Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণভবনে কে যাবে নির্ধারণ করবে জনগণ, ভারত নয় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২০০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গণভবনে কে যাবে সেটি নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ থেকে, ভারত থেকে সেটি নির্ধারিত হবে না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই সংসদে কে যাবে, সেটি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া জনতা। এই সংসদে কে বসবে, সেটি নির্ধারণ করবে এই ভূখণ্ডের মানুষ।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ দেড় দশকের আওয়ামী জাহেলিয়াতকে দূর করে আজকে আমরা মুক্ত বাংলাদেশে। যেই সংসদকে আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছি, সেই সংসদ ভবনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যাওয়ার জন্য আজ আমরা মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এসে দাঁড়িয়েছি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা এতদিনে ভূখণ্ডের অধিকার আদায় করতে পারিনি। বিদেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকবে কিন্তু প্রেসক্রিপশনের সম্পর্ক থাকবে না।

তিনি বলেন, যতদিন না পর্যন্ত এদেশ থেকে পরিবারতন্ত্র কবরস্থ হবে আমরা ততদিন লড়ে যাবো। এদেশে কামারের ছেলে মন্ত্রী হবে, কুমারের ছেলে প্রধানমন্ত্রী হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে দেশের নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, এখানে ভেদাভেদ থাকবে না, মতামত-দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ নেতা আরও বলেন, দীর্ঘ দেড় দশকের আন্দোলনের পর আমরা সংসদ ভবনকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছি। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে আমাদের দেশে ছিল বিচারহীনতার সংস্কৃতি। আপনারা দেখেছেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডকে বিডিয়ার বিদ্রোহ হিসেবে চালানো হয়েছে। শাপলা চত্বরে আমাদের দাড়ি টুপিওয়ালা ভাইদের রাতের অন্ধকারে কীভাবে গণহত্যা চালানো হয়েছে। কীভাবে তাদের থেকে মাইক কেড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপনারা দেখেছেন কীভাবে বাংলাদেশে দিনের ভোট রাতের করার সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে, ডামি ইলেকশন করা হয়েছে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা স্টেট গড়তে পারিনি। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছে। আমরা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারিনি। আমরা স্বাধীন বিচার বিভাগ নিশ্চিত করতে পারিনি। আমরা কমিটমেন্ট দিতে চাই, আমাদের ইন্সটিটিউটগুলোকে প্রপারলি গড়ে তুলব। বিভাজনের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমরা একতার রাজনৈতিক বাংলাদেশে চালু করব। আমরা স্টেট উন্নয়ন করব।

তিনি বলেন, প্রবীণদের অভিজ্ঞতা ও তরুণদের তেজদ্দীপ্ততা নিয়ে আমরা পরবর্তী বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এদেশে পরিবারতন্ত্রের কবর হয়েছে। এদেশে যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব উঠে আসবে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে মত ও দ্বিমতের স্বাধীনতা থাকবে।

বিকেল ৪টার পর আনুষ্ঠানিকভাবে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে দলটির নেতৃত্ব ঘোষণা করা হবে। এনসিপির শীর্ষ সূত্রে জানা গেছে, দলটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে আসা নাহিদ ইসলাম। সদস্য সচিব পদে থাকছেন আখতার হোসেন।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির অগ্রভাগে থাকা একদল তরুণ-তরুণী এই দল গঠনের উদ্যোক্তা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

গণভবনে কে যাবে নির্ধারণ করবে জনগণ, ভারত নয় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গণভবনে কে যাবে সেটি নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ থেকে, ভারত থেকে সেটি নির্ধারিত হবে না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই সংসদে কে যাবে, সেটি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া জনতা। এই সংসদে কে বসবে, সেটি নির্ধারণ করবে এই ভূখণ্ডের মানুষ।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ দেড় দশকের আওয়ামী জাহেলিয়াতকে দূর করে আজকে আমরা মুক্ত বাংলাদেশে। যেই সংসদকে আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছি, সেই সংসদ ভবনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যাওয়ার জন্য আজ আমরা মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এসে দাঁড়িয়েছি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা এতদিনে ভূখণ্ডের অধিকার আদায় করতে পারিনি। বিদেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকবে কিন্তু প্রেসক্রিপশনের সম্পর্ক থাকবে না।

তিনি বলেন, যতদিন না পর্যন্ত এদেশ থেকে পরিবারতন্ত্র কবরস্থ হবে আমরা ততদিন লড়ে যাবো। এদেশে কামারের ছেলে মন্ত্রী হবে, কুমারের ছেলে প্রধানমন্ত্রী হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে দেশের নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, এখানে ভেদাভেদ থাকবে না, মতামত-দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ নেতা আরও বলেন, দীর্ঘ দেড় দশকের আন্দোলনের পর আমরা সংসদ ভবনকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছি। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে আমাদের দেশে ছিল বিচারহীনতার সংস্কৃতি। আপনারা দেখেছেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডকে বিডিয়ার বিদ্রোহ হিসেবে চালানো হয়েছে। শাপলা চত্বরে আমাদের দাড়ি টুপিওয়ালা ভাইদের রাতের অন্ধকারে কীভাবে গণহত্যা চালানো হয়েছে। কীভাবে তাদের থেকে মাইক কেড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপনারা দেখেছেন কীভাবে বাংলাদেশে দিনের ভোট রাতের করার সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে, ডামি ইলেকশন করা হয়েছে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা স্টেট গড়তে পারিনি। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছে। আমরা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারিনি। আমরা স্বাধীন বিচার বিভাগ নিশ্চিত করতে পারিনি। আমরা কমিটমেন্ট দিতে চাই, আমাদের ইন্সটিটিউটগুলোকে প্রপারলি গড়ে তুলব। বিভাজনের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমরা একতার রাজনৈতিক বাংলাদেশে চালু করব। আমরা স্টেট উন্নয়ন করব।

তিনি বলেন, প্রবীণদের অভিজ্ঞতা ও তরুণদের তেজদ্দীপ্ততা নিয়ে আমরা পরবর্তী বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এদেশে পরিবারতন্ত্রের কবর হয়েছে। এদেশে যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব উঠে আসবে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে মত ও দ্বিমতের স্বাধীনতা থাকবে।

বিকেল ৪টার পর আনুষ্ঠানিকভাবে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে দলটির নেতৃত্ব ঘোষণা করা হবে। এনসিপির শীর্ষ সূত্রে জানা গেছে, দলটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে আসা নাহিদ ইসলাম। সদস্য সচিব পদে থাকছেন আখতার হোসেন।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির অগ্রভাগে থাকা একদল তরুণ-তরুণী এই দল গঠনের উদ্যোক্তা।