Dhaka মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় বেকারত্বের হার ৭৯ দশমিক ১ শতাংশ : জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইসরাইলি ক্রমাগত হামলায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে গাজাবাসী। উপত্যকাটি প্রায় ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। বিশেষ করে গাজায় বেকারত্বের হার ‘বিস্ময়কর’ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’র তথ্য বলছে, গাজায় ইসরাইলের হামলার পর থেকে গত আট মাসে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৭৯ দশমিক ১ শতাংশে।

শুক্রবার (৭ জুন) জাতিসংঘের শ্রম সংস্থার বরাতে খবরটি দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কর্মসংস্থানের ওপর যুদ্ধের প্রভাবের চতুর্থ মূল্যায়নে বলেছে যে, গাজা উপত্যকায় বেকারত্ব ৭৯ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছেছে। আর পশ্চিম তীরে বেকারত্বের হার প্রায় ৩২ শতাংশ। দেশটিতে সামগ্রিক বেকারত্বের হার ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ বলেও জানায় আইএলও।

যারা বিভিন্ন কারণে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন তাদেরকে এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সেক্ষেত্রে বেকারত্বের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক ওই সংস্থাটি।

আরব রাষ্ট্রগুলোর জন্য আইএলও-এর আঞ্চলিক পরিচালক রুবা জারাদাত বলেন, যে ফিলিস্তিনিরা চাকরি খোঁজা ছেড়ে দিয়েছেন তাঁদের রাখা হয়নি এই পরিসংখ্যানে। পরিস্থিতি অনেক খারাপ।

গাজায় ইসরায়েলের স্থল ও বিমান হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি নিহত এবং অন্তত ৮৩ হাজার ৩০৯ মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের অধিকাংশই নারী ও শিশু। যুদ্ধের আগেও গাজার প্রায় ২৩ লাখ জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত।

রুবা জারাদাত বলেন, এই উচ্চ বেকারত্বের হার দিয়ে কল্পনা করুন, মানুষ নিজেদের এবং তাদের পরিবারের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে না। এটি তাদের স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলছে। তাদের হাতে অর্থ থাকলেও সেখানের বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পাওয়ার জন্য নেই কোনো হাসপাতাল।

হারেৎজের সম্পাদকীয়: বর্বরতার চূড়ান্ত পর্যায়ে জায়োনিজম, ইসরায়েলের পতন সময়ের ব্যাপারহারেৎজের সম্পাদকীয়: বর্বরতার চূড়ান্ত পর্যায়ে জায়োনিজম, ইসরায়েলের পতন সময়ের ব্যাপার আইএলওর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে জিডিপি কমেছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে গাজা উপত্যকায় ৮৩ দশমিক ৫ এবং পশ্চিম তীরে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।

রুবা জারাদাত বলেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে, বিশেষ করে পশ্চিম তীরে, আয় হ্রাস অনেক পরিবারকে গুরুতর দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়কের বেহাল দশা, চলাচলে চরম ভোগান্তি

গাজায় বেকারত্বের হার ৭৯ দশমিক ১ শতাংশ : জাতিসংঘ

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৫:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইসরাইলি ক্রমাগত হামলায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে গাজাবাসী। উপত্যকাটি প্রায় ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। বিশেষ করে গাজায় বেকারত্বের হার ‘বিস্ময়কর’ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’র তথ্য বলছে, গাজায় ইসরাইলের হামলার পর থেকে গত আট মাসে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৭৯ দশমিক ১ শতাংশে।

শুক্রবার (৭ জুন) জাতিসংঘের শ্রম সংস্থার বরাতে খবরটি দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কর্মসংস্থানের ওপর যুদ্ধের প্রভাবের চতুর্থ মূল্যায়নে বলেছে যে, গাজা উপত্যকায় বেকারত্ব ৭৯ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছেছে। আর পশ্চিম তীরে বেকারত্বের হার প্রায় ৩২ শতাংশ। দেশটিতে সামগ্রিক বেকারত্বের হার ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ বলেও জানায় আইএলও।

যারা বিভিন্ন কারণে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন তাদেরকে এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সেক্ষেত্রে বেকারত্বের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক ওই সংস্থাটি।

আরব রাষ্ট্রগুলোর জন্য আইএলও-এর আঞ্চলিক পরিচালক রুবা জারাদাত বলেন, যে ফিলিস্তিনিরা চাকরি খোঁজা ছেড়ে দিয়েছেন তাঁদের রাখা হয়নি এই পরিসংখ্যানে। পরিস্থিতি অনেক খারাপ।

গাজায় ইসরায়েলের স্থল ও বিমান হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি নিহত এবং অন্তত ৮৩ হাজার ৩০৯ মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের অধিকাংশই নারী ও শিশু। যুদ্ধের আগেও গাজার প্রায় ২৩ লাখ জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত।

রুবা জারাদাত বলেন, এই উচ্চ বেকারত্বের হার দিয়ে কল্পনা করুন, মানুষ নিজেদের এবং তাদের পরিবারের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে না। এটি তাদের স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলছে। তাদের হাতে অর্থ থাকলেও সেখানের বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পাওয়ার জন্য নেই কোনো হাসপাতাল।

হারেৎজের সম্পাদকীয়: বর্বরতার চূড়ান্ত পর্যায়ে জায়োনিজম, ইসরায়েলের পতন সময়ের ব্যাপারহারেৎজের সম্পাদকীয়: বর্বরতার চূড়ান্ত পর্যায়ে জায়োনিজম, ইসরায়েলের পতন সময়ের ব্যাপার আইএলওর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে জিডিপি কমেছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে গাজা উপত্যকায় ৮৩ দশমিক ৫ এবং পশ্চিম তীরে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।

রুবা জারাদাত বলেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে, বিশেষ করে পশ্চিম তীরে, আয় হ্রাস অনেক পরিবারকে গুরুতর দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে।