Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাছ কাটার জেরে চাচার হাতে ভাই-বোন খুন

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

জমির সীমানায় গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে আপন ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন চাচা আব্দুল কাদির (৫৫)। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের উত্তর কুড়িমারা পূর্ব পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মাহমুদুল হাসান আলমগীর (৩০) ও নাদিরা খাতুন (২২)। তারা অভিযুক্ত আব্দুলু কাদিরের ভাতিজা ও ভাতিজি। এ ঘটনায় আছমা খাতুন (৫০), হুমায়ুন কবির (২৮) ও সালমান (২০) নামে তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানায়, জমির সীমানায় গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে আব্দুল কাদির ও তার স্বজনেরা দা ও কুড়াল দিয়ে কয়েকজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এতে কাদিরের আপন ভাতিজা মাহমুদুল হাসান আলমগীর ঘটনাস্থলে মারা যান এবং ভাতিজি নাদিরাকে গুরুতর জখম অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যান।

স্থানীয়রা জানান, গ্রামের মৃত হোসেন আলীর দুই ছেলে শামসুল ইসলাম ও আব্দুল কাদিরের মধ্যে কিছুদিন ধরে জমির সীমানায় গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল। সকালের সংঘর্ষে শামসুল ইসলামের স্ত্রী আছমা খাতুন ও ছেলে হুমায়ুন কবির এবং সালমান গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এই সংঘর্ষে নিহত মাহমুদুল মাস্টার্স পাশ করে সিলেট শহর এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করতেন। পারিবারিক কাজে গত বুধবার রাতে বাড়িতে আসেন।

নিহত মাহমুদুলের স্ত্রী ফাহিমা সুলতানা নিলা বলেন, ‘আমার স্বামীকে তারা খুন করেছে। আমার একমাত্র ১৮ মাসের শিশু পুত্র আয়নকে নিয়ে কিভাবে বাঁচব। আমি স্বামী হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

নিহতের বাবা শামসুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই আব্দুল কাদির ও তার ছেলেরা আরমান ও ইমরান একসঙ্গে আমার দুইটি সন্তানকে হত্যা করেছে। খুনিরা পরিকল্পিতভাবে আমার সংসারকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গাছ কাটার জেরে চাচার হাতে ভাই-বোন খুন

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

জমির সীমানায় গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে আপন ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন চাচা আব্দুল কাদির (৫৫)। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের উত্তর কুড়িমারা পূর্ব পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মাহমুদুল হাসান আলমগীর (৩০) ও নাদিরা খাতুন (২২)। তারা অভিযুক্ত আব্দুলু কাদিরের ভাতিজা ও ভাতিজি। এ ঘটনায় আছমা খাতুন (৫০), হুমায়ুন কবির (২৮) ও সালমান (২০) নামে তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানায়, জমির সীমানায় গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে আব্দুল কাদির ও তার স্বজনেরা দা ও কুড়াল দিয়ে কয়েকজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এতে কাদিরের আপন ভাতিজা মাহমুদুল হাসান আলমগীর ঘটনাস্থলে মারা যান এবং ভাতিজি নাদিরাকে গুরুতর জখম অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যান।

স্থানীয়রা জানান, গ্রামের মৃত হোসেন আলীর দুই ছেলে শামসুল ইসলাম ও আব্দুল কাদিরের মধ্যে কিছুদিন ধরে জমির সীমানায় গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল। সকালের সংঘর্ষে শামসুল ইসলামের স্ত্রী আছমা খাতুন ও ছেলে হুমায়ুন কবির এবং সালমান গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এই সংঘর্ষে নিহত মাহমুদুল মাস্টার্স পাশ করে সিলেট শহর এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করতেন। পারিবারিক কাজে গত বুধবার রাতে বাড়িতে আসেন।

নিহত মাহমুদুলের স্ত্রী ফাহিমা সুলতানা নিলা বলেন, ‘আমার স্বামীকে তারা খুন করেছে। আমার একমাত্র ১৮ মাসের শিশু পুত্র আয়নকে নিয়ে কিভাবে বাঁচব। আমি স্বামী হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

নিহতের বাবা শামসুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই আব্দুল কাদির ও তার ছেলেরা আরমান ও ইমরান একসঙ্গে আমার দুইটি সন্তানকে হত্যা করেছে। খুনিরা পরিকল্পিতভাবে আমার সংসারকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।