ হয়ে যাবে। আরব বিশ্বের শক্তি ও সম্পদ আছে, শুধু ঐক্যই ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ না হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক শান্তি কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দৃঢ় ভূমিকার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একটি চিঠিও হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।