Dhaka রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্র ধ্বংস করতে সরকার সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করছে : মেজর হাফিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে বিদেশি শক্তির হাত থেকে দেশকে সুরক্ষিত রাখতে সিটিজেন আর্মি গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়ে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, গণতন্ত্র ধ্বংস করতে সরকার সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, মুজিব একজন বড় মাপের নেতা ছিলেন এতে কোনো সন্দেহ ছিল না। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধ ও স্বাধীনতা ঘোষণার কৃতিত্ব শহীদ জিয়াকে দিতেই হবে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল জিয়ার অবদান স্বীকার করতে নারাজ। সরকার এরইমধ্যে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে ফেলেছে। একটি রাজনৈতিক দল মুক্তিযুদ্ধের কৃতিত্ব শুধু নিজেরাই নিতে চাইছে। তারা যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষের সাহসিকতার কৃতিত্ব মুছে দিতে চাইছে। সাধারণ মানুষের যুদ্ধকে রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা সকল মুক্তিযোদ্ধাকে আহত করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে শিক্ষার মান নিয়ে মেজর হাফিজ বলেন, যুদ্ধের আগে ছাত্র-যুবকদের মধ্যে যে দেশপ্রেম ছিল এখন আর তা দেখা যায় না। শিক্ষার মান ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগও নেই।

এই স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি গণতন্ত্র মুক্তি পাক উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ তার ভোটাধিকার ফিরে পাক, ব্যাংক লুটপাটের অবসান হোক। স্বাধীনতার চেতনা শুধু মুখে বললেই হবে না, রাষ্ট্র পরিচালনায় তা দেখাতে হবে।

তিনি বলেন, ধীরে ধীরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। সেটা দেশ ও মানুষের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইসরায়েল, রাশিয়া, কোরিয়ার মতো তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করা হবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধ ছিল গণতন্ত্র মুক্ত করার যুদ্ধ। সরকারি দল বারবার বিএনপি-জামাত বিএনপি-জামাত বলে বিএনপিকে স্বাধীনতা বিরোধীদের দলে দাঁড় করাতে চায়।

বাংলাদেশ ধীরে ধীরে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে হাফিজ বলেন, সাধারণ মানুষের যুদ্ধকে রাজনৈতিক যুদ্ধ হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার প্রবণতা আমাদের আহত করে। দেশে গণতন্ত্র নেই, একটি মিছিল করার স্বাধীনতা নেই, এমনকি সংবাদপত্রের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই।

আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও বহির্বিশ্ব পরাশক্তি আজ আমাদের তাদের অধীন করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের যে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আমরা লক্ষ্য করছি, সেটির জন্য একটি রাজনৈতিক দল দায়ী।

৭১ সালের ছাত্রসমাজ আর এখনকার ছাত্রসমাজের অনেক পার্থক্য রয়েছে বলে উল্লেখ করেন এই মুক্তিযোদ্ধা।

খালেদা জিয়া একজন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা জানিয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমদে বলেন, তিনি তার স্বামীকে যুদ্ধে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। পাকিস্তানের অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের অস্ত্র জমা দিতে বারণ করেন। তিনি সৈনিকদের যুদ্ধে অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

গণতন্ত্র ধ্বংস করতে সরকার সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করছে : মেজর হাফিজ

প্রকাশের সময় : ০৫:১৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে বিদেশি শক্তির হাত থেকে দেশকে সুরক্ষিত রাখতে সিটিজেন আর্মি গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়ে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, গণতন্ত্র ধ্বংস করতে সরকার সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, মুজিব একজন বড় মাপের নেতা ছিলেন এতে কোনো সন্দেহ ছিল না। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধ ও স্বাধীনতা ঘোষণার কৃতিত্ব শহীদ জিয়াকে দিতেই হবে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল জিয়ার অবদান স্বীকার করতে নারাজ। সরকার এরইমধ্যে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে ফেলেছে। একটি রাজনৈতিক দল মুক্তিযুদ্ধের কৃতিত্ব শুধু নিজেরাই নিতে চাইছে। তারা যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষের সাহসিকতার কৃতিত্ব মুছে দিতে চাইছে। সাধারণ মানুষের যুদ্ধকে রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা সকল মুক্তিযোদ্ধাকে আহত করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে শিক্ষার মান নিয়ে মেজর হাফিজ বলেন, যুদ্ধের আগে ছাত্র-যুবকদের মধ্যে যে দেশপ্রেম ছিল এখন আর তা দেখা যায় না। শিক্ষার মান ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগও নেই।

এই স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি গণতন্ত্র মুক্তি পাক উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ তার ভোটাধিকার ফিরে পাক, ব্যাংক লুটপাটের অবসান হোক। স্বাধীনতার চেতনা শুধু মুখে বললেই হবে না, রাষ্ট্র পরিচালনায় তা দেখাতে হবে।

তিনি বলেন, ধীরে ধীরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। সেটা দেশ ও মানুষের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইসরায়েল, রাশিয়া, কোরিয়ার মতো তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করা হবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধ ছিল গণতন্ত্র মুক্ত করার যুদ্ধ। সরকারি দল বারবার বিএনপি-জামাত বিএনপি-জামাত বলে বিএনপিকে স্বাধীনতা বিরোধীদের দলে দাঁড় করাতে চায়।

বাংলাদেশ ধীরে ধীরে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে হাফিজ বলেন, সাধারণ মানুষের যুদ্ধকে রাজনৈতিক যুদ্ধ হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার প্রবণতা আমাদের আহত করে। দেশে গণতন্ত্র নেই, একটি মিছিল করার স্বাধীনতা নেই, এমনকি সংবাদপত্রের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই।

আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও বহির্বিশ্ব পরাশক্তি আজ আমাদের তাদের অধীন করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের যে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আমরা লক্ষ্য করছি, সেটির জন্য একটি রাজনৈতিক দল দায়ী।

৭১ সালের ছাত্রসমাজ আর এখনকার ছাত্রসমাজের অনেক পার্থক্য রয়েছে বলে উল্লেখ করেন এই মুক্তিযোদ্ধা।

খালেদা জিয়া একজন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা জানিয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমদে বলেন, তিনি তার স্বামীকে যুদ্ধে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। পাকিস্তানের অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের অস্ত্র জমা দিতে বারণ করেন। তিনি সৈনিকদের যুদ্ধে অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন।