Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরো ১১৫ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় একদিনে ১১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দখলদারদের নির্বিচারে হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না উদ্ধারকারী দল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাতে শনিবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি ও আল জাজিরা।

তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) জানিয়েছে, ‘গিডিয়নের রথ’ অভিযানের শুরুতে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে ব্যাপক আক্রমণ চালানো হয়েছে। যার মাধ্যমে সেনারা গাজা উপত্যকার এলাকাগুলি দখল করবে। অভিযানের আগে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে উত্তর গাজার কিছু অংশ ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরণার্থী শিবির ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে আইডিএফ। গত কয়েক দিনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবির। গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহর দক্ষিণ-পূর্ব অংশে গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের কাছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি তাঁবুতেও হামলা চালানো হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

গাজার দক্ষিণের রাফাহ শহরেও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। একটি ড্রোন হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। খান ইউনুসের পূর্বাঞ্চল থেকে সরে যাওয়ার সময় আরেকটি হামলায় একটি চলন্ত গাড়িতে নিহত হন দাদা ও তার দুই নাতি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান ইসরায়েলি অভিযানে গাজাউপত্যকায় মোট নিহত হয়েছেন ৫৩ হাজার ১১৯ জন। আহতের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ১ লাখ ২০ হাজার ২১৪ জনে। হতাহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।

কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত প্রায় ২ মাসে দিনে গাজায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৯৮৫ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৮ হাজার ১৭৩ জন।

শুক্রবার থেকে ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম মারিভ জানিয়েছে, শুক্রবার গাজায় প্রতি চার মিনিট পর পর একবার করে হামলা চালিয়েছে আইডিএফ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরো ১১৫ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশের সময় : ১২:৩১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় একদিনে ১১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দখলদারদের নির্বিচারে হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না উদ্ধারকারী দল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাতে শনিবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি ও আল জাজিরা।

তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) জানিয়েছে, ‘গিডিয়নের রথ’ অভিযানের শুরুতে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে ব্যাপক আক্রমণ চালানো হয়েছে। যার মাধ্যমে সেনারা গাজা উপত্যকার এলাকাগুলি দখল করবে। অভিযানের আগে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে উত্তর গাজার কিছু অংশ ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরণার্থী শিবির ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে আইডিএফ। গত কয়েক দিনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবির। গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহর দক্ষিণ-পূর্ব অংশে গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের কাছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি তাঁবুতেও হামলা চালানো হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

গাজার দক্ষিণের রাফাহ শহরেও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। একটি ড্রোন হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। খান ইউনুসের পূর্বাঞ্চল থেকে সরে যাওয়ার সময় আরেকটি হামলায় একটি চলন্ত গাড়িতে নিহত হন দাদা ও তার দুই নাতি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান ইসরায়েলি অভিযানে গাজাউপত্যকায় মোট নিহত হয়েছেন ৫৩ হাজার ১১৯ জন। আহতের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ১ লাখ ২০ হাজার ২১৪ জনে। হতাহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।

কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত প্রায় ২ মাসে দিনে গাজায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৯৮৫ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৮ হাজার ১৭৩ জন।

শুক্রবার থেকে ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম মারিভ জানিয়েছে, শুক্রবার গাজায় প্রতি চার মিনিট পর পর একবার করে হামলা চালিয়েছে আইডিএফ।