আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোর কাজ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে পারে বলে আশার বাণী শুনিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) ইসরায়েল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে সাংবাদিকদের এ কথা বলে তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি সংহতি জানাতে বুধবার ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমে গিয়েছিলেন বাইডেন। সেই সফর শেষে মার্কিন বিমান বাহিনীর বিশেষ উড়োজাহাজ এয়ারফোর্স ওয়ানে চেপে দেশে ফিরে যান তিনি।
বিমান ছাড়ার আগে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে টেলিফোনে আমার কথা হয়েছে। গাজার বেসামরিক লোকজনের জন্য ত্রাণ সরবরাহের জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতে রাজি হয়েছেন। (ইসরায়েলের) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও এ ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সম্প্রতি ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বোমা হামলায় রাফা ক্রসিংয়ের বেশ কিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেসব জায়গা মেরামতের কাজ চলছে উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, আশা করছি শুক্রবারের মধ্যেই এই ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ সামগ্রীবাহী ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশ করা শুরু করবে। প্রথম দিন ২০টি ট্রাককে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। তবে এই ক্রসিং খোলা হবে কেবল ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের জন্য। শরণার্থীরা এই ক্রসিং ব্যবহার করতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভূখণ্ড গাজায় বসবাস করেন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি। দারিদ্র ও বেকারত্বপীড়িত এই ভূখণ্ডের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশই জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার সহায়তার ওপর সরাসরি নির্ভরশীল।
ইসরায়েল ব্যতীত গাজার সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে কেবল মিসরের। রাফাহ ক্রসিং নামের সেই সীমান্ত পথ দিয়েই গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণ ও সহায়তা সামগ্রী পাঠানো হয়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। জবাবে গাজা ভূখণ্ডে বিমান ও বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে মুখ থুবড়ে পড়ে গাজা। ব্যাপক ধ্বংসের কারণে মানবিক বিপর্যয়ে পড়ে উপত্যকার জনগণ। এই অবস্থায় বন্ধ করে দেওয়া হয় রাফাহ ক্রসিং। যে কারণে গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণ-সহায়তা আসা বন্ধ হয়ে যায়। মিসর সীমান্তে অন্তত ২০০ ট্রাক ত্রাণবাহী অপেক্ষা করে আছে।