বন্যায় ভেঙে গেছে সেতুর এ্যাপ্রোচ সড়ক। এখন বাঁশের সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হচ্ছে সেতুতে। এতে করে মানুষের চলাচলসহ মালপত্র বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। এ্যাপ্রোচ সড়কের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ২০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়নের টেংরাকান্দি গ্রামসংলগ্ন খালের ওপর নির্মিত পাকা সেতুটি বেহাল। গত বন্যায় সেতুটির দুপাশের অ্যাপ্রোচ সড়কের মাটি বন্যার পানির তোড়ে ধসে যায়। ফলে এলাকার লোকজনকে এখন বাঁশের সিঁড়ি দিয়ে সেতুতে উঠে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সেতুর ওপর দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় মালামাল পরিবহন ও পথ চলাচলে আশপাশের ২০টি গ্রামের জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যরে এ সেতুটি নির্মাণ করে। সেতুর দুপাশ বেলে মাটি দ্বারা সংযোগ নির্মাণ করায় বর্ষা মৌসুমে সেতুটির অ্যাপ্রোচ সড়কের মাটি ধসে যায়।
আরও পড়ুন : বাউফলে মাইক্রোবাসের চাপায় প্রাণ গেল কলেজ শিক্ষার্থীর
এখন পর্যন্ত এই সেতুর দুপাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ফুলছড়ি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মো. মনোয়ার হোসেন জানান, এক মাস আগে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের উদ্যোগে ও গ্রামবাসীর সহায়তায় সেতুর দুই প্রান্তে বাঁশের সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। এখন ওই সিঁড়ি দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকার লোকজনদের।
ফুলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মন্ডল জানান, এলাকাবাসী মাটি না দেওয়ায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। আগামী সেশনে কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে সেতুর সংযোগ সড়ক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।