আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইসরায়েলি বোমা হামলায় আলজাজিরা আরবির এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তার নাম সামের আবুদাকা। তিনি ক্যামেরাপারসন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় আলজাজিরা আরবির গাজা ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল দাহদুহ আহত হয়েছেন। অক্টোবরে ইসরায়েলি হামলায় স্ত্রী-সন্তান হারিয়েছিলেন। ওই শোক সামাল দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি আবার সংবাদ সংগ্রহের কাজে নেমে পড়েছিলেন।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় আবুদাকাকে নিয়ে সেখানকার ফারহানা স্কুল থেকে ইসরায়েলি হামলার সংবাদ প্রচার করছিলেন দাহদু।
ইসরায়েলি বোমা হামলা অব্যাহত থাকায় ঘটনার পরপরই উদ্ধারকারীরা আহত সামের কাছে পৌঁছাতে পারেননি। এতে একপর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়। আর বাহুতে আঘাত পাওয়া দাহদুহ কোনো মতে সেখানকার নাসের হাসপাতালে পৌঁছাতে সক্ষম হন। সেখানে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফারহানা স্কুলের আশপাশে শুক্রবার ভারী গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
সামের আবুদাকার নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট (আইএফজে)। নিন্দা জানিয়ে এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি গাজায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রদানের দাবিও পুনর্ব্যক্ত করে।
গত সপ্তাহে আইএফজের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা যুদ্ধে চলতি বছর ৭২ জন সংবাদকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
২৬ অক্টোবর দক্ষিণ গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হয়েছিল সাংবাদিক ওয়ায়েল দাহদুহর স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে ও এক নাতি। ওই ঘটনার সময়ও তিনি গাজা থেকে যুক্ত ছিলেন ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার সরাসরি সংবাদ সম্প্রচারের সঙ্গে।
এদিকে সাংবাদিক সুরক্ষা কমিটির দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬০ জনেরও বেশি সাংবাদিক এবং মিডিয়া স্টাফ প্রাণ হারিয়েছেন। আর গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৯ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি নারী ও শিশু।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
























