Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : মোশাররফ হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তাই সঠিক সময়ে বর্তমান সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শুক্রবার (৩০ মে) গুলশানে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, এই সরকার বলেছিল তারা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেবে, সেটাই তাদের প্রধান দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তাই সঠিক সময়ে বর্তমান সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার পর প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। তবে তিনি কখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করেননি বলে মন্তব্য করে মোশাররফ হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অনেক সিনিয়র ছিলেন। তার সেনাপ্রধান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর তাকে প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করা হয়। তবুও তিনি কখনো মুখ খুলে কিছু বলেননি, প্রতিবাদ করেননি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর যারা ক্ষমতায় আসে, তারা দেশে রক্ষীবাহিনী গঠন করে দমন-পীড়ন চালায়। একের পর এক অভ্যুত্থান হয় তখন। যারা সেসময় বেঁচে ছিলেন, তারা জানেন সে সময়কার পরিস্থিতি কেমন ছিল।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে খালেদ মোশাররফ জিয়াউর রহমানকে বন্দি করে নিজে সেনাপ্রধান হন। কিন্তু সৈনিক-জনতা একসঙ্গে বিদ্রোহ করে তাকে (জিয়া) মুক্ত করে আনে। এরপর জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার জানাজায় দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জনসমাগম হয়েছিল, এমন দৃশ্য আর কখনো দেখা যায়নি।

জিয়াউর রহমানের অবদান তুলে ধরে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, তিনি দেশকে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেছেন। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে যেমন সফল ছিলেন, তেমনি একজন আদর্শিক দল গড়ে তোলেন-যার নাম বিএনপি।

আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে গুম-খুন করেও সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সরকারকে পালাতে হয়েছে। অথচ আজও খালেদা জিয়া দেশের মাটিতে আছেন, তিনিই আজ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজ গণতন্ত্র হুমকির মুখে। ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া সরকারের প্রধান দায়িত্ব। বিগত ১৬ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তাই শহীদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের শপথ হোক-তার আদর্শ বুকে ধারণ করে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোস্তফা জামানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : মোশাররফ হোসেন

প্রকাশের সময় : ০৮:০৮:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তাই সঠিক সময়ে বর্তমান সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শুক্রবার (৩০ মে) গুলশানে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, এই সরকার বলেছিল তারা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেবে, সেটাই তাদের প্রধান দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তাই সঠিক সময়ে বর্তমান সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার পর প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। তবে তিনি কখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করেননি বলে মন্তব্য করে মোশাররফ হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অনেক সিনিয়র ছিলেন। তার সেনাপ্রধান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর তাকে প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করা হয়। তবুও তিনি কখনো মুখ খুলে কিছু বলেননি, প্রতিবাদ করেননি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর যারা ক্ষমতায় আসে, তারা দেশে রক্ষীবাহিনী গঠন করে দমন-পীড়ন চালায়। একের পর এক অভ্যুত্থান হয় তখন। যারা সেসময় বেঁচে ছিলেন, তারা জানেন সে সময়কার পরিস্থিতি কেমন ছিল।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে খালেদ মোশাররফ জিয়াউর রহমানকে বন্দি করে নিজে সেনাপ্রধান হন। কিন্তু সৈনিক-জনতা একসঙ্গে বিদ্রোহ করে তাকে (জিয়া) মুক্ত করে আনে। এরপর জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার জানাজায় দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জনসমাগম হয়েছিল, এমন দৃশ্য আর কখনো দেখা যায়নি।

জিয়াউর রহমানের অবদান তুলে ধরে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, তিনি দেশকে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেছেন। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে যেমন সফল ছিলেন, তেমনি একজন আদর্শিক দল গড়ে তোলেন-যার নাম বিএনপি।

আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে গুম-খুন করেও সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সরকারকে পালাতে হয়েছে। অথচ আজও খালেদা জিয়া দেশের মাটিতে আছেন, তিনিই আজ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজ গণতন্ত্র হুমকির মুখে। ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া সরকারের প্রধান দায়িত্ব। বিগত ১৬ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তাই শহীদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের শপথ হোক-তার আদর্শ বুকে ধারণ করে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোস্তফা জামানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।