আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে টানা প্রায় দেড় মাস ধরে বোমাবর্ষণ ও স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন সাড়ে ১১ হাজার ফিলিস্তিনি। দখলদারদের নির্বিচারে চালানো এই হামলায় থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার স্কুল, মসজিদ, গির্জা, শরাণার্থী শিবির এমনকি হাসপাতালও।
ইসরায়েলি সেনারা ধ্বংস করে দিয়েছে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠিত একটি হাসপাতাল।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) মাহাথির মোহাম্মদ নিজেই এক এক্সবার্তায় এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, গত ৭ নভেম্বর ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার ডা. সিতি হাসমাহ এবং এনায়া ফিজিওথেরাপি সেন্টার ধ্বংসের কথা জানতে পেরে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এর আগে গাজার অন্যান্য হাসপাতাল ও আশ্রয়কেন্দ্রে বোমা হামলা ও ধ্বংসের জন্য শোক প্রকাশ করেছি। তবে কিন্তু এই হাসপাতালের প্রতি আমার ব্যক্তিগত টান একটু বেশি। কারণ পেরডানা গ্লোবাল পিস ফাউন্ডেশনে (পিজিপিএফ) সদস্য হিসেবে এ হাসপাতাল নির্মাণে আমি সরাসরি জড়িত ছিলাম। এটি তৈরিতে আরও সহযোগিতা করেছে হিউম্যানিটেরিয়ান কেয়ার মালয়েশিয়া, মুসলিম কেয়ার মালয়েশিয়া, মিডিয়া প্রাইমা হিউম্যানিটেরিয়ান ফান্ড এবং চ্যারিটেবল অ্যাসোসিয়েশন ফর প্যালেস্টাইন রিলিফ। ২০১৯ সাল থেকে এ হাসপাতাল দারুণভাবে সেবা দিয়ে আসছিল।
মাহাথির ক্ষোভ ঝেড়ে লেখেন, গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসে অবস্থিত এই হাসপাতালে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের হামলার কোনো কারণ ছিল না।
তিনি আরও লিখেছেন, হাসপাতাল, বাসস্থানে বোমা হামলা এবং এখন একটি ফিজিওথেরাপি কেন্দ্রে হামলা প্রমাণ করেছে যে ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে এসব সেবাদানের কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে। আমরা এখন যা করতে পারি তা হলো প্রতিবাদ এবং ইসরায়েলের বর্বরতা ফিলিস্তিনিদের থেকে রক্ষার জন্য প্রার্থনা।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এছাড়া ইসরাইলের এ বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।
ফিলিস্তিনি সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই সাড়ে ১১ হাজারে পৌঁছেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭ হাজার ৮০০ জনের বেশি নারী ও শিশু।
এছাড়া ইসরাইলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও ২৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।