Dhaka মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গরমের জন্য একমাত্র দায়ী সরকার : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহের জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন উত্তপ্ত আগুনের মতো পরিবেশ। এই উত্তপ্ত গরমে মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এটার জন্য একমাত্র দায়ী এই গণবিরোধী সরকার। এরা নদী রক্ষা করতে পারেনি। ভূমিদস্যুরা নদী দখল করে রেখেছে। অন্যায়ভাবে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার কিছুই করছে না।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর ফকিরাপুলে বিএনপির খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন রিজভী।

তিনি বলেন, রাস্তাঘাট এতো উত্তপ্ত যে মানুষ কম বের হচ্ছে। এরমধ্যেই স্কুল-কলেজ শনিবার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ বাচ্চাদেরও এ সরকার আগুনের মধ্যে পুড়িয়ে মারতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তান আমলেও গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতাম। অথচ এই সরকার রমজান মাসেও ১৫ দিন স্কুল খোলা রেখেছিল। যেখানে স্কুল সপ্তাহে দুদিন বন্ধ, তার মধ্যে শনিবার স্কুল-কলেজ খোলা রেখে বাংলাদেশ যে অগ্নিবর্ণ হয়ে উঠেছে, সেই আগুন রাঙা বাংলাদেশের মধ্যে এই বাচ্চাদের ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

রিজভী বলেন, প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন কয়লা পুড়িয়ে তাপকেন্দ্র করলে দেশের কোনো লাভ হবে না। দেশের গাছ, মাছ, ফসল পুড়ে যাবে। কুয়াকাটায় তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাগেরহাটের রামপালে কয়লা পুড়িয়ে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছে, যার কারণে সমুদ্র পাড়ে নারিকেল গাছে নারকেল ধরে না, ফসল হয় না। আমাদের নিঃশ্বাস, আমাদের অক্সিজেন হচ্ছে সুন্দরবন, সেই সুন্দরবনকে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। উজাড় করে দেয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে একটি গণবিরোধী সরকার। তাই আজ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এই দেশে নদী খাল-বিল দিয়ে ভরা। কিন্তু সেই নদী খাল-বিলগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সারাদেশ গরমে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা মনে হচ্ছে ৪৩ বা ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা। এরকম গরম বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো পড়েনি। সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূতি হচ্ছে। যে দেশে এতো গাছপালা, এতো নদী, সেই দেশে এ রকম গরম হওয়ার কথা না। শুধু সরকারের লুটেরা নীতি, নদী ভরাট করার নীতির কারণে এই পরিস্থিতি হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি না কি যে কোনোভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায়।’ আমরা দখল করতে যাবো কেন? দখল তো আপনারা করে রেখেছেন। জনগণ ছাড়া, ভোট ছাড়া। দেশের জনগণ চায় আন্দোলনের মাধ্যমে অতি দ্রুত এ সরকারের পতন হোক।

তিনি আরও বলেন, আপনারা যদি ক্ষমতা না ছাড়েন তাহলে বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মরবে, গরমে আগুনে পুড়ে মরবে, মানুষ চাল-ডাল, চিনি -লবণ পাবে না। দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে মানুষ ধুকে ধুঁকে মারা যাবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবীদলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, যুবদলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন আনু, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, শামসুর রহমান, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, সাদিউল কবির নীরব, তৌহিদুল হাসান রিয়ন, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ জামান তারেক, কাজী রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গরমের জন্য একমাত্র দায়ী সরকার : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৭:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহের জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন উত্তপ্ত আগুনের মতো পরিবেশ। এই উত্তপ্ত গরমে মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এটার জন্য একমাত্র দায়ী এই গণবিরোধী সরকার। এরা নদী রক্ষা করতে পারেনি। ভূমিদস্যুরা নদী দখল করে রেখেছে। অন্যায়ভাবে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার কিছুই করছে না।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর ফকিরাপুলে বিএনপির খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন রিজভী।

তিনি বলেন, রাস্তাঘাট এতো উত্তপ্ত যে মানুষ কম বের হচ্ছে। এরমধ্যেই স্কুল-কলেজ শনিবার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ বাচ্চাদেরও এ সরকার আগুনের মধ্যে পুড়িয়ে মারতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তান আমলেও গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতাম। অথচ এই সরকার রমজান মাসেও ১৫ দিন স্কুল খোলা রেখেছিল। যেখানে স্কুল সপ্তাহে দুদিন বন্ধ, তার মধ্যে শনিবার স্কুল-কলেজ খোলা রেখে বাংলাদেশ যে অগ্নিবর্ণ হয়ে উঠেছে, সেই আগুন রাঙা বাংলাদেশের মধ্যে এই বাচ্চাদের ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

রিজভী বলেন, প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন কয়লা পুড়িয়ে তাপকেন্দ্র করলে দেশের কোনো লাভ হবে না। দেশের গাছ, মাছ, ফসল পুড়ে যাবে। কুয়াকাটায় তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাগেরহাটের রামপালে কয়লা পুড়িয়ে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছে, যার কারণে সমুদ্র পাড়ে নারিকেল গাছে নারকেল ধরে না, ফসল হয় না। আমাদের নিঃশ্বাস, আমাদের অক্সিজেন হচ্ছে সুন্দরবন, সেই সুন্দরবনকে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। উজাড় করে দেয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে একটি গণবিরোধী সরকার। তাই আজ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এই দেশে নদী খাল-বিল দিয়ে ভরা। কিন্তু সেই নদী খাল-বিলগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সারাদেশ গরমে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা মনে হচ্ছে ৪৩ বা ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা। এরকম গরম বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো পড়েনি। সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূতি হচ্ছে। যে দেশে এতো গাছপালা, এতো নদী, সেই দেশে এ রকম গরম হওয়ার কথা না। শুধু সরকারের লুটেরা নীতি, নদী ভরাট করার নীতির কারণে এই পরিস্থিতি হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি না কি যে কোনোভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায়।’ আমরা দখল করতে যাবো কেন? দখল তো আপনারা করে রেখেছেন। জনগণ ছাড়া, ভোট ছাড়া। দেশের জনগণ চায় আন্দোলনের মাধ্যমে অতি দ্রুত এ সরকারের পতন হোক।

তিনি আরও বলেন, আপনারা যদি ক্ষমতা না ছাড়েন তাহলে বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মরবে, গরমে আগুনে পুড়ে মরবে, মানুষ চাল-ডাল, চিনি -লবণ পাবে না। দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে মানুষ ধুকে ধুঁকে মারা যাবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবীদলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, যুবদলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন আনু, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, শামসুর রহমান, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, সাদিউল কবির নীরব, তৌহিদুল হাসান রিয়ন, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ জামান তারেক, কাজী রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।